![]() |
ওয়াহিদা খাতুন |
ক্ষুধার্তের মুখে মারণাস্ত্র, লজ্জা কোথায় ঢাকি
ওয়াহিদা খাতুন
খিদের জ্বালায় গর্ভবতী হস্তিনী মা,
জঙ্গল ছেড়ে এসেছিলো লোকালয়ে,
সভ্য যুগে সর্বসেরা মানুষের মাঝে আশ্রয়ে!
পেটে নিয়ে শাবক ছানা,
আহ্লাদে তো সে আটখানা!
বাচ্চাটিকে কষ্ট করে,
রেখেছিলো পেটে ধরে!
কত আশা ছিলো বুকে,
সেই আশা নিয়ে মা হস্তিনী
মরলে কিনা শেষে ধুঁকে?
ঝুলে ছিল বাগানে ওই
কী সুন্দর আনারস,
আনারসটি দেখার পরে
গর্ভে থাকা শাবক টিকে
মনে মনে বলেছিলে---
বাছা আমার সবুর কর-
আর একটু ধৈর্য্য ধর-
রসে ভরা ফলটি খেলে
তুইও এর রস নিবি গিলে!
হৃষ্টপুষ্ট শাবক হয়ে আসবি রে তুই আমার কোলে-
নাচবি যখন শুঁড়টি তুলে-
যাবো আমি দুঃখ ভুলে -
তোকে পেয়ে মনে হবে পূর্ণিমার ওই চাঁদটা দোলে!
স্বপ্নে ছিলে এত বিভোর,
বিকট শব্দে ভাঙলো যে ঘোর!
পেলে নাতো স্বাদে ভরা টইটম্বুর সেই ফলের রস,
বোমা ফেটে যে ঝলসে গেলে
বিরাট দেহে নামলো ধস।
ওটা তবে ছিলো নাকি
বোম ঢোকানো আনারস !
ভাবতে গেলে মাথা ধরে,
এতো অন্যায় মানুষ করে !
এরপরও কী বলতে হবে মানুষ সবার সেরা?
শয়তানি আর জালিয়াতিতে
ঈশ ! সভ্য মানুষ এরা !
স্রষ্টার দেওয়া এই পৃথিবী নয়কো কারোর বাবার,
যখন তখন প্রাণী মেরে
করো তোমরা সাবাড়!
দিনেরাতে খাচ্ছ শুধু
আদি থেকে অন্ত,
এতো খেয়ে পেট ভরেনা,
কেবল ষড়যন্ত্র !
নিরীহ হাতিটা মেরে তোমরা
কোন সুখটা পেলে,
খাবারের পরিবর্তে তাকে
বোমা তুলে দিলে?
জঙ্গল কেটে গড়লে নগর যেটা ছিলো পাখি ও পশুর,
আর কত কি করবে দখল ওগো,মানুষরূপী অশুর!
এই পৃথিবী তোমার আমার-
পশুপাখির আছে সবার-
বাঁচার অধিকার!
একে একে নিলে কেড়ে
অন্য প্রাণীর মুখের গ্রাস,
মারণাস্ত্র দিয়ে তাদের দেখাচ্ছ এই ত্রাস!
ছিঃ!ছিঃ!ছিঃ!ধিক,ধিক,ধিক্কার!
মানুষ নামের কুলাঙ্গার!
As a human being,you play barbarism too !
Four legs better than two!
অশ্রুধারা বাঁধ মানেনা কিভাবে ধরে রাখি,
ক্ষুধার্তের মুখে মারণাস্ত্র?
লজ্জা কোথায় ঢাকি!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন