![]() |
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল-এর দুটি কবিতা |
নপুংসক
ডাঙায় হাঁটতে থাকা পুরুষটি ভাসতে থাকে কয়েক কাঠা জমির জলায় । জ্বলন্ত মশালে পুড়তে থাকে বুক ফুটো করা সমস্ত সর্বনাশ ; নিজস্ব আলোর কম্পনে খেত – খামার শুকিয়ে কাঠ -
স্তিমিত জলে ঝাঁপিয়ে পড়ছে হলুদ রঙের আঁচড় ; থরথর কাঁপতে কাঁপতে খুঁজছে আকাশমনির যোনি পথ ; পাখির ঠোঁটে ছায়া সংকেত
জন্মদাগ খোঁজা ছাড়া কোনো রোদ স্পর্শ করেনা কোনো রজঃক্ষরণের দিন । দখিন পাড়ার দিকে নেশায় মত্ত হয়ে উঠলে উরু – কোমর জড়িয়ে থাকে সারা রাতের কচুরিপানার আভিজাত্য
শুকাতে দেওয়া শাড়ি শায়ায় চান করতে দ্যাখা যায় দুনিয়া মাসিকে - সেই নিশ্চিন্তের অন্তরালে জলের কিনারা । এবং নাবালের পিচ্ছিলতায় নাতিশীতোষ্ণ সুষুম্না বয়ে গেছে হাঁস চরের ভাসন্ত নির্মাণে-
আত্মবিশ্বাস
হাড়জিরে শুকনো রেখাগুলো চাইছে বটঝুরি ঋতু , শূন্যে প্রার্থনার কেকা মিলন। বা এমনও হতে পারে হৃদয় , -ফুল ফুটলে হেঁটে চলে ছায়া রোদ। পাতাঝরা পথ নিয়ে কথা হয় সামান্যই ; বেশির ভাগই নিজের বুকে কাটা দাগ - কোনদিনই দেখলেন না আপনি
আশ্চর্য হতে হতে উধাও হয় রাস্তাঘাট ; এই অরণ্যে কামিনী ফুটতে থাকে - চড়ুইস্নানের জল পেয়েছে রেখাগুলো - তলপেটে ঘুমন্ত করতালি। এরপর তো শীতের কথাই আসছে । হলুদ খামে আঁকা অসতর্ক বিপ্লবের দীর্ঘ জীবন কামনার রীতিতে
দৃষ্টি জড়িয়ে ধরে ভাঙা শিরদাঁড়া : কত যে পাতা ঝরে পড়ে ; জড়ো করি ধ্রুবতারা । সম্মুখীন এবার কাঙ্খিত পূর্নতার প্রকাশ -
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন