 |
মুখোমুখি পৃথা রায় চৌধুরী ও গোবিন্দ ধর |
মুখোমুখি পৃথা রায় চৌধুরী ও গোবিন্দ ধর
জন্মস্থান ভারতবর্ষের ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ শহরে। সাহিত্য চর্চা শুরু, ছোটবেলা স্কুলে থাকতেই। প্রাণীবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ও পরিবেশ বিজ্ঞানে ডক্টরেট। এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা ও অনলাইন ওয়েবম্যাগ ও ব্লগে নিয়মিত লেখালিখি করেন ২০১২ সাল থেকেই। তাঁর একক কাব্যগ্রন্থগুলি হলো "মন্দ মেয়ের সেলফি", "জন্মান্তরে সিসিফাস", “শব্দ এক পুরুষপাখি”, " চতুর্থ প্রহরে নক্ষত্রের ছায়া", "ঘড়ির তেরো নম্বর কাঁটা" ও "মায়াকীয়া"। শেষোক্ত দুটি সংকলন স্রোত প্রকাশনা থেকে প্রকাশিত। এ ছাড়া এপার ওপার বাংলার বিভিন্ন কবিতা সংকলনে স্থান পেয়েছে পৃথার কবিতা। কিছু কাব্য সঙ্কলনের সম্পাদনা করেছেন; "ক্ষেপচুরিয়াস" নামক সাহিত্য পত্রিকা ও "আমি অনন্যা" সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী পত্রিকার সম্পাদক মণ্ডলীর মধ্যেও আছেন এবং 'শহর' পত্রিকার সহ সম্পাদকের দায়িত্বেও আছেন তিনি। ২০১৬ সালে “শব্দের মিছিল” সাহিত্য গোষ্ঠীর তরফ থেকে “আত্মার স্পন্দন” ১৪২৩ সম্মানপ্রাপ্ত হয়েছেন। তাঁর নিকট কয়েকটি প্রশ্ন ছিলো তিনি উত্তরে যা বললেন তা সকলের জন্যে নিবেদিত।
গোবিন্দ :১
লেখালেখির হাতেখড়ি কখন?কেন?
পৃথা: লেখালেখির হাতেখড়ি বলতে আমি বুঝি একেবারে প্রাথমিক স্তরের হাতেখড়িকেই। সকলেই সেই অর্থে কিছু না কিছু লিখেছেন নিজেদের জীবনে, স্কুলে কলেজে পড়াকালীন। আমরা যাকে বলি রচনা লেখা, বা স্কুল ম্যাগাজিনে ছোট গল্প বা কবিতা লেখা, সেগুলোই আসলে আমাদের হাতেখড়ি। আবার হাতেখড়ির পর কেউ বা উচ্চশিক্ষা পান, কেউ কিছুদূর পড়াশোনার পর তা থেকে বিরত হন, তেমনই কেউ কেউ লেখার এই হাতেখড়ি থেকে শুরু করে লেখাকে ভালোবেসে সঙ্গী করে নিয়েছেন আজীবনের। সেরকমই আমারও হাতেখড়ি।
গোবিন্দ :২
কেন লেখেন?
পৃথা: প্রাণের তাগিদে লিখি, না লিখলে নিজের এক অসম্পূর্ণতা থেকে যায় বলে লিখি, নিজেকেই সুস্পষ্ট এক আয়না দেখাই লিখে, নিজের যেসব ভাবনাচিন্তা, তা না লিখে ফেললেই সেসব কুরেকুরে খেতে থাকে। লিখে ফেললেই এক প্রশান্তি আসে, কখনও অশান্ত মনের ছটফটানি লাঘব হয়। অবশ্য এসব যে বলছি, তার চেয়েও বড়ো কথা হলো, যখন নিজেকে প্রশ্ন করি, লিখে কী হবে? উত্তর পাই কী, জানেন? আমার ভেতর থেকে উত্তর আসে, অক্ষরের চলন, বাক্যের বুনন, আবেগের সিঞ্চন, এসবই আমার প্রাণধারনের রসদের সমান।
গোবিন্দ :৩
কি লেখেন?
পৃথা: কী লিখি! এ এক অতিকায় কলেবরের প্রশ্ন আসলে। লিখি… সে কবিতাই হোক, বা গদ্য; গল্পই হোক বা প্রবন্ধ। সাহিত্যও লেখার চেষ্টা করি, বিজ্ঞানও লিখি। বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম, সাহিত্যের সাথে চিরকালীন প্রেম, তাই পাঁচমিশেলী হয়ে গেছি লেখার দিক থেকে, এই আরকি!
গোবিন্দ:৪
কোন বিষয়ে সাবলীল?
পৃথা: আসলে 'সাবলীল' ব্যাপারটা একটু অন্যভাবে দেখি আমি লেখার ক্ষেত্রে। লেখার একটা পোকা হয়, জানেন? সেটা যখন যেমন ইচ্ছে কুটুস করে কামড় লাগায়! এই কুটুস করে কামড়ানোরও কয়েকটা ধরন আছে। কোনও কামড়ে কবিতা বেরোয় কামড় খেয়ে, কোনও কামড়ে বেরোয় গল্প। এমনই রয়েছে প্রবন্ধ ইত্যাদিরও কামড়। এইসব কামড় খেলেই সেসবের উপশম হিসেবে লিখে ফেলি কবিতা, গল্প বা প্রবন্ধ। এই হলো আমার সাবলীলতা। এর বেশি কিছুই না।
গোবিন্দ :৫
পেশা?
পৃথা: অর্থোপার্জনের জন্য যা যা করতে হয়, সেসমস্ত কোনও কিছুই যে করি না। পেশা বলতে তাহলে কী বলি?! লেখালিখি করি, কিছু বই বিক্রিও হয়, যদিও সেসব বিক্রি বাবদ মূল্য খুব প্রকাশকদের তরফ থেকে কমই হাতে পাই, এমনকি জানতেও পারি না যতক্ষণ না বন্ধুরা কেউ জানান, যে তাঁরা কে কে আমার বই কিনেছেন। হ্যাঁ, একথাও সত্যি, বই বিক্রির অর্থে আমার সংসার চলে না (এতে কেউ কেউ নাক বেঁকিয়ে বলতে পারেন, বই বিক্রি করে সংসার চালানোর ক্ষমতা থাকলে কি আর একথা বলতেন মহাশয়া?)… মোদ্দা কথা, সেই অর্থে তাহলে লেখাকেও পেশা বলতে পারি না। যা করি, সম্পূর্ণটাই ভালোবেসে করি, সংসার হোক বা লেখা। মানে সোজা কথায়, টাকাপয়সা রোজগার করি না, তাই পেশাহীন এক বেকার বলা চলে আমাকে।
গোবিন্দ :৬
কোন বিশেষ স্মৃতি?কিংবা স্মৃতিকাতরতাগুলো?
পৃথা: স্মৃতি তো নানান রকম আছে, সুখের, দুঃখের, ভয়ের। যেহেতু লেখা নিয়ে কথা হচ্ছে, তাই বলি, খুব ছোটবেলা থেকেই প্রচুর বইয়ের মধ্যে মানুষ হয়েছি। বাবা-মা ওই নানা ধরনের বই কিনে দিতেন বলেই আজও পড়ার অভ্যাস আর তার সাথে এই অল্পবিস্তর লিখতে পারি।
ছোটবেলা থেকেই মারাত্মক সৎ আর জেদি ছিলাম। আঁকতাম খুব ভালো। মনে পড়ে, স্কুলের খাতায় একটা আঁকা দেখে সেটাকে ওই খাতারই অন্য পাতায় এঁকে নিয়ে যাবার কথা ছিলো। আঁকাটা দেখে ক্লাসের মিস তো রেগেমেগে লিখে দিলেন "cheated"! উনি ভেবেছিলেন আমি ছবিটা ট্রেসিং পেপার দিয়ে অন্য পাতায় কপি করেছি। কিন্তু তা করিনি। গেলাম মিসের কাছে। পাশাপাশি ছবিদুটো ধরে মিসকে দুটো ছবির মধ্যে বহু খুঁটিনাটি পার্থক্য দেখিয়ে প্রমাণ করে ছেড়েছিলাম, আমি অন্যায় করিনি। উনি নিজের ভুল স্বীকার করেছিলেন এবং স্কুলে অনেক ক্লাসে আমার সেই আঁকাটা নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলেন। আমাকে মাথায় হাত টাত বুলিয়ে অনেক আদরও করেছিলেন।
ও হ্যাঁ, এখন মনে পড়ে, খুব ছোটবেলায় 'শুকতারা' পত্রিকার কোনও একটা সংখ্যায় আমার লেখা গল্প কোনও একজনের স্মৃতিতে সাহিত্য পুরস্কারে প্রথম বা দ্বিতীয় না হলেও, কিছু ভালো লাগা গল্পের মধ্যে বিবেচিত হয়েছিলো। পত্রিকায় সেই জন্য আমার নামও ছাপা হয়েছিলো… সে এক ভারি আনন্দ।
ভেতরে ভেতরে কিন্তু আমি একা ছিলাম, যৌথ পরিবারের সব থেকে ছোট মেয়ে ছিলাম, সবার ভালোবাসা যেমন পেতাম, তেমনই পেতাম কড়া শাসন। বাকি দাদা-দিদিরা বাড়ির বাইরে খেললেও, আমার অনুমতি ছিলো না। মা-বাবা দুজনেরই অপছন্দ ছিলো আমি একা বাড়ির গেটের কাছেও দাঁড়াই, আশে পাশের বাড়ির কেউ আমাদের ছাদে এলে একটু ছোঁয়াছুঁয়ি বা কুমিরডাঙা, ইত্যাদি খেলতাম, নাহলে খেলাই হতো না। তাই পাড়ায় বিশেষ বন্ধুও ছিলো না আমার, অথচ সকলেই একবাক্যে আমাকে ভালো মেয়ে হিসেবে জানতো। একা মেয়ের একাকীত্ব জুড়ে শুধু বই, বই আর বই। অজস্র ছাপার অক্ষরের সাথে প্রেম, খেলা, গল্প।
গোবিন্দ :৭
সময়ের ভাষায় আপনি কি লিখছেন?
পৃথা: "সময়ের ভাষা" বলতে আমি যেটুকু বুঝি, তা হলো, এই অশান্ত সময়ের ভাষাও ক্রমে অশান্ত ও অসহিষ্ণু হয়ে পড়ছে। সেই ভাষাতেই গড্ডলিকাপ্রবাহ দেখি সাহিত্য জগতে। আবার, এও দেখি, এই যে স্রোতে গাভাসানো লেখকের দল, তারা বেশিরভাগই যা লেখেন (বলেন) তা স্রেফ সাহিত্য তৈরি করেন জোর করে। উঁহু, এমন সময়ের ভাষায় আমি লিখতে পারি না কিছুই। আমি লিখি আমার নিজস্বতা, আমার ভাষায় অমৃত এলে, সেই হয় আমার সময়ের ভাষা, আবার গরল এলে তাকেই ধরে নিই সময়ের ভাষা।
গোবিন্দ :৮
এই সময়ে কবিতা কি কোন বাঁক নিচ্ছে বলে মনে হয়?
পৃথা: কবিতা লিখি, খুব পছন্দের সমকালীন কিছু কবির লেখা পড়ি, কিন্তু কবিতা লিখি বলেই গোছাগোছা কবিতা পড়া আমার হয়ে ওঠে না। তবু, যেটুকু পড়ি অথবা যেটুকু চোখে পড়ে যায়, তার মধ্যে বাঁক তো অবশ্যই দেখি। বাঁকের কথা না বলে বরং আমার কথা বলি, বোধহয় আমার পক্ষে সহজ হবে। এখনও কিছু কবি ঘ্যানঘ্যানে প্রেমের চাঁদ-তারা-প্রজাপতি-আকাশ করে চলেছেন, কিছু কবি আবার কবিতাকে সুউচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবেন ভেবে কবিতা লিখছেন, আর এঁদের মধ্যেই কিছু কিছু কবিতা জ্বলজ্বল করে উঠে মন ভালো করে দিচ্ছে। বাঁকের কথা বাদ দিন, এই সব কবিতা, যা কিনা মোহাবিষ্ট করে দেবার ক্ষমতা রাখে, তারাই কবিতা হয়ে উঠছে। আবার এমন কবিও আছেন, যাঁরা অক্ষম প্রচেষ্টা করে চলেছেন, "হাংরি" হবার। সে যাক গে, আমি লিখি, আবার ওই যে বললুম, কিছুটা পড়ি। স্বেচ্ছায় পড়ি তাদের, যাদের রন্ধ্রে মননে ঢোকাতে পারি, আর নিতান্তই চোখে পড়ে যায় কিছু 'কবিতা', যা বোঝার মতো বোধশক্তি আমার হয়নি। তাই সেগুলোকে ঠিক কোন বাঁকে দাঁড় করাবো, বুঝি না।
গোবিন্দ :৯
ত্রিপুরার কবিতা,পশ্চিমবঙ্গের কবিতা এরকম কোন ভাবনা সঠিক?
পৃথা: আমি কোথাকার বাঙালি বলুন তো? জন্মগত ভাবে আমি বাঁকড়ি, আজ পর্যন্ত কোনওদিন বাঁকুড়া যাওয়া হয়ে ওঠেনি, ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বাঁকুড়ার বাংলা শুনে মানুষ, বলতে পারি নিজেও। জন্মেছি আর মানুষ হয়েছি ধানবাদে (যা বিহারে ছিলো, এখন ঝাড়খণ্ডে), তাই জন্মগত ভাবে আমি তো ধানবাদিয়া, তাই না? বিয়ের পরে এলাম কলকাতায়, সেখান থেকে দিল্লি, হায়দ্রাবাদ ঘুরে ফিরে এলাম কলকাতাতেই। এবার আমার কবিতাকে আপনি ঠিক কোন জায়গার কবিতা বলবেন? বাংলা কবিতা হলো বাংলা কবিতা, এর মধ্যে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, এসব টেনে আনা আমার কাছে অত্যন্ত হাস্যকর এবং বিভেদ উৎপন্নকারী মনে হয়। বাংলা ভাষার প্রতি দরদে উথলে ওঠা বাঙালি কিন্তু আদতেই নিজেদের ক্ষতি এভাবেও করবেন।
গোবিন্দ :১০
আবহমান বাংলা কবিতায় আঞ্চলিকতা বিষয়টি কেমন?
পৃথা: আশা করি, এর উত্তর আমার আগের বক্তব্যেই কিছুটা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে একটা কথা কিন্তু আপামর বাঙালিকে মাথায় রাখতে হবে, বিভিন্ন অঞ্চলে একই বাংলার কিছুকিছু রকমফের আছে। এই যে বাংলার আলাদা আলাদা রূপ, সেই সমস্ত রূপকেই বাংলা কবিতায় গ্রহণ করতে হবে। এক রূপ অচেনা হলেই তাকে 'বাংলা নয়' আখ্যা দিয়ে ছুঁড়ে ফেললে চলবে না।
গোবিন্দ :১১
আধুনিক উত্তরাধুনিক বিষয়টি শুনবো?
পৃথা: এ বিষয়ে কিছু বলার সঠিক যোগ্যতা আমার নেই। শুধু বলি, এই আধুনিক আর উত্তরাধুনিকের গেরোয় পড়ে কবিতা বেচারির নাভিশ্বাস ওঠে বহুক্ষেত্রেই। এই প্রসঙ্গ এলেই বড়ো অসহায় মনে হয় নিজেকে। একটা কবিতা পড়ে আনন্দিত বা আবিষ্ট হবার বদলে তার এক একটা শব্দ যতিচিহ্ন, সব টান মেরে মেরে বলি, আহা! চরম পর্যায়ের আধুনিক! আবার উত্তরাধুনিকের নামে কবিতার বদলে প্রলাপ পড়ারও সৌভাগ্য হয়। চুপচাপ দেখি আর নিজেকে সরিয়ে নিই।
গোবিন্দ :১২
এই সময়ে লেখতে আসা তরুণদের লেখালেখিতে কি ছন্দ হীনতা টের পাওয়া যায়?
পৃথা: চিরপ্রচলিত ছন্দের ব্যাপার কিন্তু শুধু এই সময়ের তরুণ কবিরা নন, অনেকেই আজকাল মাথায় রাখেন না। প্রচলিত নানা ছন্দে তো আমি নিজেও লিখি না। তবে হ্যাঁ, ভালো লাগে দেখে, মুষ্টিমেয় কিছু তরুণ কবি কিন্তু ছন্দে ফেরার চেষ্টা করে চলেছেন নতুন ভাবে।
গোবিন্দ :১৩
আপনার কবিতায় শহর ইট কাঠের প্রাধান্য বেশি নাকি অন্য কোন বিষয়ের গভীর সাধনায় কবিতা শরীর বয়ন গড়ে?
পৃথা: আমার কবিতার শরীর শহুরে, সামান্য কিছুটা গ্রাম্যতা মাঝেমধ্যে থাকে। আবার আমার কবিতার আবহে মিশে থাকে পুরাণগন্ধ, সমকালীন ঘটনাপ্রবাহ এবং বিমূর্ত আবহ।
গোবিন্দ :১৪
কবিতা প্রবন্ধ কিংবা অন্যান্য বইগুলোর নাম বলুন?
পৃথা: 'মন্দ মেয়ের সেল্ফি', 'জন্মান্তরে সিসিফাস', 'শব্দ এক পুরুষপাখি', 'চতুর্থ প্রহরে নক্ষত্রের ছায়া', 'ঘড়ির তেরো নম্বর কাঁটা' ও 'মায়াকীয়া', আপাতত আমার এই ছটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে।
গোবিন্দ :১৫
সম্মান পুরস্কারগুলো বলুন?
পৃথা: ২০১৬ সালে 'শব্দের মিছিল' সাহিত্য গোষ্ঠীর তরফ থেকে 'আত্মার স্পন্দন' সম্মাননা পেয়েছিলাম। এর বেশি সম্মানের যোগ্যতা না থাকায়, আর কোনও সম্মান বা পুরস্কার পাওয়া হয়ে ওঠেনি।
গোবিন্দ :১৬
বিশেষ কোন ভাষাকোড আপনার কবিতায় আছে বলে মনে করেন?
পৃথা: অনেকেই মুগ্ধ হয়ে বলেন, আমি শব্দ নিয়ে খেলা করি। করি হয়তো, কিন্তু তা নেহাতই স্বতঃস্ফূর্ত। আর বিশেষ কোনও ভাষাকোড তো নেই আমার কবিতায়। এসব কবিতার মাননীয় পাঠকেরাই ভালো বলতে পারবেন।
গোবিন্দ :১৭
আপনার স্বপ্ন কি?
পৃথা: স্বপ্ন দেখি এখনও। আপাতত সাহিত্যক্ষেত্রকে নিয়ে স্বপ্নের কথাটুকু বলি। দেখি, সাহিত্যজগৎ প্রকৃত কলমকে চিনুক, উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো সেসব কলম। সাহিত্যজগতে দলাদলি, নানান শঠতা, মুখোশ, চাটুকারিতা, তঞ্চকতা দূর হোক। পুরস্কার, সম্মান, এইসবের ক্ষেত্রেও আসুক পূর্ণ স্বচ্ছতা। প্রবীণ লেখকেরা নিজেদের মেকি ওজন ছেড়ে নবীনদের উৎসাহ দিয়ে তুলে আনুন তাদের সঠিক পথে চালিত করে। এতে সাহিত্যজগৎ আরও সমৃদ্ধ হবে।
গোবিন্দ :১৮
ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।
১০:০৭:২০১৯
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন