 |
শ্মশান ঘাটের কথা : পিনাকী চৌধুরী |
শ্মশান ঘাটের কথা : পিনাকী চৌধুরী
সত্যি ! জীবনের এ এক অন্তিম করুণ পরিণতি হল মৃত্যু ! কথায় আছে " চিতাতেই সব শেষ "! আর শ্মশান ঘাট হল হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার স্থল ! এখানে বলে রাখা ভাল যে, ' শ্মশান' শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে ।' শ্ম' শব্দটির অর্থ শব ( মৃতদেহ) এবং ' শান' শব্দটির অর্থ শন্য , অর্থাৎ বিছানা ! কেওড়াতলা মহাশ্মশান কলকাতার অন্যতম শ্মশান ঘাট ।
কালীঘাট মন্দিরের অদূরে আদিগঙ্গার বাম তীরে এই শ্মশান ঘাট অবস্থিত । স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে এই শ্মশানটির আধুনিকীকরণ হয় । এখানে অতীতের একসময় রাণী রাসমণিকেও দাহ করা হয়েছিল । বস্তুতঃ অষ্টাদশ শতাব্দীতে এই কালীঘাট অঞ্চলে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে একটি শ্মশান ঘাটের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয় । অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ! ১৮৬২ সালে কালীঘাট মন্দিরের অদূরে দুই বিঘা জমির ওপর বর্তমান শ্মশান ঘাটটি নির্মিত হয় । তবে এককালে কেওড়াতলা শ্মশানের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল । বলা ভাল, খারাপ ছিল ।দাহকার্যের পোড়া কাঠ কয়লা, ভস্ম জমে স্থানটি অপরিচ্ছন্ন থাকতো ।
 |
শ্মশান ঘাটের কথা : পিনাকী চৌধুরী |
সময় থেমে থাকেনি ! তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে ! তবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের সামগ্রিক উন্নয়নে কলকাতা হাইকোর্টের তদানীন্তন বেঞ্চ ক্লার্ক বরিশাল নিবাসী শশীভূষণ বসুর অগ্রণী ভূমিকা এবং অবদান প্রাতঃস্মরণীয় ! তিনি তাঁর পিতার স্মৃতিতে উক্ত শ্মশানে একটি বিরাট বাড়ি নির্মাণ করিয়েছিলেন । আর ২০০৪ সালে কলকাতা পৌরসভা কেওড়াতলা মহাশ্মশান সংস্কারের একগুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহণ করে ।এই প্রকল্পে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সাজানো হয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি এবং উদ্যান । যাতায়াতের পথে প্রায়শই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখি এই শ্মশানঘাটিকে ! মনে মনে ভাবি, সত্যিই জীবনের এক অদ্ভুত সমাপতন হল মৃত্যু ! আর শ্মশান ঘাট হল এক অতি পূণ্যভূমি !
This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন