![]() |
ব্রতচারী গ্রামের কথা : পিনাকী চৌধুরী |
ব্রতচারী গ্রামের কথা : পিনাকী চৌধুরী
জোকার অনতিদূরেই ৩৩.৩ একর জমিতে গড়ে উঠেছে সবুজ গাছগাছালীতে ভরা আস্ত একটি গ্রাম । ছায়াসুনিবিড় সেই ব্রতচারী গ্রামটি যেন আক্ষরিক অর্থেই সাজানোগোছানো একটুকরো জনপদ , যেখানে নাগরিক যন্ত্রণা নেই , আছে শুধুই উন্মুক্ত প্রকৃতি । ১৯৪০ সালে এই ব্রতচারী গ্রামটি প্রতিষ্ঠা করেন গুরুসদয় দত্ত । বাস্তবে গুরুসদয় দত্ত সেইসময় ব্রতচারী আন্দোলনের সঠিক রূপায়ণের জন্য এবং জনশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে এই গ্রামটির গোড়াপত্তন করেন । তিনি লোকশিক্ষা, লোকসঙ্গীত ও লোকনৃত্যের চর্চা করতেই তিলে তিলে গড়ে তোলেন তাঁর স্বপ্নের ব্রতচারী গ্রাম ।
বর্তমানে এখানে যেমন রয়েছে তিনটি বিদ্যালয় , তেমনই রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ , তার পাশাপাশি গুরুসদয় দত্ত সংগ্রহশালাটিও সবার নজর কাড়ে । সারাবছর মহিলাদের স্বনির্ভর প্রকল্পতে অনেক মহিলাই আজ এখানে স্বনির্ভর । পাশাপাশি ব্রতচারী প্রশিক্ষনেরও ব্যবস্থা রয়েছে এই গ্রামে । ব্রতচারী মিউজিয়ামের কিউরেটর, সেক্রেটারী বিজন মন্ডল জানালেন " ২৫ শে বৈশাখে রবীন্দ্র জয়ন্তী যেমন এখানে পালন করা হয়, তেমনই ২১ শে ফেব্রুয়ারী এখানে সাড়ম্বরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও পালন করা হয় । এছাড়া যেহেতু ১০ ই মে গুরুসদয় দত্তের জন্মদিন, সেজন্য ঐদিনে এই ব্রতচারী গ্রামে ফটোগ্রাফী শো, আলোচনাচক্র এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।"
ভারত সরকার থেকে কোনো অনুদান আসে ? প্রতিবেদকের এই প্রশ্নের জবাবে বিজন মন্ডল বললেন " ভারত সরকার থেকে আগে নিয়মিত অনুদান আসতো , কিন্তু গতবছর থেকে তা বন্ধ হয়ে গেছে ।" তবে ব্রতচারী আন্দোলনের রূপরেখা নির্ণয় করে এই ব্রতচারী গ্রামটি আজও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের পীঠস্থান হিসাবে এবং জনশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে সমাজে গৌরবজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে চলেছে ।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন