মেয়ে অপহরণের চেষ্টা, আটক ৫ সন্দেহভাজনকে আদালতে তুললেন চিত্তরঞ্জন পুলিশ
কাজল মিত্র # বুধবার রাতে চিত্তরঞ্জন তিনম্বর গেট দিয়ে টাটা সুমো নিয়ে ৫ জন বহিরাগত যুবক চিত্তরঞ্জন শহরে প্রবেশ করে। তাঁদের প্রবেশের সময় তিননম্বর গেটের প্রহরারত আর.পি.এফ. জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে যাবে কোনো রোগীর সঙ্গে দেখা করতে।
কিন্তু সেখান থেকে তাঁরা হাসপাতালে না গিয়ে, যান সিমজুড়ি এলাকায়। ৮৮ নম্বর রাস্তার ২০/এ বাসার সামনে পৌঁছায় এবং তাঁরা সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি মেয়ে, অপহরণকারী বলে চিৎকার করতে থাকে। ফলে তাঁরা ভয় পেয়ে পালাতে যায়। এবং সেখানে স্থানীয় লোকজন জমায়েত হলে চিত্তরঞ্জন পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং চিত্তরঞ্জন পুলিশ অতি দ্রুত চিত্তরঞ্জন এলাকার সমস্ত গেটে জানিয়ে দেয়। ফলে, তিননম্বর গেটের আর.পি.এফ. গাড়িটি আসতেই গাড়িটিকে আটক করে। কিন্তু তাদের পিছনে আসা সিমজুরি এলাকার কিছু যুবক এসে ওই টাটাসুমোতে ভাঙচুর চালায় এবং তখনই গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচ জনের মধ্যে তিনজন ভয়ে পালায় ও দুই জনকে আটক করা হয়। কিন্তু পরে আরো দুইজনকে রূপনারায়নপুর পুলিশ পলাতক অবস্থায় আটক করে তাদের চিত্তরঞ্জন পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায় যে, বোকারো চাষ এলাকা থেকে ঝাড়খন্ড নম্বর JH10A B9370 নম্বরের একটি টাটা সুমো নিয়ে আসে ওই পাঁচ জন যুবক । তারা চিত্তরঞ্জন এর সিমজুরি এলাকায় কোন এক মেয়ের সঙ্গে পুরোনো সম্পর্কের সূত্র ধরে দেখা করতে যায় কিন্তু মেয়েটি তাঁদের সঙ্গে দেখা না করতে চাওয়ায়, তাঁরা তাঁর ভাইকে মারধর করে।
ফলে মেয়েটি জোরে চেঁচামেচি শুরু করে। যার ফলে আগন্তুকরা সেখান থেকে পালাতে শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় মানুষজন সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে গাড়িটির পিছু ধাওয়া করার পাশাপাশি তিন নম্বর গেটে ফোন করে ঘটনাটি জানিয়ে দেন। যদিও বিষয়টি আঁচ করতে পেরে চিত্তরঞ্জন তিন নম্বর গেটে প্রহরারত আরপিএফ গাড়িটি আটকে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর অতীন্দ্রনাথ দত্ত সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা পৌঁছে যান। কিন্তু সিমজুরি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় ঘণ্টাখানেক চিত্তরঞ্জন তিন নম্বর গেট এলাকায় ব্যাপক শোরগোল করে এবং গাড়িটি ভাঙচুর চালায়। শেষ পর্যন্ত টাটা সুমো এবং দুই ব্যক্তিকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ তিন নম্বর গেট থেকে আরপিএফ এর সহযোগিতায় আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে পলাতক দুইজনকে রূপনারায়নপুর পুলিশ আটক করে চিত্তরঞ্জন পুলিশের হাতে তুলেদেয়। তাদেরর নাম গুলি হল রবি কুমার, প্রিন্স কুমার, অঙ্কিত শর্মা, ও বিজয় কুমার। তাদের সকলকে আজ আসানসোল কোর্টে তোলা হয়।
About Shraboni Parbat
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন