অমিয় কুমার চৌধুরি |
চতুর্থ দফা লকডাউনের ঘোষণায় ষাটোর্ধ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে যেতে বারণ করা হয়েছে। ঘোষণার দিন থেকেই আমার উপর চব্বিশ ঘণ্টার কারফিউ জারি করেছে পরিবারের অন্য সদস্যরা। নেতৃত্বে আছে ছোট মেয়ে। ফলে বিকালে বাজারে গিয়ে গরুর দুধ কিনে আনা বন্ধ হয়ে গেছে। পরিবর্তে উঠানো দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একদিন সবার অলক্ষ্যে বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিছুক্ষণ বাদে এক দুধ বিক্রেতা মাঝবয়সী মহিলা আমাকে চিনতে পেরে বলল, দাদা, এটা আপনার বাড়ির? আমি বললাম, হ্যাঁ।
- আর দুধ কিনতে বাজারে যাননা কেন?
- এমনি। আমি পাল্টা প্রশ্ন করলাম - তোমার দুধ এখনও হয়?
মহিলা তৎক্ষণাৎ জিভকেটে মাথা ঝাকিয়ে বললো - ছিঃ বাবু! আমার দুধ হবে কেন? আমার গরুর দুধ এখনো হয়।
দেখলাম কথাগুলো বলতে বলতে মহিলার মুখ লালচে হয়ে উঠছে। সে দ্রুত পা'য়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা হল। আমিও লজ্জাবোধকে জাগ্ৰত করতে করতে ঘরে ফিরলাম। আর ভাবলাম, শিক্ষিত হয়েও আমি অজান্তেই এমন একটা ভুল করে বসলাম? আর গ্ৰামের অশিক্ষিত মহিলা কি লজ্জায় না আমাকে ফেলে দিল? ভাগ্য ভালো আশেপাশে কেউ ছিল না।
শুধু কি আমি? একবার রায়গঞ্জ থেকে বাসে করে ফিরছিলাম। কুশমন্ডি বাসস্ট্যান্ড বাস দাঁড়াতেই দেখতে পেলাম একটা ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে 'মহিলা দুগ্ধ উৎপাদন সমবায় সমিতি'। নীচে রেজিঃ. নং লেখা আছে!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন