![]() |
সভ্যতার নিরিখে : পুষ্পজিৎ পতি |
সভ্যতার হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরে, কোনো এক ব্ল্যাক হোলে নিঃক্ষেপ করা সভ্যতা, সম্পর্কহীন নাড়ি. ধূসর কালো অথবা চকচকে সহবাস, আমার অচেতন নিরাকার কল্পনায় প্রাণ পায় নিঃশব্দ তরঙ্গে.
গণিতের ধারাপাত ছাই হওয়া ধোঁয়ার কুন্ডলী, সমন-লোকে বামন যাত্রা নির্লোভ অপদেবতার ভিড় বলির বলি অপচেষ্টার দর্শকবেসে.
তারপর.....
স্বার্থসিদ্ধির চরম রূপরেখা, আমি দীক্ষিত, আমি সুনিপুন উত্তসূরী. ব্যঙ্গ চিত্রগুপ্তের থ্যাবড়ানো ললাট লিখা. বিদ্রুপ তৃপ্ত হাসি,
হাজার আলোকবর্ষ দূরে...
তখনও পৃথিবীতে ঘাস জন্মায় নি, সমুদ্র শৈবালে মৎস্য কন্যার নির্ভীক শুন্যতায় আবরণহীন, স্বপ্ন চারণ. দ্বিপদ জঘন্যতার বিমুখ চতুর্ভুজ দাঁত কিচিয়ে দোল খায় তারও অনেক বর্ষ পরে....
সবুজ দ্বীপের সর্পিল সোহাগ, ধীরে ধীরে গ্রাস করে নৈসর্গিক নির্ভীকতা. সভ্যতা সূচনার আর্তনাদে ফেটে যায় সরীসৃপের নিঃকলুষ হিয়া, বিদির্ণ হয় তার অস্তিত্ব. রক্ত চোষা কীট বড় হতে হতে রিরংসায় লাল হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নগ্ন মাদকতায় পেলব আশ্রয়ে. আমার গর্ব করা মানব সভ্যতা বলয়ে.
4 Comments:
খুব ভালো লেগেছে ভাই তোমার সাহিত্যিক সৃজনশীলতা।এমনি ভাবেই লিখে জাও।প্রতিদিন বা প্রতি সপ্তাহে কিছু কিছু লিখতে থাকো।তুমার জন্য রইল হার্দিক শুভেচ্ছা। অজয় মাহান্তী,রাঁচী।💐💐💐💐
দাদা অসাধারণ.....
খুব ভালো লাগলো।
very nice sir
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন