মরার আগে মরে যাওয়া (আতঙ্কে ) একদমই উচিত নয় : রতন বসাক

মরার আগে মরে যাওয়া (আতঙ্কে ) একদমই উচিত নয় : রতন বসাক
মরার আগে মরে যাওয়া (আতঙ্কে ) একদমই উচিত নয় : রতন বসাক


আমরা সবাই জানি যে এই জগতে একবার জন্ম নিলে তাকে মরতেই হবে। বলতে গেলে বলা যায় যে মরাটাই হলো আমাদের ডেস্টিনেশন। আমাদের বয়স বাড়ে না, এক এক দিন করে কমতে থাকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই যেটা নিশ্চিত সেটার ভয় আমাদের বেঁচে থাকাটা একদমই উচিত নয়।

এটাও ঠিক কথা যে এই মৃত্যু ভয়ই কিন্তু আমাদের ভালো করে বাঁচতে শেখায়। ভয় মানুষকে আরো ভালো ভাবে বাঁচার জন্য প্রেরণা দেয়। আমরা যদি নির্ভয়ে থাকতাম, তাহলে হয়তো আমরা কোনো কিছুই আবিষ্কার করতাম না। অন্যান্য জীবদের মতোই বেঁচে থাকতাম এই জগতে। ভয় আর প্রয়োজনীয়তার জন্যই মানুষ এই জগতে সব থেকে উন্নত প্রাণী।

বর্তমানে সারা বিশ্ব এক ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলেছে। যদিও একমাত্র মানুষ ছাড়া আর অন্য কোন জীব এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে আসছে না। তাই মনে হচ্ছে মানব জাতির অস্তিত্ব এই জগতে সংকটের মুখে। হয়তো মানুষকে আরও একবার ভালো করে চিন্তা-ভাবনা করার জন্যই প্রকৃতির এই রোশ। আমরা প্রত্যেকেই প্রচন্ড স্বার্থবাদী হয়ে উঠেছি। নিজের ভালো ছাড়া অন্য কারোরই ভালোর কথা চিন্তা করিনা। এতে অন্য কারো যতোই ক্ষতি হোক না কেনো।

যাইহোক আমাদের মরার আগে কিন্তু ( আতঙ্কে ) মরে যাওয়া উচিত নয় একদমই। আমাদের বাঁচার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যতো কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেনো, ভেঙে পড়লে চলবে না। এগিয়ে যেতেই হবে মনের জোরে। শরীরের থেকে মনের জোরটাই সবচেয়ে বড় কথা। বর্তমানে আমরা দেখছি যে, করোনা নামক এক ভাইরাস যাকে খালি চোখেও দেখা যায় না ; তার ক্ষমতা কতো বিশাল সারা বিশ্ব জুড়ে !

ভেবে দেখুন আমাদের মহান ক্রিকেটার শচীন তেন্ডুলকর মহাশয় তার বাবা তখন মারা গিয়েছিলেন যখন তিনি মাঠে ব্যাট করছিলেন। কিছুদিন আগে দেখেছিলাম যে একজন সংবাদ পাঠিকা যখন সংবাদ পড়ছিলেন তখন তিনি সংবাদ পাঠের শেষে ছবি দেখেই বুঝতে পারেন যে সেই এক্সিডেন্টে তার স্বামী মারা গেছেন। এটাও দেখেছি যে, মহান পরিচালক ও অভিনেতা রাজ কাপুর মহাশয় তাঁর মেরা নাম জোকার ছবিতে। একজন জোকার তার মা মারা যায়, এটা জানার পরেও সে অভিনয় করে গেছেন দর্শকদের হাসানোর জন্য।

এমন আরও অনেক ঘটনা আছে এই বিশ্বে তাঁর থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে ; যতই কঠিন পরিস্থিতি আসুক না কেনো কারো জীবনে, তাকে ভয় পেয়ে থেমে গেলে চলবে না। বর্তমানে এই কঠিন পরিস্থিতির কথা ভেবে কিছু সাহিত্য গ্রুপ ও লেখক ফেসবুকে তারা লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা আমার ব্যক্তিগত মত যে, এটা তারা ঠিক করছেন না। কেননা বর্তমানের এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে ঘরে থাকতে হবে । অযথা ভয় পেয়ে মানসিক ভাবে দুর্বল হওয়াটা ঠিক নয়।

তাই এই আতঙ্কে ভয় না পেয়ে লেখা জারি থাকা উচিত। লিখে যান মন খুলে এটাই যে আপনার ভিতরের শক্তি। এতে নিজের মনটা ভালো থাকবে ও মনের জোর বাড়বে আর আপনার লেখা পড়ে আরো অনেক জানকারি পাবে বিশ্বের পাঠক। বর্তমানে করোনা ভাইরাস আক্রমণের যুদ্ধে আমরা যে যার অবদান ক্ষমতা মতো রাখব, এটাই ঠিক নয় কি ? কে বলতে পারে আপনার লেখনীর মাধ্যমে এক নতুন আলোর দিশা পাওয়া যেতে পারে।

" 🙏 ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন, সবার কথা ভাবুন । 🙏 "
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.