 |
| অরূপ মুখোপাধ্যায় |
কি লিখি কেন লিখি
' কেন বেঁচে থাকি ' বা ' কেন বেঁচে আছি ' -- এটি যেমন এক অসাধারণ , বিভ্রান্তিকর ও জটিল প্রশ্ন , ' কেন লিখি '--- এ কথাটির ও উত্তর দেওয়া তেমনি অতি কষ্টসাধ্য ও একান্তই বাক্ সর্বস্ব এক অস্বস্তিকর , তাত্ত্বিক ও নীরস বৌদ্ধিক পর্যালোচনা । যতই অস্বস্তিকর হোক না কেন জীবন , বেঁচে থাকার মধ্যে আছে এক চরম তৃপ্তি, সুগভীর আশা ও অনাবিল আনন্দ ! এই আশা , আনন্দ ও তৃপ্তিবোধ না থাকলে , বেঁচে থাকাটা হয় নিতান্তই অর্থহীন । একইভাবে আমার ভাবনাচিন্তা ও চিন্তনে যদি সত্য , সুন্দর , মঙ্গল ও কল্যাণ বোধ না থাকে , আমার বিশ্বাসের মধ্যে যদি চিরন্তন সমৃদ্ধি ও সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা না থাকে , বৌদ্ধিক অনুভবে শাশ্বত ঐতিহ্য ও সুসমৃদ্ধ প্রঞ্জ্গাবোধ এবং সহৃদয় আন্তরিকতা ও দরদ না থাকে , আমার উপলব্ধির মধ্যে যদি ত্রিকালঞ্জ্গ অন্তর্দৃষ্টি না থাকে , প্রকাশভঙ্গির মধ্যে না থাকে স্বচ্ছতা , সরলতা , নান্দনিকতা ও পরিমিতি বোধ তাহলে পাঠক বা সারস্বত সমাজের মধ্যে আগ - বাড়িয়ে এসে নিধিরাম সর্দার সেজে কোনো কিছু লেখালেখি করা শুধুমাত্র অপরকে কষ্ট দেওয়া মাত্র । কেউই স্বেচ্ছায় সে যন্ত্রণার শিকার হতে চায় না ।
সত্তা - অন্তর্গত সেই চিরন্তন ' সত্য' ' সুন্দর ' ' মঙ্গল ' ও ' কল্যাণ'-- বোধে দরদ ও সহানুভূতি রূপ বিবেক ও চৈতন্যের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ব'লেই আদিকবির কণ্ঠ থেকে বের হয়ে এসেছিল ----
মা নিষাদ প্রতিষ্ঠা.....
আমি আমার সমস্ত লেখালেখির মধ্যে যা কিছু বলার চেষ্টা করেছি তা উপরোক্ত সেই সত্তা - অন্তর্গত তাগিদ থেকেই । উপসংহারে তাই কাব্য ক'রেই বলি --------
১
' হৃদয়' ' প্রঞ্জা' ' অভিঞ্জতা'-য়
কবি হওয়া যায় !
বলা -র চেয়ে 'না বলা' টাই
কবির প্রধান দায় !!
২
' অহং' ' আসক্তি' ' অভিমানে '
আপনাকে কেউ পায় না !
নিজেকে না পোড়ালে
কবি হওয়া যায় না !!
' কেন বেঁচে থাকি ' বা ' কেন বেঁচে আছি ' -- এটি যেমন এক অসাধারণ , বিভ্রান্তিকর ও জটিল প্রশ্ন , ' কেন লিখি '--- এ কথাটির ও উত্তর দেওয়া তেমনি অতি কষ্টসাধ্য ও একান্তই বাক্ সর্বস্ব এক অস্বস্তিকর , তাত্ত্বিক ও নীরস বৌদ্ধিক পর্যালোচনা । যতই অস্বস্তিকর হোক না কেন জীবন , বেঁচে থাকার মধ্যে আছে এক চরম তৃপ্তি, সুগভীর আশা ও অনাবিল আনন্দ ! এই আশা , আনন্দ ও তৃপ্তিবোধ না থাকলে , বেঁচে থাকাটা হয় নিতান্তই অর্থহীন । একইভাবে আমার ভাবনাচিন্তা ও চিন্তনে যদি সত্য , সুন্দর , মঙ্গল ও কল্যাণ বোধ না থাকে , আমার বিশ্বাসের মধ্যে যদি চিরন্তন সমৃদ্ধি ও সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা না থাকে , বৌদ্ধিক অনুভবে শাশ্বত ঐতিহ্য ও সুসমৃদ্ধ প্রঞ্জ্গাবোধ এবং সহৃদয় আন্তরিকতা ও দরদ না থাকে , আমার উপলব্ধির মধ্যে যদি ত্রিকালঞ্জ্গ অন্তর্দৃষ্টি না থাকে , প্রকাশভঙ্গির মধ্যে না থাকে স্বচ্ছতা , সরলতা , নান্দনিকতা ও পরিমিতি বোধ তাহলে পাঠক বা সারস্বত সমাজের মধ্যে আগ - বাড়িয়ে এসে নিধিরাম সর্দার সেজে কোনো কিছু লেখালেখি করা শুধুমাত্র অপরকে কষ্ট দেওয়া মাত্র । কেউই স্বেচ্ছায় সে যন্ত্রণার শিকার হতে চায় না ।
সত্তা - অন্তর্গত সেই চিরন্তন ' সত্য' ' সুন্দর ' ' মঙ্গল ' ও ' কল্যাণ'-- বোধে দরদ ও সহানুভূতি রূপ বিবেক ও চৈতন্যের আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন ব'লেই আদিকবির কণ্ঠ থেকে বের হয়ে এসেছিল ----
মা নিষাদ প্রতিষ্ঠা.....
আমি আমার সমস্ত লেখালেখির মধ্যে যা কিছু বলার চেষ্টা করেছি তা উপরোক্ত সেই সত্তা - অন্তর্গত তাগিদ থেকেই । উপসংহারে তাই কাব্য ক'রেই বলি --------
১
' হৃদয়' ' প্রঞ্জা' ' অভিঞ্জতা'-য়
কবি হওয়া যায় !
বলা -র চেয়ে 'না বলা' টাই
কবির প্রধান দায় !!
২
' অহং' ' আসক্তি' ' অভিমানে '
আপনাকে কেউ পায় না !
নিজেকে না পোড়ালে
কবি হওয়া যায় না !!
About Shraboni Parbat
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন