শ্রীলঙ্কার খ্যাতিমান সংগীত ব্যক্তিত্ব আনন্দ সামারাকুন ১৯৩০ সালে বিশ্বভারতীতে চারুকলা ও সংগীত বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে এসেছিলেন। সেখানে তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সান্নিধ্য পান। রবীন্দ্রনাথ তাঁর ছাত্র আনন্দ সামারাকুনের জন্য বাংলা ভাষায় ‘নমো নমো শ্রীলঙ্কা মাতা ‘ গানটি রচনা করেন এবং এর সুর দেন। সামারাকুন তারপর ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ শাসনাধীন শ্রীলঙ্কায় ফিরে যান এবং সিংহলি ভাষায় গানটি অনুবাদ করেন। ১৯৫২ সালে শ্রীলঙ্কার প্রথম স্বাধীনতা দিবসে গানটি আনুষ্ঠানিকভাবে গাওয়া হয়।
বাংলা লিপিতে (সিংহলী শব্দ)
শ্ৰী লংকা মাতা
অপ শ্ৰী ..... লংকা নম', নম', নম', নম' মাতা!
সুন্দর সিরি বারিনি
সুরন্দি অতি শোভমান লংকা
ধান্য ধনয় নেকা মল পল তুরু পিরি
জয় ভূমিয় রমাইয়া
অপ হত সপ শীরী সেথ সাধনা
জীবনয়ে মাতা
পিলিগনু মেনা অপ ভক্তি পুজা
নমো, নমো মাতা
অপ শ্ৰী ........... লংকা নমো, নমো, নমো, নমো মাতা!
ওবাবে অপ বিদ্যা, ওবাময় অপ সত্যা
ওবাবে অপ শক্তি, অপ হদা থুল ভক্তি
অবা অপ আলকে, ওপগে অনুপ্ৰাণে
অবা অপ জীবন বে, অপ মুক্তিয় ওবা বে
নব জীবন দেমিনে
নিতিন অপ পুবুদু করণ, মাতা
জ্ঞান বীর্য বডওমীনা রেগেনে
য়নু মেনা জয় ভূমি কর
এক মওকুগে দরু কলা ববিনা,
য়মু য়মু বি নপমা
প্ৰেম বডা সম ভেদ দুরর দা
নমো, নমো মাতা
অপ শ্ৰী ..... লংকা নমো, নমো, নমো, নমো মাতা!
গানটির বাংলা অনুবাদ………
মা লংকা আমি তোকে প্রণাম করি!
হে মা, তোর সমৃদ্ধি বিপুল,
দয়া আর মমতায় তুই অতুল,
অনাজ আর সুস্বাদু ফলেতে পূর্ণ,
উজ্জ্বল রঙের সুগন্ধিত ফুলে ফুলেল,
জীবন আর সকল ভাল বস্তুর ধাত্রী,
আনন্দ আর বিজয়ের আমার ভূমি,
আমার আভারী প্রশংসা স্বীকার কর,
শ্ৰীলঙ্কা! আমি তোর প্রশংসা করি।
আমাকে জ্ঞান আর সত্যের দান দেয়া জননী,
তুই আমার সামর্থ্য আর আন্তরিক বিশ্বাস,
আমার দিব্য জ্যোতি আর সংবেদনশীল জীব,
জীবন আর মুক্তির শ্বাস।
আমাকে বন্ধন মুক্ত প্রেরণা, প্রদান কর,
নবীন বুদ্ধি আর শক্তিতে,
রোগ, ঘৃণা, কলহ সকল শেষ হয়ে যাক,
ভালবাসায় পূর্ণ, এক শক্তিশালী রাষ্ট্র,
আমরা সবাই এক হয়ে, আগ বাড়াই।
হে মা আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যা।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন