![]() |
কিশলয় গুপ্ত'এর চারটি কবিতা |
বাউলানা_৩১
ফিরে আসো যদি সব হিসাব বুঝে নিতে-
শব জ্বেলে হাত সেঁকে নেবো এবারের শীতে
বাঁধা আছে কত ধাঁধার উত্তর প্রেমিক উপবীতে
সাড়া জাগানো গল্প নেই হাতে; আপাতত
বৃষ্টি মাখা গভীর ঘুমে হাজার চাপা ক্ষত
কত ধানের ভিতর কত চাল থাকে, মুনাফা কত
গৌরী সেন হিসাব বোঝে না শুধু পারে দিতে
উজাড় করে। অতীত, বর্তমান ধরে আগামীতে
বাঁধা আছে কত ধাঁধার উত্তর প্রেমিক উপবীতে
মালার ইতিহাস লেখে ফুলেরা পাশাপাশি
জ্বালার গল্প শুনে অকারন হাসাহাসি
করে দিন। বেঁচে থাকে ভালোবাসাবাসি...
যতই দীপক আশ্রয় নিক একান্ত পূরবীতে
শব জ্বেলে হাত সেঁকে নেবো এবারের শীতে।
৩২
চর্চার কাছে বিবেকের কোন ভূমিকা নেই
শ্রম রাখা যায় মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
ঠিক ততটুকু নিয়ে চলে গেছ
যতটা দেয়া যায় মানুষের পক্ষে।
ঈশ্বর এখানে অতি নগণ্য শব্দের মায়াজাল।
জানালার পর্দা সরালে চাষাবাদ কথা
বাগানের অধিকারে পোষা ফুল
এই সব সম্পর্কজনিত মারন রোগ
বেলা বাড়ার সাথে সাথে অধিক ক্ষমতাবান হয়।
চুল পেকে গেলে দুই পা মন্থর হবে
তেমন কোন কথা আছে কি?
এত উথালপাথাল ঢেউয়ের ভিতরে সুর
বাঁশী অনুসরণ করে কত সুখে থাকে।
ঈশ্বর শুধু নগণ্য শব্দের মায়াজাল।
৩৩
বাঁশতলা দিয়ে হাঁটলে শাঁকচূন্নি লাথি মারে
যারা ঈশ্বর বিশ্বাসী হয়।
মহাভারত ভুলে যেতে হবে
যদি প্রাসঙ্গিক হয় বাঞ্ছারামের বাগান।
প্রসঙ্গ বড় সাবালক বালাই
তাগিদের অজুহাতে আর্য স্বপ্ন দৌড়ায়।
আমাকেও সহসা মেজাজ হারাতে হয়
ঢেউ ঢেউ খেলা শুরু হলে।
পূর্ণিমা আসে তো।আলো আসে বেশ
আরও রহস্যময় লাগে নিজেকে।
আমি কালীঘাট মানি না
বাঁশতলা দিয়ে হেঁটে বাড়ী ফিরি রোজ রাতে।
৩৪
ফিরে আসার প্রতিটি পৃষ্ঠায় খাদ থাকে
ভুল বানানের দিব্যি
প্রতিটি খাদের নীচে জল থাকে না।
কাদা তুলতে গেলে
হাতে লাগে- গায়ে লাগে- মুখেও
দড়ি বালতি সহায় হয় না প্রতিদিন।
দাবানলে পুড়ে যাওয়া গাছের মতো
কলঙ্ক লেগে থাকে হাতে
সকলের জুতোর মাপ এক নয়।
জুতো পালিশ করতে মাপের দরকার নেই
মোজার দরকার নেই
ফিরে আসার জন্য খাদে দৃষ্টি চাই।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন