![]() |
চিরঞ্জীব হালদার |
একটি কবিতা
আমাকে রূপক ভাবনার জগৎ ও ধ্বংসস্তুপের
মধ্যে রেখে আনন্দ চুরাশি সিদ্ধর কাহিনী শুরু করল।
তর্কসিদ্ধান্ত ও মধ্যযুগের মধ্যে যেসব ফাঁক- ফোঁকড়
সেখানে যানগুরুর কতগুলো প্রেমপত্র
গবেষণা গ্রন্থে স্থান দেওয়া যেতে পারে এটা ঠিক ঠিক না হলে
তার বিড়ি দোকানী আর ধারও
দেবে না।তার বৈখরী ভাষী প্রেমিকা বিবাহ সম্বন্ধও নাকচ করতে পারে।
এমন সব রূপক অনটনের মধ্যে
কোন এক ঠান্ডীবুড়ির মুড়ি ভাজার কড়াইয়ে
আনন্দ সেঁকে নিচ্ছে তার গবেষণা গ্রন্থের
ছেতড়ে যাওয়া অক্ষরনাভি।
আমাকে সে চম্পক ফুলের ঠিকানা জানাবে বলে
ঠায় দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আসলে সে বুঝতে চাইছিল, ধ্বংস স্তুপের মধ্যে
আটকে পড়া নরনারীদের প্রত্ন কথন কতটা নিপাতনে সিদ্ধ।
যে পাত্রের নিজস্ব কোন আকার নেই
সেই নিরাকার আমিকে প্রত্ন কথনের জীবিকা নির্বাহের প্রানস্তম্ভ হিসেবে
প্রকৃত কবির মুগ্ধতাগুলো সে যথাযথ নথিবদ্ধ করবে বলে
ক্যোওড়ামী শুরু করলে আমি সাবান কেসের নিচে
তার স্বপ্ন ক্ষেতের চাবি রেখে নশ্বর রাত্রির দিকে পা বাড়াই।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন