ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করতে হলে নিরাকার ঈশ্বরের সাধনা করা উচিত : রতন বসাক

রতন বসাক
 ঐশ্বরিক শক্তি অনুভব করতে হলে নিরাকার ঈশ্বরের সাধনা করা উচিত


বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে ঈশ্বর বলে কিছু একটা আছে । যেটা আমরা মনুষ্য জাতী কেউই অস্বীকার করতে পারি না । তবে ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে মতভেদ আছে অনেকের মধ্যে । কেউ আকারে বিশ্বাসী, আবার কেউ নিরাকারে বিশ্বাসী । একটা অদৃশ্য শক্তি যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে চালাচ্ছে যুগের পর যুগ । সেই অদেখা শক্তিকেই অনেকে ঈশ্বর বলে মানে । আর তারা তার সাধনা করে ।

আকার যুক্ত ঈশ্বর অর্থাৎ মূর্তিকে যখন আমরা পূজো করি, তখন আমাদের মন চঞ্চল হলেও হতে পারে । একাগ্রতা এতে ভঙ্গ হতেও পারে সাধনা করার সময় । কিন্তু যখন নিরাকার ঈশ্বর অর্থাৎ যাকে দেখা যায় না কিন্তু তার অস্তিত্ব অনুভব করি অন্তর দিয়ে । তখন তার সাধনায় মগ্ন হলে সব ভুলে আমরা সেখানে আমাদের মনটাকে নিয়ে যেতে পারি । আর তখন আমরা ঐশ্বরিক শক্তির অনুভবটা করতে পারি ।

এই আধ্যাত্মিক সাধনায় আমরা বিলীন হয়ে যাই । বস্তুগত চিন্তাধারা আমাদের অন্তরে থাকে না । সেখানে আমরা হৃদয় দিয়ে অনুভব করি ঈশ্বরকে । আর চাওয়া পাওয়ার ঊর্ধ্বে আমরা পৌঁছে যাই । আধ্যাত্বিক সাধনায় মন ব্যস্ত থাকলে, বাস্তবিক অনুভূতি থেকে আমরা অনেক অনেক দূরে চলে যাই । যেখানে আমরা পৌঁছে, সেই শক্তির অনুভুতিটা অনুভব করতে পারি । আর এর জন্য কঠোর বাস্তবকে ভুলে গিয়ে অন্তর দিয়ে সাধনা করতে হয় ।

ঈশ্বর আসলে কিছুই নয় ; একটা অনুভব, একটা বিশ্বাস ও একটা আস্থা আমাদের মনের মধ্যে । ঈশ্বরকে কোন সময়ই দেখা যায় না । আমরা বাস্তবে যেসব ঈশ্বরের মূর্তি দেখি, সেগুলো আসলে আমার মনে হয় কল্পনা করে আমাদের পূর্বজ কেউ বানিয়েছিলন তখন । ঈশ্বরতো আসলে একটা শক্তি ; তাকে কি দেখা যায় ? না তাকে কল্পনা করে বানানো যায় ?
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.