সে এক মহাপৃথিবীর জন্য
লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল
অন্তর্গত আবরণের কোন ইট পাথর হাঁটু গেড়ে চিৎকার খোঁজে , তীব্র হয়ে ওঠা ভগীরথ সভ্যতার নাভিকুণ্ডলে বিচিত্র লালা এগিয়ে আসে - কমতে থাকা দূরত্বে ন' কোটি তন্দ্রালু বুক - কোন যুক্তি ছাড়াই গাছ কাটে - গাছ ভাঙে - আর প্রজাপতির রূপ সজ্জা দেখেই ডানা ছিঁড়ে নেয় হাতাহাতি - তারপর ধর্ষণ -
অহংকার নিয়ে নিয়তবায়ু প্রদীপ অতিক্রম করে
তবুও উপায় নেই - বইমেলায় মহাপৃথিবী , দুমড়ানো মুচড়ানো কালো সাইড ব্যাগে মহাপৃথিবী , গাল বসে যাওয়া উচ্চারণে মহাপৃথিবী - কেন না কবিতা তখন পৌঁছে গেছে এক কোটি টাকায় - এ নিয়ে বিষ্ময় বোধের তুলনায় হাসাহাসিগুলো ক্ষমতা তান্ত্রিক শোভাযাত্রায় আলোচিত হল খুব - দীর্ঘদিনের জেগে ওঠা হৃদয় আক্ষেপ নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর আকর্ষণেও চলতে থাকল গোপন মুদ্রার হস্তান্তর - তবু দ্বীপের শব্দ শোনা যায়
ধ্বনিত হয় বিমর্ষ শরীরের উচ্চারণ
পরাজয়ের কোন ঠিকানা নেই , মাঝে মাছি ওড়ে আসে ঝাঁক ঝাঁক - হুলে মাখানো দখল করার ডিওড্রেন্ট , এসময় সমস্ত ঐহিকতায় ফিরে চেয়ে দেখি এক এবড়োখেবড়ো পাথরের স্থপতি হাসি - কোন শ্রুতি গোচর শব্দ নয় - শুধুই ভূ-প্রকৃতির গঠন আর কয়েকটি বাতাসময় সরস্বতীর আনাগোনায় ভেসে ওঠে ভবিষ্যতের ধ্বংসস্তুপ -
এবার না হয় প্রতিকৃতির চারপাশে তাঁর স্বাক্ষর ছুঁয়ে দেখি
প্রয়োজনীয় গান আর কিছু উপসর্গের কাছে নিরন্তর উচ্ছ্বসিত হোক দেবতা নির্মাণের আহ্নিক গতির ফলাফল -
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন