![]() |
বাবলি সূত্রধর সাহা |
বাবলি সূত্রধর সাহা
কবিতার নির্মাণ যার নেশা সেই কবি উত্তম চৌধুরীর প্রথম কবিতা "খেদহীন"। কবিতাটিতে অদ্ভুত এক সময়কে বোঝানো হয়েছে।আমাদের চারপাশের অনাবশ্যক কথা,বুদ্ধিহীনতা মাত্রাতিরিক্ত লোভ আসলে জঞ্জালের মতো। এটাতে সায় দেওয়াটাই ভালো কাজ পন্ড করার মতো।শুভ বুদ্ধিতে অশুভ হাওয়া ঘুরতে থাকে।সময় কারও জন্য অপেক্ষা করেনা।কিন্তু কবি সময়কে বন্দি করতে চেয়েছেন।প্রকৃতির পরম আশীর্বাদ রোদ।এই রোদের জন্যই নিজেই মাঠে মাঠে আকাশ হতে চেয়েছেন।অপূর্ব শব্দের মেলবন্ধনে কবির যাপন রোদের সাথে।
![]() |
উত্তম চৌধুরী |
আসছি পরের কবিতায় " বাক্যালংকার" নিয়ে।এই কবিতাটি আশ্চর্য ভাবে লেখা হয়েছে শব্দের স্থান পরিবর্তন করে। ইংরেজিতে একে বলে Chiasmus বা বাক্যালংকার।এতে প্রথম বাক্যাংশের ব্যবহৃত শব্দগুলি দ্বিতীয় বাক্যাংশে উল্টে দেওয়া হয়েছে।যেমন -" পাখিদের ডানার ভেতর আমাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের স্বপ্ন ছিল পাখিদের ডানার ভেতর।" এই কবিতাটির মধ্য দিয়ে তিনি মানুষ ও জীবনকে এক গণ্ডীর মধ্যে আটকে না রেখে উড়ানের বৃত্তকথায় লিপিবদ্ধ করেছেন। নিজেকে ও শহরকে নাটোরের চোখে আঁকতে চেয়েছেন।নদীর চোখের ভাঙন আর ভাঙনের খন্ডরেখায় মিশে যায় বনেদী খামার বাড়ির কবি কল্পনার মানবী।যার হাতে শুধুই মেহেদি রাঙানো শিল্প।য হাত শুধুই শুভ বার্তা বহন করবে,পৃথিবীর ভাঙন নয়,অসুখ নয়।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন