![]() |
গৌরিতীর্থ : প্রতিমা রায়বিশ্বাস |
আমি মাটি খুঁড়ে একটি শূন্য বুনেছি দেখো।
ওখান থেকে অঙ্কুরিত হবে দাউদাউ করা একটি সূর্য।
আমি তার উপর এবার দাদা বসিয়ে দেব তোমার জলভরা অতীত।
তাহলেই শতক কবিতা থেকে উঠে আসবে একটি ক্ষুধার্ত গমগমে চুলা।
বৃষ্টি ফোঁটার মতন টপটপ ফুটে উঠবে এই কার্তিকের হাঁড়িতেও ভাততারা।
এ হৃদয় থেকে তোমার বাড়াভাত খেয়ে ঢেকুর উঠে গেলে
উদ্বৃত্ত কথা ছড়িয়ে দিতে ভুলো না দাদা.... গাছ তলায়।
কেননা এখনও তোমার কথার গন্ধে বিন্দু বিন্দু তারায় জমে আশ্বাস।
ভাতের টানে এখনও কারো শৈশব মুছে যায় শ্লেটে।
ভাতের পেটে জন্মায় এখনও বেহায়া সমাজ।
এখনও কারো কারো রক্তে ফোটে শুধুই জলকণা।
হৃদয় ভ'রে গেলে দিও না উদ্বৃত্ত কিছু ফেলে
ছড়িয়ে দিও শিউলিতলায়...তুমি ও জানো ইলোরার তীর্থঙ্কর
ওরাই শরতের শিউলি হয়ে ফুটবে।
এ উহ্য অনুরোধ নিয়ে কবি...দেখতে পাচ্ছি হাত দিয়ে মাখছেন একটি দিন।
কি আহ্লাদে ক্ষণ নামছিল শ্বেত মাকালের ছায়া বেয়ে..
স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তিতপোল্লার সুপুষ্ট সবুজে
উঁকি দিচ্ছে সেই শূন্যে বেড়ে ওঠা সূর্য
রোহিনী ডগায় ঝুলছে আর একটি দিন ।
এবার আমার নাম ধরে ডাকছে যেন এক বর্ণ ,
পাতার বদলে দেখছি থরে থরে সাজানো রয়েছে তিতকুটে কবিতারা ,
মিষ্টির প্লেট ভ'রে...সিরায় ভরপুর প্রতিটি অক্ষরদানা।
থাক এসব,এসো দাদা...গর্ত থেকে পুতে রাখা সেই শূন্য তুলে আনি...
চোখে পুরে নিয়ে নিক্ষেপ করি অনন্তে।
কেননা এখানে তিতপোল্লার পাতাগুলি পঞ্চপ্রদীপের মত বিছানো দেখতে পাচ্ছি...
কোণায় কোণায় সাজিয়ে রেখেছে কেউ সলতে ।
দিনফুল ঝড়ছে সারাবেলা।অনন্তে আর শুভদীপ জ্বলছে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন