![]() |
কিশলয় গুপ্ত'এর তিনটি কবিতা : বাউলানা_১৯ |
তাই বলে কি হার মেনেছি শেষ বিকেলে
নিরোধ টেনে মুখ ঢোকালে বেশ,কী খেলে?
সত্যি কথা বলার বুকে সাহস আছে?
দু'হাত ঝেরে ফালতু বারি রাখছি খানিক
অসুখ বড়- তুমিও জানো আমিও জানি
বৃষ্টি পেলে কূল বনসাই হেসে বাঁচে।
বেকার প্রেমিক আসর মেনে বাসর সাজায়
বেরিয়ে যাবার হুকুম শোনে তবুও না যায়
আমড়াগাছি- চামড়া জুড়ে জাপটে থাকে।
ছন্নছাড়া- পুরুষ পুরুষ বয়স ঝড়ে
ঘরের বাইরে বাড়তি মধু ছিটকে পড়ে
কী জানি কী গল্প থাকে মধুর চাকে।
দেওয়াল জুড়ে টিকটিকি দল এমনি নাচে?
সূর্যমুখী- সত্যি বলার সাহস আছে?
২০
ভালোবাসায় কোল ভরে যায় যদি-
বুক নিংড়ানো শব্দে গড়া বাক্যদল ঢুকে পড়ে
পুরানো তোরঙ্গে ন্যাপথলিন সহ।
ভিখারীকে বাতিল কাপড় দান করার সময়
দীর্ঘশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসে
বাক্যের অবুঝপনা স্মৃতি গন্ধ।
না হয় পাঁজরে চর্বি জমে গেছে
তবু গতকাল ছেড়ে আসা বাসি কাপড়ে
লেগে থাকে কিছু ম্লান স্বপ্ন।
মেয়েলী নিয়মে হরকরা দৌড়ালে
লন্ঠনের আলো পড়ে ইতিহাসের পাতায়
নির্মোহকে অন্য ভাবেও ব্যবহার করা যায়।
ভালোবাসায় কোল ভরে যাক তবু
আমাদের স্বপ্নগোলা নিঃশ্বাস নিক।
২১
মান্দাসে লখীন্দর ভেসে গেলে তোর কীরে বেহুলা!
নিজেকে প্রমাণ করার এত তাড়া?
মাটি থেকে স্বর্গ রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে
বাঈজী হয়ে সম্মান গেল গাঙুরের জলে।
আর চাঁদের কী রেলা!
সওদাগরি অফিসের কেরানী পকেট মেপে
তোর জন্য সতীদাহ প্রথা অথবা বিধবা বিবাহ
ভাবা যেত আরাম সে বসে।
মাকাল লখাই পচে হাড় সর্বস্ব
তার জন্য এত নাচন কোদন।বোগাস।
মঙ্গল কাব্যে অমঙ্গল জনক এই কলমে
অনেক অভিশাপ খাবি খায়।
জানি তো- জানি তো উপসংহার কথা।
খাগের কলমে পুষে রেখেছি গাঙুরের কাদা।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন