![]() |
রায়হান আহমেদ |
শিক্ষার পরিশ্লেষ তাঁরাও পাক সমানতালে
শিরোনামের শব্দবন্ধের অর্থ উপমা মাত্র। যদিও একটু আধটু অশ্লীল বাক্য, এদেশের অনিন্দ্যসুন্দর মেয়েদের সাথে সত্যিই বেমানান! কি করার বলেন? কিছু লাফাঙ্গামার্কা,হীন-কর্মযজ্ঞের লোকদের জন্য এ শব্দটা বেশ সংযত,সুশ্রী। আভিধানিক অর্থটা একটা খিটখিটে ধরনের যা,"বেশ্যালয়"। দুঃখ প্রকাশ করছি,গালিগালাজ করতে পারেন,কিচ্ছু করার নেই। অগ্রসরমানতা নিয়ে লেখালেখির আগে পাঠকসত্তাকে কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতে চাই, কি বলেন? ছুঁড়াছুঁড়ির বেগটা শনশন আওয়াজ তুলুক।
১। শিক্ষা কি সত্যিই এদেশের লোকসমাজের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ ঘটাতে পারে?
২। বটমলেস বাস্কেট থেকে কি এই শিক্ষাই 'সাসটেইনেবল ম্যডিউল' তৈরী করে?
৩। মুটেমজুর থেকে দেশের অভিজাত পর্যায়ে কি এই শিক্ষানামক এ্যাবাস্ট্রক বিষয়টি বাস্তবসম্মত,কার্যকর, সুদূরপ্রসারী পথের দিশা দিতে পারে?
অাপনাদের পক্ষে-বিপক্ষে লেখাগুলোর অবস্থান সৃষ্টি হতে পারে। বিতর্ক থাকবেই,এটা দু'বছরের ছোট্ট বাচ্চাটিও জোরেশোরে বরঞ্চ প্রবলভাবে জ্ঞাত। যাহোক অালোচনার বিষয়বস্তু যেহেতু শিক্ষা-স্ত্রীশিক্ষা,সুতরাং সেদিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করা উচিত।
আচ্ছা, আপনারা কি বিশ্বাস করেন, শিক্ষার জৌলুশ,আনন্দ,ফলভোগের স্বর্গীয় স্বাদ যদি একটি গোষ্ঠীর মুষ্টিমেয় লোক উপভোগ করে তবে তার ফলাফল হবে গায়ে চাদর, বেশভূষা থেকেও ল্যাংগট না থেকে ল্যাংটা হওয়ার মতো?
শিক্ষা যদি হয় পরিপূর্ণতা অর্জনের অব্যাহত অনুশীলন,তবে মেয়েদের যা-তাভাবে ফেলে দিয়ে জাতীর সর্বাঙ্গীণতা বিনষ্ট করার প্রশ্ন উঠে ক্যানো?
রবিঠাকুর তার 'শিক্ষা' গ্রন্থের 'স্ত্রীশিক্ষা' শিরোনামে যে ভাবটি পরিবর্ধিত মাত্রায় দেখিয়েছেন তার মর্মকথা এমন হতে পারেঃ শিক্ষা যদি হয় মানবমাত্রেরই সহজাত অধিকার তবে নারীকে কোন নীতির দোহাই দিয়ে অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না৷ মেয়েরা শুধু 'বউ-ঠাকুর,বউ-ঝি,ভাবী' হয়ে নিদারুণ কষ্টে জীর্ণ হয়ে,কষ্টভোগ করে,অাত্মকষ্টে শেষ নিশ্বাসে ত্যাগ করতে আসেনি, তাঁদেরও সৃষ্টিতত্ত্বের বিশালতায় একটুখানি হাত বুলানোর সুযোগ আছে।
ভ্যিসিসিটিউড এগজিস্ট,বাট উইমেন মডার্নাইজ দ্যেয়ার ফেট। আর এদেশটা যেহেতু অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনির্লিপ্ত, সুতরাং এখানে স্ত্রী-পুরুষ নিঃসন্দেহে সমান অধিকার ভোগ করবে। গুন্ডামি,ভন্ডামি,বদমাইশি, লক্কর-ঝক্কর বাদ দিয়ে অধিকার নিশ্চিতে এগিয়ে আসতে হবে রাষ্ট্রনেতাদের, নীতিনির্ধারকেদের।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন