কবি সংঘাত
সুহৃদ
প্রেমাতুর কবি হতে পারলাম না।
কিশোরীরা তাই আমার বই ছুঁড়ে থুতু দিয়ে বয়কট করলো,
অনেকেই বিশ্রী, নোংরা,বাজে,পঁচা বলে নামিয়ে দিলো আস্তাকুঁড়ে-ঐ জঘন্য বস্তিতে!
কবিতায় 'কমরেড' লিখলাম বলে আমাকে বানিয়ে দিলো ইনফিডেল-জঘন্য নাস্তিক।
কিশোর আমার লেখা প্রচ্ছদটি হাতে নিতেই মা চেঁচিয়ে থাপ্পড় দিয়ে নিরুৎসাহিত করলো-এতে কবিতা নেই বলে।
কবি হতে আসলাম তবুও অগণিত সাংঘাতিক দুর্ধর্ষ কবির মিছিলে-একটা কবিতা লিখব বলে।
ধকল গেল অনেক,নির্ঘুম কত রাত,কত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, গতরখাটা ক্লান্তি এই অস্তিত্বের সাথে-এবারও কবিতা হলো না।
হলো পুঁজিবাদী,নষ্ট পতিতার দেহের মতোন বিশ্রী-কবিতা হলো না।
সঞ্চয়িতার শব্দ চুরি করলাম, চুর হলাম,সভ্যতার আপাদমস্তক ধর্ষণ করলাম,সব্যসাচী হলাম,বারুদের স্বপ্নকে গোলাপের প্রেম দিলাম-তবুও কবিতা হলো না!
পাঠকের গালির মিছিল আমি হজম করলাম অসহায়, বিবস্ত্র আর অক্ষম হয়ে!
কী আশ্চর্য!
একদিন কবিতা হলো-হঠাৎ কবিতার কিশোরীরা আমাকে আলিঙ্গন করলো। কবিতায় অশ্লীলতা, ভয়ংকর সেক্স আর অসত্য নকল করলাম-কবিতা এবার আলো দেখলো বন্ধুসভার!
ধার করলাম নীতির শব্দজাল,স্বাধীনতার নীতিকথা, নীতির পঁচাবস্তা লাশ আর অস্ত্রের চক্রান্ত -আমার কবিতা হলো।
প্রচ্ছদগুলো লাল টকটকে আলো ছড়িয়ে শত ভর্ৎসনা করে কবির মিছিলে আমাকে বুটের আঘাতে লাথি দিয়ে মাটিচাপা দিলো-এবার ভয়ংকর কবি হলাম!
এভাবেই আমি কবিতার প্রাণকে ছিন্নভিন্ন করে রক্ত দিয়ে অপমান করলাম,নিরর্থ প্রলাপে ভরিয়ে দিলাম কবিতার যৌবন!
কী ভয়ংকর-আমি কবি হলাম!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন