 |
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভা (৬মার্চ ১৯৩৭) |
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভা
রুদ্রসাগর কুন্ডু
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভা (৬মার্চ ১৯৩৭) প্রথম নারী নভোচারী, যিনি মাত্র ২৬ বছর বয়সে মহাশুন্য ভ্রমণ করেন। মধ্য রাশিয়ার ইয়ারোস্লাভ ওবলাস্তের তুতায়েভস্কি জেলার একটি গ্রামে ভোলগা নদীর পাশে ভ্যালেন্তিনার জন্ম
১৯৩৭ সালের ৬ মার্চ। গ্রামটির নাম মাসলেনিকোভো। আদিবাড়ি ছিল বেলারুশ। সেখানথেকে অভিবাসিত হয়ে তার বাবা-মা রাশিয়াতে আগমন করেন ও বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সোভিয়েত নভোচারী, প্রকৌশলী।
শৈশবকালে তিনি প্যারাসুটের মাধ্যমে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখতেন।
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-4987404492352439"
data-ad-slot="9744910388"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
ভ্যালেন্তিনা তেরেশকোভা ইংরেজি ১৯৫৯ সালে ২১ মে মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রথম, প্যারাসুট নিয়ে
আকাশ থেকে লাফ দেন। আর এই লাফিয়ে পড়ার অভিজ্ঞতাই তাকে প্রেরণা জুগিয়েছিল নভোচারী হিসেবে যোগ
দিতে। সোভিয়েত স্পেস প্রোগ্রাম, বিশ্বের প্রথম
নারী হিসেবে একজনকে মহাশূন্যে ভ্রমণে পাঠানোর জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে।
চার শতাধিক আবেদনকারী অংশ গ্রহণ করেছিল সেই পরীক্ষায়। তারমধ্যে ভ্যালেন্তিনা তেরেশকোভা সাদরে নির্বাচিত হন। এই একক
অভিযানে তিনি ছাড়া আরও চারজন নারী নভোচারী নির্বাচিত হয়েছিলেন ।
 |
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভা (৬মার্চ ১৯৩৭) | | | | |
তিনি রাশিয়ার প্রথম নারী নভোচারী হিসেবে মাত্র ২৬ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালের ১৬ জুন, ‘ভস্তক-৬’ মহাযানে মহাশূন্য ভ্রমণ করেন। একক এই মিশনে, পৃথিবীকে ৪৮ বার আবর্তিত করা,
একমাত্র নারী নভোচারী হলেন ভ্যালেন্তিনা তেরেশকোভা। মহাকাশে অবস্থান করেছিলেন মোট ৭১ ঘণ্টা ২৩ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে ৪৮ বার পৃথিবীকে ভ্রমণ করা মূলত বিরল ইতিহাস। ‘ভস্তক-৬’-এর দুদিন আগে উৎক্ষেপণকারী ‘ভস্তক-৫’-এর রুশ নভোচারী ভালেরি এফ বাইকোভস্কিকে সঙ্গে নিয়ে ১৯ জুন পৃথিবীতে
সফল অবতরণ করেন। তবে সবার তুলনায় বেশি সময় কাটিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের তাক
লাগিয়ে দিয়েছিলেন ভ্যালেন্তিনা।
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-4987404492352439"
data-ad-slot="9744910388"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভার বাবা ছিলেন, ট্রাক্টর চালক, এবং মা বস্ত্রশিল্প কারখানার শ্রমিক। মাত্র ১০ বছর বয়সে ১৯৪৫ সালে বিদ্যালয়ে যেতে শুরু করেন। ৮ বছর পর, ১৯৫৩ সালে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন। দূরশিক্ষন পাঠক্রমে বাকি শিক্ষা সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনের প্রাক্কালে ১৯৬১ সালে তিনি যুব কমিউনিস্ট লিগে যোগ দেন করেছিলেন। এবং পরবর্তীতে তিনি সৌভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টিতে সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
 |
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভা (৬মার্চ ১৯৩৭) |
প্রথম জীবনে বিমানচালনার কোনো প্রশিক্ষণ ছিলো না। তিনি ছিলেন মূলত প্যারাসুট আরোহী। ১৯৬১ সালে সৌখিন প্যারাসুট আরোহী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনি ব্যতিক্রম মেধার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাই তাকে পরবর্তীতে মহাশুন্য প্রকল্পে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। মহাকাশ পরিভ্রমণ শেষে তিনি মহাশুন্য প্রকল্প ত্যাগ করেন। এই প্রকল্পের পর ১৯৬৩ সালের ৩ নভেম্বর তারিখে আন্দ্রিয়ান জি. নিকোলায়েভ নামের একজন নভোচারীকে বিয়ে করেন।
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-4987404492352439"
data-ad-slot="9744910388"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
রাজনৈতিক জীবনে তিনি কিন্তু সক্রিয় এক রাজনৈতিক হিসেবে উল্লেখিত। ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের বিশেষ সংগঠন ‘সুপ্রিম সোভিয়েত’-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এবং তিনি ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ‘সোভিয়েত নারী সমিতির’ পরিচালক হিসেবে ১৯৯৮ সালে নিযুক্ত হন। ২০০৮ সালে তিনি ইয়ারোস্লাভ প্রদেশের সংসদের ইউনাইটেড রাশিয়া দলের সদস্যরূপে সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন।
<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<ins class="adsbygoogle"
style="display:block; text-align:center;"
data-ad-layout="in-article"
data-ad-format="fluid"
data-ad-client="ca-pub-4987404492352439"
data-ad-slot="9744910388"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
ভ্যালেন্তিনা ভ্লাদিমিরোভনা তেরেশকোভা ‘সৌভিয়েত ইউনিয়নের বীর’ এবং দুবার ‘অর্ডার অফ লেনিন’ পুরস্কারে ভূষিত হন। সারাবিশ্বের মানুষ তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন। আজও বেঁচে আছেন এই মহিয়সী বীর নারী। যিনি অনবরত প্রেরণা যোগায় দুঃসাহসী অভিযানের।
তথ্যসূত্র : 1. Valentina Vladimirovna TERESHKOVA. নামক গ্রন্থ ও বিভিন্ন সংবাদ পরিক্রমা।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন