![]() |
কর্ণধর মন্ডল |
''হে মহা-মানব'' তুমি একলা প্রাণে প্রেরণা জাগাও,
একলা করো কবিতার মাঝে সৃষ্টি'সুধা রচনা।
তুমি নিজেই সহেছো নির্মম বাণের আঘাত,
নীরবে সহেছো তীব্র আঘাত ক্ষত-বিক্ষত যন্ত্রণা।।
কত তরী গেছে চলে, ব্যথার দরিয়ায় ঢেউ খেলে!
তবু মানোনি হার!তুমি যে ছত্র সম বৃক্ষ।
নব-পত্র জাগে শাখে,সৃষ্টির সুখ সোহাগে,
সহনশীল তুমি!ধরণীর মতো যে সমকক্ষ।।
সাগর কুলে একলা দাঁড়িয়ে....
একলা গুনেছো তীর ভাঙা ঢেউ ।
নব-যৌবন উদ্যাম তটিনী ছন্দে ধায়েছে তরঙ্গনী,
একা করেছো অনুভব সঙ্গে নেই তো কেউ।।
রুক্ষ'মরুর শান্তি-সুখ!তৃপ্তির বারি তুমি,
রিক্ত পিয়াসী হৃদয় ভাসাও কাব্যের রসেতে।
ভাঙা গড়া খেলা চলে জীবনের দুই বেলা,
শক্তি আছে কার রুধিবে মায়ার বসেতে।।
তুমি মহাকাশ সম!সুদুর নীহারিকা মম,
নিজেই ব্যথা সহে,অপরকে খুশী রাখতে।
তুমি নিজেই হয়েও জোছনা আঁধাতে রও,
বুকের যন্ত্রণাকে নীরবে গোপন ছন্দে ঢাকতে।।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন