 |
| ঐতিহ্যের চন্ডীপুজো : পিনাকী চৌধুরী |
ঐতিহ্যের চন্ডীপুজো : পিনাকী চৌধুরী
সত্যি, শীতপ্রত্যাশী মানুষজনের কাছে এই সময়টা বড়ই সুখের ! আর বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিকতায় সমৃদ্ধ বড়িশার চন্ডীপুজো দেখতে যেন মানুষের ঢল নামবে এইবার । ২২৮ তম বর্ষে পদার্পণ করবে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের ঐতিহ্যের এই চন্ডীপুজো । আর এই পুজো উপলক্ষে আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর একটি বর্ণাঢ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে , যা দেখতে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন সমবেত হন । আর বড়িশা তথা সমগ্র বেহালাবাসীর কাছে এই বিখ্যাত মেলা যেন এক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে ! কিন্তু কিভাবে শুরু হয়েছিল এই চন্ডীপুজোর ?
সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের বংশধর শুভদীপ রায়চৌধুরী এই প্রতিবেদককে জানালেন " ১৭৯২ সালে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের সুসন্তান মহেশচন্দ্র রায়চৌধুরী বেশ ধুমধামের সাথে এই চন্ডীপুজোর সূচনা করেন । মহেশচন্দ্র রায়চৌধুরী ছিলেন সাবর্ণ বংশের কুলতিলক এবং দক্ষিণবঙ্গের তদানীন্তন সমাজপতি প্রবাদপ্রতিম পুরুষ রায় শিবদেব মজুমদার চৌধুরীর অধঃস্তন চতুর্থ পুরুষ । আর মহেশচন্দ্র রায়চৌধুরী নিজের বাসভবনে অষ্টধাতুর কলসী প্রতিষ্ঠা করেন !" বাস্তবে এই মহেশচন্দ্র রায়চৌধুরী নিজের বাসভবনে যে চন্ডীপুজোর সূচনা করেছিলেন, তা কিন্তু ভাটপাড়ার পন্ডিতদের সঙ্গে পরামর্শ করেই । মহেশচন্দ্র রায়চৌধুরীর পুত্র হরিশচন্দ্র রায়চৌধুরীর সময়েই এই বিখ্যাত চন্ডীমন্দিরটি নির্মিত হয় ! সেই থেকেই নিরবচ্ছিন্নভাবে এই চন্ডীপুজো হয়ে আসছে ।
সারাবছর ধরেই নিত্যপুজো অনুষ্ঠিত হয় , আর বছরে একবার বার্ষিক মহোৎসবের আয়োজন করা হয় । শ্রী শ্রী দুর্গাষ্টমীর ঠিক দুই মাস পরে অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে সাড়ম্বরে বার্ষিক মহোৎসব শুরু হয় । হ্যাঁ, বৈচিত্র্যে, বিন্যাসে এবং আভিজাত্যে আজও সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের এই চন্ডীপুজো বিশেষ ভাবে খ্যাত । কিন্তু দেবীকে কি ভোগ নিবেদন করা হয় ?" প্রতিবেদকের এ হেন প্রশ্নের জবাবে শুভদীপ রায়চৌধুরী বললেন " অষ্টমী ও নবমী তিথিতে বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয় , আর অষ্টমীর দিন চন্ডীবাড়ি থেকে চন্ডীমন্দিরে দেবীর জন্য ভোগ নিয়ে যাওয়া হয় ও ভোগ নিবেদন করা হয় !" আর সেই বিখ্যাত চন্ডীমেলায় যেন দর্শনার্থীদের ঢল নামে, বৃহত্তর বেহালাবাসীর কাছে এই মেলা ঠিক যেন একটুকরো স্বর্গ !
সত্যি, শীতপ্রত্যাশী মানুষজনের কাছে এই সময়টা বড়ই সুখের ! আর বিশুদ্ধ আধ্যাত্মিকতায় সমৃদ্ধ বড়িশার চন্ডীপুজো দেখতে যেন মানুষের ঢল নামবে এইবার । ২২৮ তম বর্ষে পদার্পণ করবে সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারের ঐতিহ্যের এই চন্ডীপুজো । আর এই পুজো উপলক্ষে আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৩ ডিসেম্বর একটি বর্ণাঢ্য মেলার আয়োজন করা হয়েছে , যা দেখতে বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন সমবেত হন । আর বড়িশা তথা সমগ্র বেহালাবাসীর কাছে এই বিখ্যাত মেলা যেন এক উদ্দীপনার সৃষ্টি করে ! কিন্তু কিভাবে শুরু হয়েছিল এই চন্ডীপুজোর ?
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন