 |
আসছে বছর আবার হবে : মৃদুল শ্রীমানী |
আসছে বছর আবার হবে : মৃদুল শ্রীমানী
চাঁদের বুকে মানুষ পা ফেলতে পারার পঞ্চাশ বছর পর কোনো দেশ যদি চাঁদ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার চেষ্টা করে, তাতে আমি দোষ দেখি না। চেষ্টা করা খারাপ নয়। আর চেষ্টা করলেই সফলতা একধাক্কায় মেলে, তাও তো নয়। একবার না পারিলে দেখো শতবার। সুতরাং গুণে গুণে আরো নিরানব্বই বার চন্দ্রযান পাঠানোর সুযোগ আছে। কাজ করতে হবে। কাজেই তোমার অধিকার। কী ফল পেলে, সে কথা তোমার ভাবার নয়। কর্মেণ্যবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন। কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ নিজমুখে অর্জুনকে বলেছেন।
অর্জুনের আরেকটি নাম ভারত। গীতা পড়লেই জানবেন। যেমন ডিমনেটাইজেশন। টাকা বাতিল করে দিলাম। জাল টাকা, কালো টাকা সব ধরে ফেলার জন্য। একদম ফাঁদ পেতেছেন গোষ্ঠমামা, বাণ মেরে তুই চিড়িয়া নামা। তারপর কি হল, ক পিস কালোটাকা উদ্ধার হল জানতে চেও না। আর টি আই অ্যাক্ট? এটা ওই আইনে জানতে চেও না। যাজ্ঞবল্ক্য প্রবাহণ রাজার সভায় বসে গার্গীকে হুমকি দিচ্ছেন। আর জানতে চেও না। দেব মাথা ফাটিয়ে। জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন মেলে না উত্তর। কী পেয়েছি, তার হিসাব মিলাতে মন মোর নহে রাজি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাজ কি? সরকার টাকা চাইলে দেবে ব্যস।
অর্থনীতি? আমি যেটা বলি, যেমনটি বলি, সেটাই অর্থনীতি। ওটুকু মেনে নিতে পারো তো ভাল, নইলে অনর্থ বাধবে। প্রশ্ন কোরো না। সর্ব ধর্মং পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ। আমি যা বলি তাই সোনামুখ করে শুনে যাও। প্রশ্ন তুলবে না, দেশে এত মারকাটারি গোয়েন্দা ব্যবস্থা থাকার পর নীরব মোদী, মেহুল চোকসি পালায় কি করে। সরকারি ব্যাঙ্কের টাকা কে কত ঋণ নিয়ে শোধ করে না, তার তালিকা সামনে আনতে বোলো না। বোলো না আশারাম বাপু, রাম রহিম এরা সব গুফা আর হারেম বানাল কি করে। এত টাকা কিভাবে পেল। জীবনবীমা নিগমকে ঘাড়ে ধরে ভুল জায়গায় বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যাতে ওটি ডুবে যায়।
সরকারি ব্যাঙ্ক সব লোকসানে চলছে। মহারত্ন পাবলিক সেক্টর বেচে দেব। তুমি চাঁদের দিকে চেয়ে বসে থাকো। আয় চাঁদ, আয় চাঁদ, টিপ দিয়ে যা। এ যাত্রা টিপটা ঠিকমতো হয় নি তো কি হয়েছে। আসছে বছর আবার হবে।
This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন