জন্ম ও পরিবার
বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার পালং থানাধীন দক্ষিণ গোয়ালদী গ্রামে। সার্টিফিকেটে জন্ম তারিখ ১০ জনুয়ারি ১৯৮৬ হলেও প্রকৃত জন্ম ১৫ মাঘ ছাড়া আর কিছু জানা যায়নি। বাবা মৃত ডাঃ আব্দুল আজিজ ফকির। মা ইকবালুন নেছা। এছাড়াও স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে।
শিক্ষা
দক্ষিণ গোয়ালদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাশ। হাইস্কুল জীবনে তিন তিনটি স্কুল বদল করলেও শেষ পর্যন্ত এইচএসসি পাস করেন আঙ্গারিয়া হাই স্কুল থেকে ২০০১ সালে। পরবর্তীতে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ সম্পন্ন করেন। মোটামুটি ভালো স্টুডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও পাঠ্য বই পড়ার প্রতি একেবারেই আগ্রহ ছিল না।
শৈশব
ছোটবেলা থেকেই গল্পের প্রতি ঝোঁক ছিল প্রচণ্ড রকম। গল্প পড়া, শোনা এবং বলা তিনটাই সমান উপভোগ করেন। শৈশবে স্থানীয় বিভিন্ন খেলাধুলায় খুব একটা যুক্ত না হলেও পরবর্তীতে ক্রিকেট খেলার প্রতি প্রচণ্ড রকম ঝোক সৃষ্টি হয়। যা এখনো অব্যাহত আছে। এছাড়াও শৈশবে মাছ ধরার প্রচণ্ড নেশা ছিল।
লিখালিখি
হাইস্কুল জীবন থেকে লিখালিখি শুরু হলেও প্রকাশ অনেক পরে। নিজেই প্রকাশের তাগিদ অনুভব অথবা উপযোগী মনে করেননি। প্রধানত কবিতা এবং গল্প লিখে থাকেন। লিখার প্রধান বিষয়- সমাজের নানা অসংগতি। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ঐতিহ্যবাহী সাপ্তাহিক "বিচিত্রা" পত্রিকার ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ সংখ্যায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছাত্র ও শেষ জীবনের ঘনিষ্ঠ সহচর, শরীয়তপুর জেলার কৃতি সন্তান, কবি ও প্রাবন্ধিক 'রথীন্দ্রকান্ত ঘটক চৌধুরী'কে নিয়ে 'নিবন্ধ'। স্থানীয়, অনলাইন ও জাতীয় পত্রিকা, ম্যাগাজিন এবং ব্লকে নিয়মিত ভাবে লিখা প্রকাশিত হয়ে আসছে।
প্রিয় ও অপ্রিয় বিষয়
ঘুরে বেড়াতে, কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন। বই পড়া ও ক্রিকেট খেলার প্রতি রয়েছে প্রচণ্ড নেশা। ইতিবাচক চিন্তা করতে ভালোবাসেন। কম কথা বলা ও কম খাওয়ায় অভ্যস্ত। পরচর্চা প্রচণ্ড রকম ঘৃণা করেন। শহরের যান্ত্রিকতা একেবারেই পছন্দ না।
পেশা
শিক্ষকতার প্রতি দুর্বলতা থেকে একটি এমপিওভুক্ত হাইস্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও বর্তমানে সরকারি চাকুরি রত। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়া এবং লিখার চেষ্টা করে থাকেন।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন