শেষ আশা মার্কসবাদ নয়, ঋদেনদিকবাদ
পৃথিবীর মুক্তি আনতে কতটা যুক্তিগ্রাহ্য
( "A thesis for Entirely solve denying the so-called isms" by Ridendick Mitro )
-------------------------------------------
ঋদেনদিক মিত্রো
এটা আমার ঔদ্ধত্য নয়, আজ এই পৃথিবীর দুর্দিনে আমাদের সবাইকে মিলিত ভাবে ভাবতে হবে নিজেদের রক্ষা করার পথ, আর সেই পথ রাজ্য বা দেশের সরকারের থেকে ফাটকা সুবিধা নেবার পথে নয়, সারা পৃথিবীকে রক্ষা করার ভাবনা ভাবতে হবে সবাইকে, শুধু মানুষ নয়, সকল প্রাণী ও প্রকৃতি জগৎ আজ বিপন্ন, দেশে-দেশে অরণ্য পুড়ানোর সংবাদ থেকে, কোরোনা বা Covid -19 এর দ্বারা বিশ্ব মহামারী থেকে, যুদ্ধ ও যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঘটনা গুলি থেকে, করোনা মহামারীতে সরকারের অদ্ভুত ভূমিকা দেখে, একই সাথে লক্ষ-লক্ষপরিযায়ী শ্রমিকদের বিপন্নতা দেখে, খাদ্যে, ঔষধে ভেজাল এর ফলাফল দেখে, চরম অসংলগ্ন অর্থনৈতিক বন্টন ব্যবস্থা থেকে, ঘুষের রাজত্ব দেখে, রাজকোষ লুটপাটের প্রমাণ দেখে, ত্রাণ ব্যাবস্থার চৌর্যবৃত্তি দেখে, সরকারী অর্থ তছনছ এর কাহিনী থেকে, শিক্ষা ব্যাবস্থাকে দুর্বল করা দেখে, বহু রকমের পরিবেশ দূষণ থেকে, প্রতিবাদীদের দাপিয়ে রাখার কাহিনীগুলি দেখে, চিকিৎসা ও আইনের বিকৃতি দেখে, ও সর্বপরি দুর্বল সংবিধানকে পূজা করা দেখে, জনগনের মধ্যে নানা রকম অযৌক্তিক পার্থক্য তৈরী করার কৌশল দেখে, আক্রোশ তৈরী করার কায়দা দেখে, প্রকৃত চিন্তাবিদদের নাম ও চিন্তা ধারাকে আবছা ক'রে দিয়ে আম্বেদকর নামক এক ভুল ভাবনার লোককে দেশের সেরা মুক্তির দূত হিসেবে প্রচার করা দেখে, --- আমরা কি আজও নতুন কিছু ভাববো না? আমরা জনগণ মানে কি নির্বোধের প্রমাণ ও ভীরুতার প্রমাণ হয়ে শেষ হয়ে যেতে থাকবো, আর আমাদের বংশধরদের আরো-আরো বিপদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে যাবো? আবার, বংশধরদেরকে বলবো, " আমরা তোদের সুখের জন্যই সব কিছু করছি !"
মানে, আমরা চালাকি করে-করে বংশধরদের পাহাড়ের খাতের দিকে ডেকে এনে শেষে ওখানেই ঠেলে দিয়ে তাদের সর্বনাশ করছি !
বলুন তো, এই জন্যই কি আমি আপনি এই দেশে ও পৃথিবীতে এসেছি?
আসুন, একটু আলোচনা করি এই নিয়ে, বন্ধু !
বলুন তো, পুঁজিপতি বা নেতারা তো আমাদের মত মানুষ, আমাদের পরিবারের দাদা দিদি ভাই বোন তাঁরা, তাঁদের ভুল বা জেদ তো তাঁদের উত্তরসূরীদেরকে নষ্ট করছে ও করবে, দেশ ও পৃথিবীর সর্বনাশ কি তাঁদেরও সর্বনাশ নয়? আমি কাউকে শত্রু করে তুলছি না, আমি বোঝাতে চাইছি, আমাদের দ্রুত শুধরাতে হবে, না হলে সভ্যতা শেষ হয়ে যাবে !তাহলে আমরা কোথায় কী নিয়ে থাকবো ! কোনো চালাকি, ক্ষমতার দম্ভ কিন্তু আজ কোরোনা মহামারী থেকে রক্ষা করছে না, সেটা তো সবাই বুঝে গেছি তাই না?
হ্যাঁ, এটি একটি thesis, কারণ, এটি একটি মৌলিক পদ্ধতির নির্মাণ করছে !
যে কোনো জায়গা থেকেই শুরু করা যাক, তাহলে !
কার্ল মার্কস এর ভুল 🚩আছে গভীরে :
" আপাত দৃষ্টিতে জাতীয়তা বোধের সঙ্গে সাম্যবাদের কোনোই বিরোধ নেই, কিন্তু সর্বহারা শ্রেণীর স্বার্থ কোনোভাবে লঙ্ঘিত হ'লে, মানুষ যেন তার চিরকালীন আদর্শ হ'তে বিচ্যুত না হয় !"
মার্কসিয় অথবা অধুনা মাওবাদী (বা লিন পন্থী ) দর্শন ঠিক এই কথাই বলেছে, তাই কখনোই সাম্যবাদের নামে কোনো অমানবিক দিকে প্রবেশ করা অনুচিত !
এই জাতীয় মহৎ হবার দাবী পৃথিবীর সমস্যার সুরাহা করার জন্য সকলেই বলেন ! বামপন্থী ও দক্ষিণ পন্থী, সকলেই বলেন ! কিন্তু প্রথম কথা হলো, যে নেতা বা ব্যক্তিসমষ্টি সৎ হবে সে বা তারা তখন বাম ও ডান পন্থীর মধ্যে কেউ থাকবে না ! কারণ যে বা যারা সৎ হবে, সে বা তারা হবে পক্ষপাতহীন, আর পক্ষপাতহীন মানুষ বা সমষ্টি কোনো পক্ষপাতের পতাকা ছুঁবে না !
যাই হোক, সভ্যতার আপাতত এই অব্দি শেষ আশা মার্কসবাদ হলো ভুলে ভরা ! তাই বলে মার্কস অসৎ বা ক্ষমতালোভী নয়, মার্কস - এঙ্গেলস এর মত মানুষদের হৃদয়সত্বা কিন্তু পূর্ণ মানবিক, কিন্তু এঁদের ভাবনার অবস্থানকে অনেক শুদ্ধতা দিতে হবে ! যাইহোক, ওঁদের তথা যে কোনো ধরণের কমিউনিস্টদের ভাবনা নিয়ে আমি 2016 তে প্রকাশিত "দংশন " নামের প্রায় চারশো পৃষ্ঠার মহাউপন্যাসে একজায়গায় আলোচনা করেছি! সেটার ভাব ব্যাখ্যা করছি ! উপন্যাসটি আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে প্রকাশিত " বইয়ের দেশ " -এ বিশেষ গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়েছিল !
যাইহোক, বিষয়টি হলো এই :-
(1) শ্রমিকের অধিকার নিয়ে এক পক্ষ আন্দোলন করলে, তারা নেতৃত্ব দিয়ে কিছু উলোট পালট করতে পারে, কিন্তু, শ্রমিকের চেতনা ও সামর্থটা কেবল দৈহিক শ্রম নির্ভর, মনন নির্ভর বা এমনকি মননকে স্পর্শ করেনা কোনো ভাবে ! দৈহিক শ্রম মানে বুদ্ধি কাজ করেনা, তা বলছিনা, আমি বলছি, মানুষের অস্তিত্ব অতিচেতনা-মুখি, তাই দৈহিক শ্রম নির্ভর জীবনে তার অস্তিত্ব পড়ে তাহলে সে ফিরে যাবে আদিম যুগে, এবং সাম্যবাদ নাম দিয়ে যে বাদ প্রচলিত, সেটা মানব-জাতির রুচিকে পশ্চাৎগামী করে ক্রমশঃ !
(2) বহুমুখী চিন্তন বোধহীন মানুষ গুলি, তারা যে-কর্মের-ই হোক, তাদের দ্বারা কোনো নির্দিষ্ট কর্ম-দক্ষতা বা উৎপাদন পেতে পারি, কিন্তু তাদের বোধের বিকাশের উত্তরণ না ঘটার জন্য, তারা সম্পূর্ণ রূপে এক শ্রেণীর গাইড ওরফে নেতা দ্বারা অন্ধভাবে পরিচালিত হবে ! এই ভাবে তারা হবে আরো বেশী-বেশী পর নির্ভরশীল ! এর ফলে তাদের বুদ্ধির বিকাশ ও বিবর্তন কিছুই হবে না ! এবং তখন তারা অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করলে ব্যবহার করবে ভুল পথে বা সর্বনাশা পথে বিলাসী হতে, এটা হবে তাদের কাছে আরো বিপদজনক ও মুনাফাবাজদের ক্ষেত্রে এই ফলাফল হবে আদরণীয় ! এই ভাবেই চলবে একচেটিয়া শোষণবাদ ও পুঁজিবাদ এর ধারা, এবং সামগ্রিক নিয়মে পৃথিবীর আরো-আরো সর্বনাশ হতে থাকবে!
(3) তাই শ্রমিকের অধিকার, মানে সুস্থ খাদ্য ও বসবাস এর অধিকার নিয়ে সাম্যবাদ নামের যে-বাদ বা পথ পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে পৃথিবীতে শোষণ এর ধারাকে হটাতে চাইছে, সেই সাম্যবাদ মূলত অজান্তে পুঁজিবাদ এর সমর্থক ! টাকার এপিঠ-ওপিঠ !
(4) সাম্যবাদ এর নেতাদের তো মহান কার্ল মার্কস ও অ্যাঙ্গেলস নির্বাচিত করেন নি, তারা নির্বাচিত হচ্ছে মনন বুদ্ধিহীন বা সূক্ষ্ম বুদ্ধির বিকাশহীন শ্রমিকশ্রেণী এবং পাশাপাশি অনেক দ্বিচারি অভ্যেসের নাগরিক দ্বারা --- যারা পুঁজিবাদএর শোষণে দেবে সমর্থন, আবার পাশাপাশি শ্রমিকের মুক্ত অধিকার এর দাবিকে দেবে হাততালি !
(5) তাই সাম্যবাদ এর সূত্রটা এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে ! এর ফলাফল টা তাই ফ্লপ ! আবার, এটাও ঠিক, নৃশংস একচেটিয়া অর্থনৈতিক দাসত্ববাদের থেকে পৃথিবীর যে-টুকু মুক্তি ঘটেছে, সেটাও কিন্তু মার্কস - এঙ্গেলস নামক দুই বন্ধুর সারা জীবনের কঠিনতম সম্মিলিত যুদ্ধের ফলে ! এই সত্যটা কেউ যদি অস্বীকার করে তবে সে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মূর্খ !
যাইহোক, এবার কথার ধারায় ফিরে আসি, পুঁজিপতিরাও তাদের সব চেয়ে নিরাপত্তার জন্য সাম্যবাদকে ঠিক মাত্রার মধ্যে ধরে রেখে টিকিয়ে রাখে, বিশেষ তাল মাত্রা বজায় রেখে ! এর কারণ, মার্কস মানেই শেষ কথা নয়, এই সত্যটা আমাদের মানতে হবে !
কারণ মার্কস সহ নানা কমিউনিস্ট নেতার দর্শনের ত্রুটি যেদিন মানুষ বুঝতে পারবে সেদিন মানুষ "মননবাদ" এর দিকে এগুবে ! আর তখনি হবে প্রকৃত বিশ্ব শান্তি ও প্রতিটি মানুষের ও সব জীবের প্রকৃত অধিকার প্রাপ্তির সময়, প্রকৃতি জগতের সুস্থতার সময় !
(6) তাই মার্কসবাদ এর কথা অনুযায়ী কমিউনিস্ট নেতাদের আদর্শবান হাওয়া উচিত, এই জাতীয় অধিকার হাস্যকর! সাম্যবাদ এর থিওরি হলো পেটের ক্ষুধা ই সব, তাই সেই ক্ষুধার চাহিদায় আটকে থাকা জনগণ পরপর হয়ে যাবে পশুর সমান, আর তাদের প্রতি তখন পশুর মতো আচরণ করলেও তাদের জেগে ওঠার ইচ্ছে ও শক্তি জন্মাবে না ! এইভাবে চলছে
আর একরকম সাম্যবাদ -- যার নাম --দ্বিচারিবাদ !
(7) এই প্রবণতা আমাদের চরিত্রকে দ্বিচারি করে দিচ্ছে, যার ফলে সব রকম ভালো পরিবর্তনএর যে-প্রবণতা আমাদের মধ্যে জন্ম নিয়ে আবার কর্পূরের মতো উড়ে যাচ্ছে, এবং we shall overcome someday " এই গান গেয়ে চলেছি আমরা, কিন্তু " someday" কোনোদিন
"Today " হচ্ছে না ! এই "someday" উচ্চারণ করতে করতে আমরা বর্তমানের মেধাযুক্ত ভাবনা দিয়ে প্রখর পরিবর্তনের জন্য যুদ্ধ করছি না ! ছাত্র জীবনে পড়াশুনার মতো, -- আজ নয়, কালকে ই পড়ে নেবো, কাল ভাবছি --আজ নয় কালকে ই পড়ে নেবো !
এইভাবে কাল টা মহাকাল হয়ে যায়, পরীক্ষায় হয় ফেল, বা কোনো ভাবে পাস, যে -পাস নম্বর টা উপহাসের কারণ হয়ে যায় !
(8) we shall overcome গানটা প্রকৃত পক্ষে পৃথিবীর সবচেয়ে বিভ্রান্ত সৃষ্টিকারী সংগীত, এই টা পৃথিবীতেই প্রথম আমি ধরলাম, আপাতত এর আগে কেউ এটা ভেবেছে কিনা আমরা জানিনা, এবং সবচেয়ে বেশী ব্যবহার করার সংগীত হিসেবে বিশ্বরেকর্ড করা এই সংগীত টি পৃথিবী থেকে গাওয়া বন্ধ না করলে, আমরা গতিশীল হবোনা, হবোনা সংশোধিত ! এই সংগীতটি আমেরিকার সিভিল ওয়ার বা গৃহযুদ্ধের সময়ে সৃষ্টি হয়েছিল ! আমি আমেরিকার চিন্তা, সংস্কৃতি, পুস্তক প্রেম, মুক্ত চিন্তার বিকাশ, স্মার্টনেস, এগুলিকে আমার জীবনেরও আদর্শ মনে করি, কিন্তু, আলোচনার পরিস্থিতিতে বলতেই হচ্ছে যে আমেরিকায় তৈরী we shall overcome someday সংগীতটি সংগীত হিসেবে আমার প্রিয় হলেও, এই সংগীত এর প্রয়োগ আমাদের জীবনের সফলতা আনার প্রবণতাকে দুর্বল করেছে !
এর বিনিময়ে দেখুন তো এই সংগীত টি যোগ্য হয় কিনা ! আমার লেখা :
Song : Today do something 🖊️
----------------------------------
--Ridendick Mitro
1
Where is the darkness, why !
See the sun rising in the sky !
So, let's do something,
Today we see a dream,
And that is a change,
We, the humankind,
Then we get refined,
If we achieve an urgent arrange.
That is a change.
2
We, everybody is a leader in our own right,
The merit of us brings our faith all bright,
Merit and practice make us confident ---
In the dream of divine sunrays,
That is a change.
That is a change.
3
We believe none but free knowledge,
That knowledge is the way to win any stage,
We hoist the flag of love, not of revange,
Human means always an update image,
That is a change.
That is a change.
4
None is a labour and none is an owner,
In the field of work all are worker,
So, we are friends in between there,
No difference allowed in it, age after age,
That is a change,
That is a change.
( 🚩🚩🚩Registered Song, )
ভাবতে হবে মননবাদ বা intellectual-ism সব বাদের চেয়ে শক্তিশালী বলেই,পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদ, দুই পক্ষ নানা ভাবে কৌশল করে চিন্তনশীল বা বুদ্ধিজীবীদের হাতের মুঠোয় রেখে খেলাচ্ছে ! এটা থেকে কী প্রমাণিত হয়, মননবাদকে দেখে পৃথিবীর অন্যসব বাদ চিন্তিত, কারণ, মননবাদ দিয়ে পৃথিবী চললে পৃথিবী হবে স্বাভাবিক, তখন অরণ্যে কেউ আগুন দেবে না, ম্যান মেড বন্যা হবে না, ত্রাণের টাকা ও দ্রব্য গুলিও লুট হবে না, খাদ্য ও ঔষধে ভেজাল আসবে না, জালনোট তৈরী হবে না, ক্রমশ পুলিশ এর প্রয়োজন হবে না, সীমান্তে রক্ষী লাগবে না, ভোট নাটকের দরকার হবেনা, ভোটের প্রচার দিতে হবে না, জাত ধর্ম নিয়ে রেষারেষি ও এই নিয়ে পৃথক অস্তিত্ব থাকবে না, লুটপাট এর প্রবণতা থাকবে না, বাজারে মাপে ভেজাল থাকবে না, চাটুকারিতা থাকবে না, ঝগড়া থাকবে না, নিরীহর প্রতি পীড়ন থাকবে না, যুদ্ধের অস্ত্র তৈরির দরকার হবেনা, ছায়া যুদ্ধের নাটক করার দরকার হবে না, নেতাদের দ্বারা লোক তাতিয়ে মিছিল ও সভা করার দরকার হবে না, বাবুর বাড়িতে কোনো কাজ করা মহিলা বা গৃহ ভৃত্য ও বাড়ির নিজের পরিবারের নারী-পুরুষ --- এই দুয়ের ভিতর পার্থক্য হবেনা, সমুদ্র ও মহাকাশের অধিকার নিয়ে রেষারেষি হবে না, রাষ্ট্রসংঘ ও অস্বস্থিতে পড়বে না -- ভুল প্রবণতার নেতার উপস্তিতিও থাকবে না ! --- একেবারেই এই গুলি থাকবে না তা নয়, আসলে তখন, মানুষ ক্রমশ শুদ্ধতার দিকে যাবে, আর এই শুদ্ধতা গামী চলনটাই হবে --- সব জীব জগৎ ও জল ও অরণ্য কুলের স্বস্থি!
আমাদের শান্তি আসেনা বা পরিবর্তন আসেনা, কারণ যে গুলি ফ্লপ, সেই গুলি নিয়ে আমরা মুগ্ধ বা মত্ত হয়ে থাকি !
🏓
পৃথিবীর নানা ধর্ম গুরু বা রাজনৈতিকবাদের প্রবর্তকগন সকলেই বলেছেন যে, তাঁরাই পৃথিবীর সব সমস্যা সমাধানের শেষ কথা, এর বিরুদ্ধে আমার প্রশ্ন হলো :--
(1a) তাঁরা কেউ কী একজনও সফল হয়েছেন?
(1b) তাঁরা সকলে মিলেও কি কোনো সফলতা আনতে পেরেছেন?
(1c) যাঁরা সফলতা আনতে পারেন নি, কেউ একক ভাবে বা সম্মিলিত ভাবে, তাহলে তাঁদের প্রতি আমরা আস্থা রেখে যাবো কোন যুক্তিতে?
(1d) আমরা কি আমাদের মেধা ও চিন্তাশক্তিকে পুরোনো জায়গায় দাঁড় করিয়ে রাখবো, নাকি মেধা ও স্বপ্নের বিবর্তনের সত্যকে বিশ্বাস করে তাঁদের ভাবনার আয়ত্ত থেকে বেরিয়ে নতুন ভাবনা ও নিয়ম বানিয়ে নেবো?
আমরা কি এদের অস্তিত্বকে অবিশ্বাস করে brain death করতে চাই? অর্থাৎ আমরা কি suicide করতে চাই ! আমরা আমাদের প্রতি আস্থা হারিয়ে আমরা কি suicide করছি না?
ঋদেনদিকবাদ বা Ridendick's ism মানে ঋদেনদিককে পূজা করার বাদ নয়, শ্রমিক -মালিক, কোনো পক্ষকে কারোর দ্বারা আঘাত না দিয়ে মেধা বিকাশের পথে উন্নত আচরণের অভ্যেসের দ্বারা অখণ্ড পৃথিবী-প্রকৃতির স্বস্থি থাকার পন্থা পদ্ধতি!
এই বাদ কোনো জিন্দাবাদ বা বন্দে মাতরম -এ বিশ্বাস করে না, ওই আবেগেও মাতবে না, এই বাদ বলবে --
" মেধা চিরন্তন "
Merit is eternal,
So, free thought is logical,
And Open eyes are actual power,
ইত্যাদি !
"বন্দে মাতরম " নামের আমাদের প্রিয় সংগীতটিকে ধরুন সময়ের ধারায় নতুন করে তোলা হবে, মানে সৃষ্টিটাই করা হবে নতুন করে, তখন কী লেখা হবে ! একটা কথা, বঙ্কিমচন্দ্র বলেই ওই ধরণের ধ্বনি-তরঙ্গ খেলিয়ে ওই সংগীত লিখেছিলেন, এঁরা আমাদের শিখিয়েছেন সৃষ্টির পথ কী ভাবে হয় ! এঁরা অমর নয়, বরং " অমর " শব্দটি এঁদের আঁকড়ে ধরে নিজের গুরুত্ব বাড়ায় ! এঁদের সৃষ্টির ব্যঞ্জনা কোনোদিন পুরানো হয় না ! আমরা এঁদেরকে যত পড়বো তত আধুনিক হবো ! ইচ্ছে করে গাছের ছায়ায় বসে, বা নিভৃত জানালার পাশে খাটে শুয়ে এঁদের লেখা পড়তে, বা কেউ নরম কণ্ঠে এঁদের বই খুলে পড়ে-পড়ে শোনাবে, সেটা হবে পুরানো বই, পাশে পিঁপড়ে বেয়ে যাবে, কোনো পাখি ঢুকে যাবে জানলা দিয়ে, দূর থেকে ঘুঘু পাখির ডাক ভেসে আসবে, বাইরে সাতভায়া খেলবে, কিছু দূরে একটা গরু বা বাছুর গাছের ছায়ায় বসে আনমনে হয়ে কী যেন ভাবতে -ভাবতে চোয়াল নাড়বে, -- এমন করে সময় কাটানোর সুখ যদি পেতাম ! আমি বলতে চাই --:ওই সব লেখকগণ, এঁরা সভ্যতার সৌন্দর্য !
কিন্তু, আমি কালের নিয়মে ভাবনার বিবর্তনে কী ভাবতে পারি এক্ষেত্রে, সেটাই বলেছি :---
এই তো আমার দেশ,
প্রাণের উল্লম্ফন,
তার নাম পৃথিবী,
মেধা চিরন্তন !!
চেতনা মানেই সুখ,
চেতনা মানেই সব,
চেতনাই সৃষ্টির
সব-সেরা গৌরব,
চেতনা দিয়েই জন্ম-মৃত্যু,
অনন্তে ভ্রমণ,
আমাদের দেশ পৃথিবী,
মেধা চিরন্তন !!
সত্য সুন্দরের
যা কিছুই নির্মাণ,
সকলি তো অসীমের
দিকে দূর অভিযান,
এই নিয়ে দেহে মনে
জাগে যত স্পন্দন,
সবার মূলে তো সেই ---
মেধা চিরন্তন !!
জাগো, জাগো, মানব সত্বা,
জাগো তুমি অতি দূর,
তুমিই পারতো মেলাতে তোমার
যেথা অসীমের সুর,
আপনার অনুভব হতে করো
আলোর উন্মোচন,
ঘুমের গভীর থেকে বলো তুমি
মেধা চিরন্তন !!
আসলে, যখনি মানুষ "মেধা চিরন্তন " বা Merit is Everything or Eternal , ব'লে এগিয়ে যাবে, তখনি সে কোনো ব্যক্তিকে বা দলকে বা ধর্মকে তার চিন্তা শক্তি বিক্রি করে দেবে না, কিন্তু পদ্ধতিগত নিয়মে সে কর্মের জগতে কর্মের প্রয়োজনে ধারাবাহিক পদমর্যাদা গুলিকে মেনে নেবে উৎপাদনের স্বার্থে, কাউকে গড ফাদার বানানোর স্বার্থে নয় ! কেউ বলবেন, merit দিয়েতো ঠকানো হয় ! আমি বলি, না, merit প্রয়োগ করে ঠকায় না, demerit প্রয়োগ করেই ঠকায় ! কারণ merit এর কাজ উন্নতি করা, demerit এর কাজ সর্বনাশ করা ! পৃথিবীটা demerit দিয়ে চলছে, তাই এতো সর্বনাশ হচ্ছে নানা দিক থেকে প্রতি নিয়ত !
এই সভ্যতা পিছিয়ে আছে, কারণ জনগণ নানা জনকে গড ফাদার করানোর স্বার্থে নিজেদের স্বপ্ন, জ্ঞান, চেষ্টা, সাহস ও জীবন উৎসর্গ করে !
এই নেশা জনগনের রক্তে ঢুকিয়ে দিয়েছে প্রথমে পুঁজিবাদ, তারপর সাম্যবাদ এর নানা প্রতিনিধি !
এই কথা গুলিকে😳 কেউ ব্যক্তি বা সংস্থা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে, তিনি এই লেখকের থেকে পাবেন এক লক্ষ টাকা, না হলে তাঁকেও তাই দিতে হবে ! একই সঙ্গে কমপক্ষে এক বৎসর সশ্রম কারাদন্ডর চ্যালেঞ্জ ! বিপরীত পক্ষকেও এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে !
তবে, আমি ব্যক্তি, ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির এক লক্ষ টাকা চ্যালেঞ্জ, কিন্তু কোনো সরকারী সংস্থা হলে তাদের দিতে হবে কয়েক হাজার কোটি টাকা তারা হেরে গেলে, কারণ তারা সরকারী সংস্থা হয়ে একজন ব্যক্তির সাথে চ্যালেঞ্জ নিচ্ছে, বেসরকারি সংস্থা হলে সেই সংস্থার আয়ের সামর্থ অনুযায়ী সে বাজি ধরবে, তবে সেটা কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা হতে হবে !
কারণ, এটা পৃথিবীর মূল সমস্যা !
এই বিচার চলবে লাইভ ক্যামেরার সামনে, বহু দেশের মানুষের উপস্থিতিতে, এবং যিনি জেলে যাবেন, পুরো জেলের মেয়াদ, ও মেয়াদ শেষ করে বাড়ি আসা পর্যন্ত পুরোটাই তাই ভিডিও ক্যামেরায় ধরা থাকবে, যেটা লাইভ কাস্ট হতে থাকবে কোনো বিরতি ছাড়া !
মূলত, একটু ভাবুন, বামপন্থী ও ডানপন্থী দুটোই হলো খতম বাদ ! দুটি পরিচয়ে মানুষকে বিভক্ত করে দুই পক্ষকে দিয়ে দুই পক্ষকে খুন করে জনগণকে চিন্তন পদ্ধতি থেকে সরিয়ে দিতে অন্যমনস্ক করে রাখা ! তাই, মানব সভ্যতায় চলছে একটাই বাদ, সেটা খতম-বাদ ! মানুষ দিয়ে মানুষ খতম, মানুষ দিয়ে পশু পাখি কীট ও প্রকৃতি খতম, চালাকি ও ভুল বা দুর্বল শিক্ষা দ্বারা ব্রেন ও ভালো অভ্যেসকে খতম, আর আমরা এক-এক জন কোনো না কোনো ভাবে সেই খতম-বাদে জড়িয়ে আছি, সেটাকে বলছি ব্যক্তি স্বাধীনতার বাদ, যে বাদ দিয়ে কিনা ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খতম করা হয় !
একটু ভেবে দেখুন তো, কী ভাবে আমরা সকলের অজান্তে খুনি পরিচয় বহন করছি, এবং সেই ভাবে আমাদের কী ভাবে পরিচালিত করা হচ্ছে ! আবার, দক্ষিণপন্থীর ভিতর যেমন বহু দল আছে, তারাও তাদেরকে একে অপরকে খতম করছে, তেমনি বামপন্থীদের ভিতরেও আছে নানা বিভাজিত মতবাদ, তারাও একে অপরকে নানা ভাবে খতম করছে, কখোনো কৌশলে দিয়ে, কখনো বন্দুক, চুরি, বোম দিয়ে ! কখনো বাজার দখল এর কূটনীতি দিয়ে ! সেটা ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির ও রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের হচ্ছে !
তাহলে পুঁজিবাদ হলো সেটাই যেখানে পুঁজিবৃদ্ধির জন্য শুধু চেষ্টা করাই হলো মর্যাদা, আর বামপন্থা হলো সেটাই, যেটা শুধু পুঁজিবাদকে গালি দিয়ে পুঁজিপতিদের থেকে ও পুঁজিবাদের সমর্থকদের থেকে পুঁজি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টাকে বা সফলতাকে মর্যাদা ভাবে ! আবার প্রয়োজনে পুঁজিবাদের প্রতি দাসখৎ লিখে দিয়ে বাহ্যিক ভাবে পুঁজিবাদকে খতম করার হুমকি দিয়ে পুঁজিবাদকে তোয়াজ দেবে !
এর কারণ, পৃথিবীতে এখনো কোনো শান্তি তৈরির বাদ আজও তৈরী হয়নি ! বরং শান্তি নষ্ট করার বাদ চলছে নানান আদলে !
তাহলে, খেলা একটাই, দুই পক্ষই পুঁজিবাদ ! দক্ষিণপন্থী বলছে, যে পুঁজি উৎপাদন করাবে অন্যকে দিয়ে সেই হলো পুঁজিপতি, বামপন্থী বলছে --- পুঁজি যাদের কাছে থাকবে তারা পুঁজিপতি ! "পুঁজি" শব্দটি নিয়ে এতো আলোচনা হয় যে, এবং এই চক্করে এমন ভাবে আমরা ঢুকে আছি যে, আমরা সবাই শ্বাসকষ্টে ভুগছি, এর নাম নাকি গণতান্ত্রিক বক্তব্যের স্বাধীনতা !
আচ্ছা, মানুষ যদি দিশাহারা হয়ে কেবল ছুটতে থাকে দিন রাত, নানা মাত্রিক আতঙ্কে কাটায় দিনরাত, তাহলে স্বাধীনতাটা কোথায় পেলো?
পৃথিবীতে কোনো-কোনো দেশ একটা স্বস্থির নিয়মে চলতে চায় বা চলছে, কিন্তু অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা তাঁদের সুস্থতাকে অসুস্থ করছে ! কারণ, পৃথিবীজুড়ে এখন ভাইরাসের মত চলছে বিভ্রান্তিবাদ, যেটা দুটি বিন্দুর মধ্যে রেখা ! দুটি বিন্দু হলো, দক্ষিণপন্থা ও বামপন্থা !
তাহলে, মূল জিনিস হলো পুঁজি নিয়ে কাড়াকাড়ি, মেধা ও উন্নত অভ্যেসের উত্তরণ ঘটিয়ে কোনো শান্তির পথে এরা বিশ্বাসী নয় ! এবং এদের এই পদ্ধতি যদি শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতো তাহলে এরা সকলেই সকলের দ্বারা আরো বিপদে পড়তো না, পৃথিবী প্রকৃতিও আরো-আরো বিপন্নতার দিকে যেতো না !
যাইহোক, বিষয়টি সকলে বুঝেছেন, আশা করি !
মানব সভ্যতার প্রয়োজনে এই লেখাটি লিখেছি, কাউকে আঘাত করার জন্য নয় !
একটা কথা বলি, আমি কোনো ধর্মকে অকেজো বলি না, ধর্ম হলো ভালো থাকা ও ভালো রাখার নিয়ম ও অভ্যেস ! এবং পৃথিবীতে বিভিন্ন সময়ে নানা ধর্মগুরু বা অবতার হিসেবে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা ওই সময়গুলিতে না এলে কিন্তু পৃথিবী থাকতো না !
আবার, রাজনীতিকে যতই গালি পাড়ি না কেন, এক একটা সময় এক এক জন জননেতা বা নেত্রী না এলে কিন্তু অনেক রকমের চলমান দুরাবস্থাকে সামাল দেওয়া যেতো না, তাই যাঁদের যতটা কৃতিত্ব তাঁদেরকে ততটাই আমরা সম্মান দিয়ে নিজেকে সুস্থ মনে করবো, কিন্তু, সময়ের প্রয়োজনে আমরা ভাববো আরো আধুনিকতর পথ, পূর্বের কোনো কৃতিদের কাউকেই অপমান ক'রে নয়, বরং তাঁদের না-পেরে ওঠা কাজগুলিকে সফল করার জন্য আমাদের মুক্ত মন নিতে হবে ! এই মুক্ত মন-ই হলো নতুন পথ ! এটাই Selfdependism বা free thought ism বা Ridendick's ism ! জনগণ প্রত্যেকে নিজেরা নিজেকে সম্মান করবে, ও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ভাবনার জগতে প্রবেশ ক'রে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এই পদ্ধতিতে আসবে সম্মিলিত শান্তির পথ ! এটাই আমার ism !
যে কোনো লেখার বিষয়ের জন্য ও ভাষার জন্য ও দৃষ্টিভঙ্গির জন্য লেখক দায়ী, প্রকাশক বা সাংবাদিক বা সম্পাদক নয় ! এঁদের দায়িত্ব কোনো লেখাকে পাঠকের সামনে এনে সেটার সামগ্রিক মান কী -- সেটা নিয়ে ভাবিয়ে তোলা ও মেধা চর্চার স্বাধীনতার পথ তৈরী করে দেওয়া !
পাঠক পাঠিকাদের এটাই ভাবতে হবে !
-----------------------------------------
(18 জুন ও 1 লা সেপ্টেম্বর, 2020, Ridendick Mitro )
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন