![]() |
মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা : গোবিন্দ ধর |
বাংলাদেশ ভারতের সীমান্তের গ্রামগুলোর দরিদ্র এখনো লেগে আছে।আর দুই দেশের মানুষের মনন থেকে এখনো শেকড়ের টান যায়নি।কেউ হয়তো ভারত থেকে বাংলাদেশ গেছেন কেউ এসছেন।কিন্তু কারো উদ্বাস্তু মানসিকতার ভয় বহুদূর অব্দি পুঁতিতো।মানুষের রক্তে মিশে থাকে শরনার্থী মনোভাব।মানুষের মনে যতদিন উদ্বাস্তু মানসিকতা থাকে তার শিল্প সাহিত্যে আসে ঘুরেফিরে শেকড় হারানোর যন্ত্রণা। নিজের করে ভাবতে অনেক সময় লাগে কোন দেশকে।এই মানসিকতা রক্তে মিশে যায়।মানুষ তখন খুঁজতে থাকে শেকড়।
হরিণা,বিলোনীয়া এবং কৈলাসহর এই তিনটি জায়গা থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সেক্টর ছড়িয়েছিল। কৈলাসহর মহকুমা মুক্তিযুদ্ধে অবদান কতটুকু সে নিয়ে একটি বইও আছে।
যদিও বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদান নিয়ে গালভরা বুলি আওড়ান ৷ অথচ মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান এক নম্বর সেক্টরের প্রধান প্রাণকেন্দ্র সাব্রুমের হরিনায় কোনোদিন পা রাখেনি ৷ কিছু বলেনওনা এই সেক্টর সম্বন্ধে ৷অথচ এই সেক্টরের অপরিসীম দেশপ্রেম আজকের বাংলাদেশের মুক্তি তরাম্বিত হতে সাহায্য করেছিলো।
বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ত্রিপুরার ভুমিকা ছিল সবচেয়ে বেশী। অথচ সবাই কলকাতা দিল্লীকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে ত্রিপুরা ব্রাত্তই থাকে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ধর্মনগর,কৈলাসহর,কমলপুর অঞ্চলেও মর্টার এসে পড়তো।বিলোনীয়া,শান্তিবাজার, সাব্রুমের হরিণাসহ বিস্তৃর্ণ অঞ্চলের সাধারণ মানুষও ভাঙ্কার খুঁড়ে রাতে ঘুমাতে যেতে হতো।
ত্রিপুরার বিগত সরকার বিলোনীয়ার চোত্তাখলায় মুক্তিযুদ্ধের পার্ক গড়ে দুদেশের মাঝে হার্দিক হৃদ্যতা বাড়াতে এক অপূর্ব নিদর্শন গড়েন।তৎকালিন সময়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধা এক সংগীতশিল্পী বলেছিলেন তিনি চোত্তাখলা অঞ্চলে যুদ্ধের সময় নানা বার্তা পৌঁছাতে সহায়তা করতেন।পাক সেনার নেক নজরে পড়ে তিনি কবরে শায়িত হতে হোন।তারপর লাসের কবর থেকে তিনি উঠে আসেন।তাই তাঁর ভয়ডর নেই।
বাংলাদেশে তিনি এখনো জীবিত।সংগীত করেন।তাঁর স্মৃতিকে কাজে লাগিয়েও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদান বের করা সম্ভব।
তখন হয়তো সঠিক তথ্য বের হবে।ঠিক এক নম্বর সেক্টরে কি কি ঘটেছিলো।কে কে শায়িত আছেন। বীরযোদ্ধার সম্মান পেয়ে হয়তো তখন চোত্তাখলার কবরে তারা শায়িত হতে পারতেন।বীরের মর্যদা তাঁদের অবশ্য প্রাপ্য। পাশাপাশি ত্রিপুরার অবদানকে আরো দৃঢ় করার কাজটি এগুতো বলে আমার ও সমগ্র ত্রিপুরাবাসীর প্রত্যাশা। মনে হয় এ কাজ কঠিন নয় মানসিকতার দরকার।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন