 |
| মনিরুলের বিয়ে : মৃদুল শ্রীমানী |
মনিরুলের বিয়ে : মৃদুল শ্রীমানী
রোজ রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কথা বলে মনিরুল। একদিন জানতে চাইলাম অত রাত অবধি কার সাথে কথা বলো মনিরুল? কোনো মেয়ে?
লজ্জারুণ মুখে হাসে মনিরুল। তার হাসি বলে দেয় মেয়েটিকে সে ভালবাসে।
আবার একদিন ধরলাম তাকে। ও মনিরুল, রোজ এত গল্প করো, বিয়ে করবে তো তাকে। হাসে মনিরুল। বলে , এখনো ঠিক হয় নাই।
কেন মনিরুল, ঠিক হয় না কেন? মেয়েটি কি করে?
আর্টস নিয়ে গ্র্যাজুয়েট।
তো ভালই তো । শিক্ষিত মেয়ে। ওকে ঠকিও না কিন্তু।
মনিরুল হাসে।
মাসখানেক বাদে মনিরুলকে আবার ধরলাম, রোজ এতখন মেয়েটির সাথে কথা বলো, ওর কথা বাড়িতে জানিয়েছ?
মনিরুল হাসে। বলা হয় নাই।
তুমি মেয়েটিকে পছন্দ করো তো?
মাথা নিচু করে সে।
আজ ওকে বলে দাও, ওকেই তুমি বিয়ে করবে।
মনিরুল হাসে। বলে, আজ থাক।
না মনিরুল। অনেক দিন হয়ে গেল। মেয়েটাকে ঝুলিয়ে রেখো না। আজ ওকে ফোনে বলে দাও সম্পর্ক কনফার্মড।
মনিরুল ফোন তুলে বলে সম্পর্ক কনফার্মড।
বিকেল গড়ায়। মনিরুলের মুখ শুকনো।
ও মনিরুল, কী হয়েছে ? মুখ শুকনো দেখায় কেন?
মনিরুল বলে, বাড়িতে অশান্তি চলছে। আমি সাহানাকে বিয়ে করতে পারব না।
কেন মনিরুল?
আব্বা বারণ করছেন।
আর মা?
মাও বারণ করছেন।
কারণটা কি খুলে বলো মনিরুল।
সাহানা মোটা। আব্বা বলেন, মোটা মেয়ে ভাল না।
অ। তোমার মা কি বলেন মনিরুল?
সাহানার বয়স বেশি। ওকে বিয়ে করা যাবে না।
তোমার থেকে বেশি? কত বেশি?
আমার থেকে বেশি নয়। আমার ছাব্বিশ। ওর চব্বিশ। মা বলছে, একুশ হলে ভাল হত।
তাহলে সাহানাকে বলে দাও সকালে কথা দিলেও বিকেলে আমার মত বদলে গিয়েছে। আমি তোমার সাথে আর যোগাযোগ রাখব না।
মনিরুল কাতর মুখে বলল, সাহানাকে আমি ছাড়তে পারব না।
সে কি মনিরুল! যে মোটা মেয়েকে তুমি বিয়ে করবে না, তার সাথে কথা বলবে কেন?
মনিরুল চুপ করে থাকে।
মোটা মেয়ের সাথে বিয়েতে অসুবিধে থাকলে তার সাথে ফোনে এত গল্প কিসের মনিরুল?
আহত পশুর চোখে তাকায় মনিরুল।
জানিয়ে দাও তোমার সকালবেলা দেওয়া কথা বিকেল অবধি টেঁকে না।
আব্বা যে বারণ করছেন।
মোটা মেয়ের সাথে বেশি রাতে ফোনে কথা বলার সময় আব্বাকে জানিয়ে কথা বলেছিলে?
মাথা নিচু করে থাকে ছেলে।
তুমি বিড়ি খাও মনিরুল?
না। খাই না।
কোনো দিন বিড়ি খাও নি?
একদিন খেয়েছিলাম ।
আব্বাকে জিজ্ঞাসা করে বিড়ি খেয়েছিলে?
না। বলে চুপ করে বসে থাকে সে।
তুমি কি সাহানাকে বিয়ে করবে না মনিরুল? তাহলে সেটা ওকে সোজা ভাষায় জানিয়ে দাও।
সে বলে, সাহানা খুব শিক্ষিত। আমার চাইতেও বেশি। সংসার টিঁকবে না।
মনিরুল শোনো, মেয়েরা যাকে ভালবাসে, তাকে পাগলের মতো ভালবাসে। তুমি ভালবাসা নিয়ে ছেলেখেলা কোরো না। এতদিন ধরে এতগুলো কথা বলার আগে তোমার ভাবা উচিত ছিল।
বিয়ে যদি করি ওকে বাবা মায়ের দেখাশুনা করার জন্য রেখে দেব।
ছিঃ মনিরুল। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী একত্রে থাকতে হয়। বিয়ের ছলে বাবা মাকে দেখাশুনা করার কাজের লোক খুঁজো না।
মনিরুলের রাগ হয়। রাগে কি বলবে ভেবে পায় না।
আমার চোখে একটি দুখিনী মেয়ের মুখ ভাসে। ঠকে যাওয়া মেয়েদের যেমন দেখতে হয়।
রোজ রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কথা বলে মনিরুল। একদিন জানতে চাইলাম অত রাত অবধি কার সাথে কথা বলো মনিরুল? কোনো মেয়ে?
লজ্জারুণ মুখে হাসে মনিরুল। তার হাসি বলে দেয় মেয়েটিকে সে ভালবাসে।
আবার একদিন ধরলাম তাকে। ও মনিরুল, রোজ এত গল্প করো, বিয়ে করবে তো তাকে। হাসে মনিরুল। বলে , এখনো ঠিক হয় নাই।
কেন মনিরুল, ঠিক হয় না কেন? মেয়েটি কি করে?
আর্টস নিয়ে গ্র্যাজুয়েট।
তো ভালই তো । শিক্ষিত মেয়ে। ওকে ঠকিও না কিন্তু।
মনিরুল হাসে।
মাসখানেক বাদে মনিরুলকে আবার ধরলাম, রোজ এতখন মেয়েটির সাথে কথা বলো, ওর কথা বাড়িতে জানিয়েছ?
মনিরুল হাসে। বলা হয় নাই।
তুমি মেয়েটিকে পছন্দ করো তো?
মাথা নিচু করে সে।
আজ ওকে বলে দাও, ওকেই তুমি বিয়ে করবে।
মনিরুল হাসে। বলে, আজ থাক।
না মনিরুল। অনেক দিন হয়ে গেল। মেয়েটাকে ঝুলিয়ে রেখো না। আজ ওকে ফোনে বলে দাও সম্পর্ক কনফার্মড।
মনিরুল ফোন তুলে বলে সম্পর্ক কনফার্মড।
বিকেল গড়ায়। মনিরুলের মুখ শুকনো।
ও মনিরুল, কী হয়েছে ? মুখ শুকনো দেখায় কেন?
মনিরুল বলে, বাড়িতে অশান্তি চলছে। আমি সাহানাকে বিয়ে করতে পারব না।
কেন মনিরুল?
আব্বা বারণ করছেন।
আর মা?
মাও বারণ করছেন।
কারণটা কি খুলে বলো মনিরুল।
সাহানা মোটা। আব্বা বলেন, মোটা মেয়ে ভাল না।
অ। তোমার মা কি বলেন মনিরুল?
সাহানার বয়স বেশি। ওকে বিয়ে করা যাবে না।
তোমার থেকে বেশি? কত বেশি?
আমার থেকে বেশি নয়। আমার ছাব্বিশ। ওর চব্বিশ। মা বলছে, একুশ হলে ভাল হত।
তাহলে সাহানাকে বলে দাও সকালে কথা দিলেও বিকেলে আমার মত বদলে গিয়েছে। আমি তোমার সাথে আর যোগাযোগ রাখব না।
মনিরুল কাতর মুখে বলল, সাহানাকে আমি ছাড়তে পারব না।
সে কি মনিরুল! যে মোটা মেয়েকে তুমি বিয়ে করবে না, তার সাথে কথা বলবে কেন?
মনিরুল চুপ করে থাকে।
মোটা মেয়ের সাথে বিয়েতে অসুবিধে থাকলে তার সাথে ফোনে এত গল্প কিসের মনিরুল?
আহত পশুর চোখে তাকায় মনিরুল।
জানিয়ে দাও তোমার সকালবেলা দেওয়া কথা বিকেল অবধি টেঁকে না।
আব্বা যে বারণ করছেন।
মোটা মেয়ের সাথে বেশি রাতে ফোনে কথা বলার সময় আব্বাকে জানিয়ে কথা বলেছিলে?
মাথা নিচু করে থাকে ছেলে।
তুমি বিড়ি খাও মনিরুল?
না। খাই না।
কোনো দিন বিড়ি খাও নি?
একদিন খেয়েছিলাম ।
আব্বাকে জিজ্ঞাসা করে বিড়ি খেয়েছিলে?
না। বলে চুপ করে বসে থাকে সে।
তুমি কি সাহানাকে বিয়ে করবে না মনিরুল? তাহলে সেটা ওকে সোজা ভাষায় জানিয়ে দাও।
সে বলে, সাহানা খুব শিক্ষিত। আমার চাইতেও বেশি। সংসার টিঁকবে না।
মনিরুল শোনো, মেয়েরা যাকে ভালবাসে, তাকে পাগলের মতো ভালবাসে। তুমি ভালবাসা নিয়ে ছেলেখেলা কোরো না। এতদিন ধরে এতগুলো কথা বলার আগে তোমার ভাবা উচিত ছিল।
বিয়ে যদি করি ওকে বাবা মায়ের দেখাশুনা করার জন্য রেখে দেব।
ছিঃ মনিরুল। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী একত্রে থাকতে হয়। বিয়ের ছলে বাবা মাকে দেখাশুনা করার কাজের লোক খুঁজো না।
মনিরুলের রাগ হয়। রাগে কি বলবে ভেবে পায় না।
আমার চোখে একটি দুখিনী মেয়ের মুখ ভাসে। ঠকে যাওয়া মেয়েদের যেমন দেখতে হয়।
About Shraboni Parbat
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন