![]() |
সত্তাপ্রিয় বর্মন |
আজকাল ঘরের ভেতর দুজনকে চিৎকার করে কথা বলতে হয়
তবু কোনো কথাই শুনতে পারি না কেউ
শুধু চারিদিক থেকে ছুটে আসা মানুষের হুল শব্দ বাণের মতো
আমাদের বধির করে দেয়,
আগে কথা হত কানে কানে
নিঃশব্দে, কখনো ইশারায়
কখনো বা কথাই হত না-
চুপচাপ পাশাপাশি বসে থেকেই বাক্য বিনিময় হত,
এখন ঝড় ওঠে, হাতুড়ির ঘা পড়ে।
আজকাল সিরিয়াস কথা ছাড়া সামান্য কথায় সময় নষ্ট হয় না
অতি আবশ্যিক প্রয়োজনীয় মূল্যবান শব্দবন্ধ,
আগে খুবই কমদামি ইয়ার্কি ঠাট্টা চলতো -
ওজনহীন ব্যক্তিত্বহীন লজ্জাহীন শব্দ :
আজ লজ্জা করে শরীর ছুলে
তাই সযত্নে পরিপাটি হয়ে রেখেঢেকে দাঁড়াতে হয় মুখোমুখি।
আজকাল চোখ রাঙানো কঠিন কঠিন
শব্দ ব্যবহার করি আমরা
অভিধান সাপেক্ষ জটিল শব্দবন্ধ,
শুধু বাচ্যার্থ নয় ব্যঙ্গার্থও ব্যবহৃত হয় কথায় কথায়,
ব্যঙ্গ হতো সেদিনও
সুরসুরি দেওয়া ব্যঙ্গ
খুব সহজেই হাসা যেত :
আজও সুরসুরি চলে, হাসি
কিন্তু খুব সহজে নয়,
ফাটল ধরা আগ্নেয়শিলার মতো শক্ত করে হাসি।
দুই চোয়ালের ভেতর থেকে নীল রঙের বিষ নির্গত হয় আজ,
কারা যেন বিষ ঢেলেছে একুশ শতকের অন্ধকার রাজপথে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন