এদের একমাত্র কাজ হলো, অশিক্ষিত, সরল প্রকৃতির মানুষগুলোকে ইহকালের পরকালের ভয় ও পার্থক্য বয়ান করে, স্বর্গের হুরপরীদের সৌন্দর্য্য, শরীরের উত্তেজিত অংশ বর্ণনা করে লোভাইতো করে অর্থ উপার্জন করা। একদিকে এরা ইহকালকে আল্লাহর ইবাদতের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন, ভোগবিলাসিতা থেকে বিরত থাকার কথা বলেন, আবার নিজেরা ইহকালে সুখে থাকার জন্য, সরল মানুষগুলোর কাছ থেকে টাকা পয়সা আদায় করে আনেন। নিজেরা ভোগবিলাসিতার জীবন-যাপন করেন।
সরল সাধারণ মানুষের কাছে ইহকাল ইবাদতের, আর হুজুরের কাছে বিশাল অট্টালিকা, দামি গাড়ি, গোপনে মাদ্রাসার ছাত্রীকে নিয়ে সোহাগ করাই ইবাদত।
কোনো ব্যবসা, বাণিজ্য বা উৎপাদন ছাড়াই ধার্মিকেরা দ্রুত গতিতে ধনী হয়ে ওঠে। কারণ, ধর্ম বিশ্বাসীরা অতীব সরল বা মূর্খসমতুল্য হয়, ঈশ্বর অপেক্ষা ভন্ড, দালাল বা ঈশ্বরের প্রতিনিধিদের বেশি বিশ্বাস করেন। ঈশ্বর বাস্তবে নেই, এ কথা একটু নিরপেক্ষতার সঙ্গে যুক্তিকে মেনে পড়াশোনা করলেই বোঝা যায়। ধর্মীয় দালালরাও মূলত এই কথাটির সত্যতা জানে। তাই তো নির্ধিদায় কন্যা সমতুল্য মেয়েদের অবলীলায় ধর্ষণ করে। জানে ঈশ্বর নেই, তাই পাপ ও শাস্তির ভয়ও করে না।
প্রতিটি দেশে লক্ষ্য করে দেখুন, যত অপরাধ প্রবণ লোক রয়েছে, এরা সকলেই কোনো না কোনো ধর্মের অনুসারী। খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, লুটপাট, গুম, অত্যাচার, লুন্ঠন ইত্যাদি সমস্ত কিছুই ঈশ্বরের নাম চলতে থাকে।
আজ পর্যন্ত কোনো নাস্তিককে খুনি খুঁজে পাবেন না। নাস্তিক মানে মানবতার পূজারী। তারা বাক স্বাধীনতার কথা বলে, তারা ধর্ম-নিরপেক্ষ সমাজ গঠনের জন্য সংবেদনার কথা বলে। বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে নাস্তিকেরা প্রতিবাদ করে। ভারতে মুসলিমের ওপর অত্যাচার হলে নাস্তিকেরা প্রতিবাদ করে। নাস্তিকেরা নিজস্ব পেশা বা উৎপাদিত জীবিকা নিয়ে সংসার করে। ধার্মিকদের মতো অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে কালো টাকার পাহাড় গড়ে না।
আজ হিন্দু বলে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হলো সংখ্যালঘুরা, আর শুধু মুসলিম বলে রোহিঙ্গাদের মতো একটি খুনি জঙ্গি প্রধান জাতিকে বাংলাদেশ সাদরে গ্রহণ করলো। বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা এলে ভারত সরকার তাদের সাদরে গ্রহণ করছে, আর মুসলিম এলে বিতাড়িত করছে। জেলে ভরে শাস্তি দিচ্ছে। শুধু ধর্মই এর কারণ। সমাজ সভ্যতার প্রায় প্রথম থেকেই ধর্মের প্রয়োগ বা ব্যবসা ছিল। আজও আছে। কিন্তু মানুষ বদলায়নি।
ধর্মই হচ্ছে, সমাজ বিভক্তির মূল কারণ। ধর্মই হচ্ছে মানুষে মানুষে হানাহানির কারণ। অনেকের মুখে শুনতে পাই, ধর্ম নাকি শান্তির। হাসি পায় শুনে। আপনাদের জানা থাকলে জানাবেন, পৃথিবীতে এমন কোন ধর্মের জাতি আছে, যারা হানাহানিতে লিপ্ত নয় ? ধার্মিক হলে মনের চোখ অন্ধ হয়ে যায়। খোলা থাকে পাশবিক চোখ। যা শুধু নৃশংসতার স্বপ্ন দ্যাখে।
যারা বাবরি মসজিদের মতো একটি সুন্দর নির্মাণকে ধূলিস্যাৎ করে দিলো, তাদেরকে শান্তির দ্যূত বলা যায় ? দিনের পর দিন যারা ফিলিস্তিনিদের ওপর অত্যাচার করে আসছে তাদের আমি ধার্মিক বলতে পারবো না। ধর্ম মূলত নষ্টের গোড়া। ধর্মই হানাহানির রূপকার। ধার্মিক হলো হন্তারকের আত্মা। খুনির পাশবিক শক্তির নাম হুজুর ও সন্যাসী। পাদ্রী ও উপাসক।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন