![]() |
মারুফ আহমেদ নয়ন |
স্বপ্নে দেবদূতেরা বর্ণনা করছেন তোমার রুপের মাধুর্য, মুগ্ধ হচ্ছি, উপহার পাঠাচ্ছি আমার কাটা মাথা, ফুল, মোমবাতি ও চন্দনের সুবাস, গ্রহন করো দূরত্ব রেখো না এই আশ্চর্য জোছনার রাতে,
তারপর ব্যাক্তিগত শোকের আয়ুতে পাঠ করো বুকের ভেতর বহমান নদীর স্রোত, হাওয়ায় এলাচ ফুলের ঘ্রাণে আফিমের শীতনিদ্রা, কোকিলের কুহু তান,
মন্ত্রমুগ্ধের মতো তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে পুড়তে থাকা একটা সকাল, দেখো অষ্টাদশী পূণিমার চাঁদ কেমন করে ঘুমিয়ে পড়ছে সবুজ আলোর বিছানায়...
২...
মধ্যরাত, তোমার কথা খুব মনে পড়ছে,
চোখ জ্বালা করছে, ভেজা উনুনে কাঠ-কয়লা ধোঁয়ার কুন্ডলী পাঁকিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে এক ঘর থেকে ও ঘরে, যেনো স্বয়ং
তুমিই হাঁটছো, সিড়িতে বসে পড়ছো এক লোভী ভ্রমরের আত্নকথা, অথচ সমস্ত পৃষ্ঠা জুড়ে পেখম তোলা মরা ময়ূরীর গল্প...
পৃষ্ঠা মেলছো, দূরে নদীতে মৃত দেহ ভাসছে, জোয়ার ভাটার কাল, মরা-কোটালের রাতে...
তুমি আর হাঁটছো না, দাঁড়িয়ে রয়েছো
ঝড় উঠছে, সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠছে, ফেনায়িত তরঙ্গে তোমার নাম উচ্চারিত হচ্ছে বার বার, বন্দরে বন্দরে জাহাজ ডুবি, সাত নম্বর
বিপদ সংকেত, আমি ডুবে যাচ্ছি দেখো তোমার চোখের ভেতরে ...
.
৩..
কোথাও কেউ নেই, তবু তুমি হাতছানি দিয়ে ডাকছো জলপাই ফুলের বনে, কফিন কাঠের ভেতরে, মৃতদের সাথে তাস-পাশা খেলে কেটে গেছে একটা ডোমের জীবন, এইসব কিছুর মায়া ছেড়ে কোথায় যাবো,
মানুষ জন্মের ঘৃণার রেশ লেগে আছে চোখে মুখে, কেউ ডাকে না প্রিয় নামে, ঘৃণায় ছুয়ে যায় তোমার আঙ্গুল, তোমাকে দেখতে পাই না, দুঃখ বাড়ে,
কত শত শরীর খুলে দেখি, চর্বি মদ ও মাংসের গড়ন দেখি, তোমাকে দেখি না, কেউ এসে বলে না, মরে গেলে সবকিছু শেষ হবে না...
৪...
কবিতা হলো না, অক্ষরগুলো চর্যার হরিণ, পালিয়ে গেলো আলো অন্ধকারের ভেতর, আমি লুইপা অথবা কাহ্নপা তোমার বাকাঁনো কোমল শরীর কলসীর ভারে নুয়ে পড়লে মনে পড়ে শস্যবতী দেহ ঝুকেঁ আছে মাটির গন্ধে,
যেনো গণিত বুঝি না তখন, উড়ে যাই সবুজ পাতাদের সাথে, জলে সাঁতার কাটি মাছেদের সাথে, একুরিয়ামে পুষে রাখি সামুদ্রিক জীবন,
তোমাকে পুষতে পারি না, যেনো হিংস্র হায়েনার গর্জন....
হরিণের চামড়ায় পায়ের মাপে জুতো বানায়, হাঁটতে থাকি নিজের খোঁজ করতে, আমার বদলে সাড়া দেয় পাখিরা ফুলেরা, মাটির দেহে কেনো জন্মালো লতাগুল্মের বেদনা...
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন