প্রশ্নচিহ্ন রয়ে-ই গেল
সাগর কুন্ডু # ১৭ জুলাই ২০২০ চিত্তরঞ্জন রেল শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে মাথায় ও বুকে গুলির আঘাতে খুন হন ঠিকাদার ব্যবসায়ী বলরাম সিং। ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ জনকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিত্তরঞ্জন থানা রিমান্ডে নেন। বলরামের পরিবারের অভিযোগ, ধৃতদের রিমান্ডে রেখে তদন্তের বদলে থানার ভেতরে কেরাম খেলে মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল পুলিশ। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় থানার সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে বলরামের পরিবারের সদস্যরা আগুন জ্বালিয়ে আত্মঘাতি হতে চাইলে নড়েচড়ে বসেন প্রশাসন। শুরু হয় হত্যাকান্ডের অনুসন্ধানমূলক বিশ্লেষণ। প্রশাসনিক তদন্তে উঠে আসে রেল সুরক্ষা বাহিনি তথা আর.পি.এফ-এর যোগসাজস। এবং বলা চলে, আর.পি.এফ-এর জোগে খুন হলেন বলরাম সিং।
কেন আর.পি.এফ-এর নাম উঠে এল? পুলিশ তদন্তে জানা যায়, চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার তামার তার ও পাইপ চুরির একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল রেল পুলিশ। আর সেই ঘটনার তথ্য ছিল বলরাম সিংয়ের কাছে। আর সেই কারণেই এই হত্যাকান্ড। এই তামা চুরি চক্রকেই বলরাম হত্যার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন প্রশাসন। তামাচুরি ও খুনের কিনারা করতে আপাতত আরও ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ। তার মধ্যে ৯ জন-ই রেল পুলিশে চাকরিরত। প্রশ্ন এখানেই, রেল-সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা আর.পি.এফ কীভাবে জরিয়ে পড়ার সাহস পেল তামাচুরির চক্রের সঙ্গে। উঠছে প্রশ্ন।
বলরাম সিং হত্যাকান্ডের তদন্ত থেকে শুরু করে ঘটনার যাবতীয় বিবরণে বোঝা যাচ্ছে, খুব বড় একটি অপরাধচক্রের হাতে খূন হয়েছেন বলরাম সিং। আভ্যন্তরীন হোক কিংবা ভাড়াটে কিলার, চিত্তঞ্জেনের প্রশাসনিক ভুমিকা তথা আর.পি.এফ প্রসঙ্গে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গেল। আদৌ বলরামের খুনিরা শাস্তি পাবে তো?
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন