 |
| বিশ্বকর্মা পুজো এবং ঘুড়ি উৎসব : পিনাকী চৌধুরী |
বিশ্বকর্মা পুজো এবং ঘুড়ি উৎসব : পিনাকী চৌধুরী
দুর্গাপুজোর কাউন্ট ডাউন শুরু হয়ে গেছে, হাতে রয়েছে আর গোনাগুন্তি কয়েকটি দিন । তবে তার আগে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই যেন পাড়ায় পাড়ায় রিক্সা স্ট্যান্ড এবং বাসগুমটিতে ছোট ছোট প্যান্ডেলে সাড়ম্বরে পালিত পুজো ! আর হ্যাঁ, রিক্সাওয়ালারা কিন্তু এইদিনে ' পরিমিত খাদ্য - অপরিমিত মদ্য' - এই তত্ত্বে বিশ্বাসী ! আর এই বিশ্বকর্মা পুজোতে পশ্চিমবঙ্গের আকাশে দেদার ঘুড়ি উড়ে ! যদিও আগের মতো প্রচুর ঘুড়ি হয়তো ওড়ে না, কিন্তু তবুও আজকাল এইদিনে আকাশে ইতিউতি ঘুড়ি কিন্তু ওড়ে ! বাস্তবে পাতলা কাগজের সাথে চিকন কঞ্চি লাগিয়ে ঘুড়ি তৈরি করা হয় । এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সুদৃশ্য নকশার ঘুড়িও দেখতে পাওয়া যায় । বলা ভাল, এযেন এক সম্পূর্ণ বিনোদন !
আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানে ঘুড়ি ওড়ানোর চল আজও রয়েছে । তবে আজ থেকে প্রায় ২৮০০ বছর আগে চীন দেশে বোধহয় সর্বপ্রথম ঘুড়ির উৎপত্তি ঘটে ! পরবর্তীকালে ভারত ও বাংলাদেশে তা বিস্তার লাভ করে । এখানে বলে রাখা ভাল, প্রথমদিকে কিন্তু ঘুড়ি কিন্তু কাগজ আর হালকা তন্তু জাতীয় সিল্কের কাপড় দিয়ে ওড়ানো হতো । কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে বর্তমানের ঘুড়িতে সিনথেটিক জাতীয় পদার্থ ব্যবহৃত হয় । ২০১১ সালের একটি ঘটনার কথা বলি , সেইসময় ব্রিস্টনে ঘুড়ি উৎসব শেষে সবচেয়ে বড় ঘুড়িটি প্রায় ২০ মিনিট আকাশে অবস্থান করে , এবং এটি ভূমির প্রায় ১০,৯৭১ বর্গফুট স্থান দখল করেছিল । ভাবা যায় !
তবে পশ্চিমবঙ্গে এই বিশ্বকর্মা পুজোতে আকাশে আজও বেশ সাড়ম্বরে ঘুড়ি ওড়ানোটা একটি রেওয়াজ ! এমনকি বাবা বিশ্বকর্মার চরণতলেও ঘুড়ি নিবেদন করে অনেকেই পুজো সমাপন করেন ! আর অতীতের একসময় দেখতাম বিশ্বকর্মা পুজোতে আকাশে ছেয়ে গেছে ঘুড়িতে ! অসম্ভব দৃষ্টিনন্দন সেই দৃশ্য ! আর অন্য ঘুড়ির সুতো কাটার নিমিত্তে অনেকেই কাঁচের গুঁড়ো , এবং আঠা মিশ্রিত এক বিশেষ ধরনের মশালা তৈরি করে সুতোয় মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয়, যাকিনা মাঞ্জা নামে সুপরিচিত !
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন