একজন বলেছিলেন, আমাদের সেই গানগুলিই সবচেয়ে মিষ্টি, যেগুলিতে দুঃখের বাণী লিখেছি। অন্যজন বলেছিলেন, যে গানের সুর শুনেছি, তা মিষ্টি, তবে যা আজও শুনিনি, তা বুঝি আরো মিষ্টি হবে। প্রথম জন শেলি। দ্বিতীয় যাঁর কথা বলেছি, তিনি কীটস্। বয়সে একেবারেই পিঠোপিঠি। শেলি একটু বড়ো। কীটস সামান্য একটু ছোটো। শেলি জন্মেছেন ১৭৯২তে। আর কীটস ১৭৯৫তে। তবে কীটস ১৮২১ এ পঁচিশ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। শেলি ১৮২২ এ ঊনত্রিশ বছর বয়সে মারা গিয়েছেন। শেলি প্রাণ হারিয়েছেন জলে ডুবে। কীটস যক্ষ্মা রোগে। আমাদের কবি সুকান্তও মারা গিয়েছেন যক্ষ্মায়। যক্ষ্মা ছিল মারাত্মক রোগ।
যক্ষ্মাকে লোকেরা রাজরোগও বলত। কেননা, যথেষ্ট সম্পন্ন গৃহস্থ ঘরেও যক্ষ্মা রোগীর বাঁচার আশা থাকত না। ১৮৮২ সালে এক জার্মান চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যক্ষ্মা রোগের জন্য দায়ী জীবাণুকে। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস। তিনি রবার্ট কখ। ১৮৪৩ সালের ১১ ডিসেম্বর তারিখে জন্মেছিলেন তিনি। আর প্রয়াত হন ১৯১০ সালের সাতাশে মে। এমনই একটি দিনে।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন