বিশেষ রচনা, ‘‘বন্দে মাতরম’’ সংগীতের ইতিহাস, লিখেছেন, ঋদেনদিক মিত্রো

বিশেষ রচনা, ‘‘বন্দে মাতরম’’ সংগীতের ইতিহাস, লিখেছেন, ঋদেনদিক মিত্রো
 
বিশেষ রচনা, ‘‘বন্দে মাতরম’’ সংগীতের ইতিহাস,
 
লিখেছেন, ঋদেনদিক মিত্রো

 "বন্দে মাতরম " (Vande Mataram ) সংগীত টি সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, ( জন্ম 26 জুন 1838 নৈহাটী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি,  বর্তমানে উত্তর চব্বিশ পরগনা --- মৃত্যু 8 এপ্রিল 1894 কলকাতা,  ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট,  ও যুগ্ম পেশা সাহিত্য-সাংবাদিকতা, সম্পাদক : বঙ্গদর্শন,  প্রথম প্রকাশ 1872 )  আন্দাজ 1875-76 সালের দিকে লেখেন,     ও 1882 সালে নিজের লেখা "আনন্দমঠ " উপন্যাসে ঢোকান আরো দীর্ঘ করে গানটি লিখে ,  যেটা পরে বিপ্লবীদের মানসিক শক্তি তৈরীতে সাহায্য করেছিল ! বিপ্লবীরা মৃত্যুর আগে এই শব্দটি চেঁচিয়ে বলে মৃত্যু বরণ করতো ! 1947 সালে 15 অগাস্ট দেশ স্বাধীন হবার পরে এই সংগীতকে ভারত সরকার জাতীয় সংগীত বা National Song হিসেবে গ্রহণ করে,  24 জানুয়ারি 1950 সালে ! পন্ডিত রাজেন্দ্র প্রসাদের ইচ্ছেতে ! এটি নেহেরু,  নেতাজি ও মহাত্মা গান্ধীর প্রিয় সংগীত ছিলো ! এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " জনগণমন " গানটি জাতীয় স্তোত্র বা nation anthem হিসেবে গৃহীত হয় ! মর্যাদায় দুটি সংগীতকে সমান রেখে পৃথক নির্দেশিকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় ! যদিও এখন একটি বিতর্ক উঠেছে ওই দুইটি সংগীত নিয়ে,   ---  যার ফলে " বন্দে মাতরম " কে কিছু বিশেষ যুক্তিগ্রাহ্য কারণে  National Anthem করার ইচ্ছা অনেকে প্রকাশ করেছেন ! বিষয়টি আলোচনার মধ্যে রয়েছে ! যদিও " জনগণমন " সংগীতের সঙ্গে আমাদের জাতীয় মনযোগ মিশে রয়েছে এক রকম,  আবার " বন্দে মাতরম " - এর সঙ্গে আর এক রকম ! তাই দুটি সংগীত অবস্থান বদলালে সেটাও কেমন হবে,  সেটা এখনো আমরা বুঝতে পারছি না ! তবে দুটি সংগীত দু রকম স্বাদে আমাদের মুগ্ধ করে ! এখানে একটা কাহিনী খুব অবাক করে,  এই সংগীত প্রথম কয়েকটি লাইন রচিত হওয়ার পরে,  প্রথম সুর দেন যদুভট্ট, বঙ্কিমবাবুর নৈহাটির ভাটপাড়ার বাড়িতে বসে! আর এই যদুভট্টর কাছে রবীন্দ্রনাথও সংগীত শিখেছিলেন !  পরে,  এই সংগীতএর সুরটা রবীন্দ্রনাথ নিজে দেন নিজের মত,  বঙ্কিমবাবু সেটা মেনে নেন,  এবং সেটাই রবিঠাকুর প্রথম গেয়েছিলেন,  ও কলকাতার জাতীয় কংগ্রেস এর অধিবেশনে বিটন স্কয়ার -এ 1896 সালে রবি ঠাকুর এটা গেয়েছিলেন ! বঙ্কিমবাবু জীবিত কালে জেনে যান নি যে,  তাঁর ওই গানের ফাইনাল সুরকার রবীন্দ্রনাথ হবেন  তাঁরই ওই সংগীতএর প্রতিপক্ষ,  ও রবীন্দ্রনাথও জানতেন না যে,  তাঁর সুর দেওয়া বঙ্কিম বাবুর গানটি এমন ভাবে দাঁড়িয়ে জায়গা করে নেবে আধুনিক ভারতের ইতিহাসে ! যদিও বঙ্কিম বাবু একটি সভায় রবীন্দ্রনাথের সংগীত শুনে বলেছিলেন যে,  তাঁর স্থান নেবে রবীন্দ্রনাথ ! কিন্তু সেই কথা যে এই ভাবে ঘুরে যাবে এমন আকর্ষণীয় ভাবে,  সেটা কে জানতো ! সত্যি,  একেই বলে চমৎপ্রদ ইতিহাস !  বরং বলা ভালো ইতিহাসের চমৎকারিত্ব !

এই সঙ্গীত এর ইতিহাসও রোমাঞ্চকর ! "বঙ্গদর্শন" পত্রিকার একটি পৃষ্ঠায় গল্পের গ্যালি প্রুফ এর নিচে একটু সাদা জায়গা ছিলো ! প্রেসের প্রুফ রিডার ওরফে পন্ডিত মশাই ওই সাদা জায়গা ভরাট করার জন্য একটি ছোট আকারের  কবিতা খুঁজতে গিয়ে বঙ্কিম বাবুর দেরাজে হাতড়ান,  ও পেয়ে যান একটা চিরকুট এর মত ছোট লেখা ! সেইটা দিতে চান ওই ফাঁকা অংশে ! বঙ্কিমবাবু পাশে বসে ছিলেন,  তাঁকে জিজ্ঞেস করা মাত্র তিনি ওটা প্রুফ রিডার এর হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে বলেন, "" না,  ওভাবে ছাপা যাবে না,  একদিন দেখবে দেশ এই গানে মেতে উঠেছে,  সেদিন আমি থাকবো না,  কিন্তু তুমি দেখে যেতে পারবে !"  এই কাহিনীর প্রত্যক্ষ প্রমাণ ছিলেন বঙ্কিম বাবুর ছোট ভাই " " বঙ্গদর্শন "  এর ম্যানেজার পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় !

যদিও, আমি আর একটি জায়গায় পড়েছিলাম,  পত্রিকার ওই সাদা অংশ ভরাতে ওই ফাঁকা স্থানের মাপে একটি কবিতা চেয়ে বঙ্কিম বাবুকে প্রুফ রিডার যখন অনুরোধ করলেন ,  তখন বঙ্কিম বাবু কয়েক দিন পর "বন্দে মাতরম " লেখাটি দেন প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি পংক্তি লিখে ! ওটা প্রুফ রিডার হাতে নিয়ে দেখছেন,  তখন বঙ্কিম বাবু জানতে চান , " কেমন হয়েছে? ",  প্রুফ রিডার বলেন, " মন্দ না !" বঙ্কিম বাবু একটু রেগে বলেন, " মন্দ কী ভালো,  কী হয়েছে,  আপনাকে বলতে হবে না,  যে দিন এটা কাজে লাগবে,  সে দিন আমি পৃথিবীতে থাকবো না !"  এবং এই ভাবে কবিতাটা  ছাপা হয়েছিল বঙ্গদর্শন পত্রিকাতে ! তাহলে এইখানে দুরকম তথ্য নিয়ে একটু পার্থক্য থাকলেও মূল বিষয়টি একরকম ! 

 পরে একসময় এটিকে লেখক ও সংগীত সাধক যদুভট্ট সুর দিয়ে বঙ্কিমবাবুর নৈহাটির ভাটপাড়ার ড্রয়িংরুমে  বসে গেয়েছিলেন,  বঙ্কিমবাবু 1882 তে আনন্দমঠ উপন্যাসে এই সংগীত ছেপে নিচে উল্লেখ করে দেন : মল্লার রাগ,  কাওয়ালি তাল ! 

পরে তিন বছর পর 1885 তে  চঞ্চল যুবক রবিঠাকুর "বালক" পত্রিকায় " বন্দে মাতরম " সংগীতকে ছেপে "দেশ রাগ " এ স্বরলিপি প্রকাশ করেন ! বঙ্কিমবাবুর এটা পছন্দ হয়,  তিনি আনন্দমঠ উপন্যাসের ওই সময়কালীন পুনঃমুদ্রণে গ্রন্থের ভিতরে মুদ্রিত ওই সংগীতের নিচে নির্দিষ্ট অংশে "দেশ রাগ " উল্লেখ করেন " মোল্লার রাগ,  কাওয়ালি তাল " সরিয়ে দিয়ে !  

রবিবাবুর এই সুরে গানটির জনপ্রিয়তার পেছনে ছিলো আরেক কাহিনী,  স্বদেশী আন্দোলনের সময় " প্যাথেফোন  রেকর্ডস "  এর বিজ্ঞাপন ছিলো এইরকম :-- নতুন প্রযুক্তিতে মনে হবে,  গায়ক আপনার পাশে বসে গাইছেন রবিঠাকুরের কণ্ঠে বঙ্কিম চন্দ্রের অমর  " বন্দে মাতরম " শুনে দেখুন ! 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,  আগের "এডিসন রেকর্ডস " এর চেয়ে তখন " প্যাথেফোন রেকর্ডস " ছিলো সেই সময়ের তুলনায় আধুনিক ! সংগীতটির সব চেয়ে পুরানো  অডিও রেকর্ড যেটা পাওয়া গেছে সেটা 1907 সালের ! তবে সেটা কোন কোম্পানির,  সেটা জানিনা,  কণ্ঠ হয়তো রবিঠাকুরের ! এ নিয়ে আমার তথ্য টা অজানা ! তবে,  রবি ঠাকুর হওয়াটা সম্ভব !

দেখুন,  রবিবাবু কী করে তখন বিজ্ঞাপনের support নিয়েছিলেন বা পেয়েছিলেন এবং সেই ভাবে কী করে এগিয়ে গিয়েছিলেন ! সেই সময়টা কেমন ছিলো ,  ভাবতে কেমন লাগছে বলুন তো !

একটা কথা,  যদুভট্টকে কিন্তু কোনো ল্যাং মারার উদ্দেশ্য ছিলনা রবি ঠাকুরের ! সেই মানসিকতা ও সংকীর্নতা ছিলোনা তাঁর ! আসলে তিনি তখন নানা দিক নিয়ে কাজ ও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য খুব উদগ্রীব ছিলেন ! কারোর ভালো গীতকবিতা বা lyrics পেলেই সুর দিয়ে নিজের যোগ্যতা সত্যি কতটা --- নিজে থেকে বোঝবার চেষ্টা করতেন ! যাই হোক,  এই ভাবেই আজকের " বন্দে মাতরম "! তাছাড়া,  যদুভট্ট সুর করেছিলেন গীতকবিতাটির ভাষা দেখে,  নিঃসন্দেহে তা ছিলো সুন্দর ! রবীন্দ্রনাথ সুর করলেন গীতকবিতার সময়কালীন প্রয়োজন বুঝে !  

কিন্তু " বন্দে মাতরম " এই স্লোগান কী করে দেশে ছড়িয়ে পড়লো,  তার পেছনেও অন্য ইতিহাস ! আগেই বলেছি সঙ্গীতটি আগে লেখা হয়েছিল  উপন্যাসে ওটার মুদ্রিত আকারের তুলনায় অর্ধেক ! উপন্যাসের প্রয়োজনে বঙ্কিম বাবু আরো বড় করে লেখেন এটাকে ! কিন্তু,  রবিবাবু সুর দেবার সময়ে প্রথম দুটি স্তবক সুর দেন,  পরের স্তবকে উনি সুর দিতে চান নি ! কারণ পরের স্তবকে ছিলো হিন্দু বিশ্বাসের ভাবনা ! নির্দিষ্ট কোনো ধর্মীয় অবস্থানে এটাকে বাঁধলে,  এর সামগ্রিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে পারে ও অন্য ধর্মের থেকেও বাধা আসবে ! পরে হয়েছিলও তাই ! যাইহোক ,  গানটিতে পরের স্তবকগুলিতে  ছিলো যেমন " তোমারই প্রতিমা গড়ি মন্দিরে-মন্দিরে " বা " ত্বঙ  হি দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী" এই জাতীয় সব পংক্তি! তখন যুবক রবি তাঁর ভাগ্নি সরলা দেবীকে সুর করতে বলেন,  বাকি অংশ ! সরলা দেবী সুর করেন বাকিটা !   

যাইহোক,  আনন্দমঠ উপন্যাস ছয় -সাত টি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ হয়ে গেছে তখন, তাই ওই সংগীত টিও উপন্যাসে অনুবাদ হওয়ায় গানের  কথার সাথে বিভিন্ন ভাষার পাঠকেরা পরিচিত হয়ে উঠেছে !  

কিন্তু,  তখনো " বন্দে মাতরম " স্লোগান টি বেরিয়ে আসেনি জনগনের মাঝে ! কিন্তু,  এই গানটির অর্ধেক সুরকার সরলা দেবী হওয়ায়,  সরলা দেবীকে স্বদেশী আন্দোলনের সময় ময়মনসিংহের (বর্তমান বাংলাদেশে ) সুহৃদ সমিতি সরলা দেবীকে মিছিল করে উল্লাস করে নিয়ে তোলে বক্তৃতা মঞ্চে ! সেখানেই প্রথম ধ্বনিত হয় " বন্দে মাতরম "! 

আসলে,  বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন শুরু হয় 1905 সালে,  এই বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধী গনজাগরণ দিয়েই শুরু হয় ব্যাপক অর্থে স্বাধীনতা আন্দোলন ! এই আন্দোলন শুরুর পরই সরলাদেবীকে ময়মনসিংহে ওই মঞ্চে তোলা হয় !

এই ঘটনার পর এটা ভাইরাল হতে থাকে একা -একা ! 1907 সালে  রাজামুন্দ্রীতে লোক গরীব শিশুদেরকে পয়সা দিতো ---  যেন তারা ব্রিটিশ দেখলেই " বন্দে মাতরম " বলে ক্ষেপিয়ে তোলে ! শিশুরা তা করলে,  ব্রিটিশ তখন ওই শিশুদের তাড়া করতো! এইভাবে এটা ছড়িয়ে পড়ে পরপর সারা অখণ্ড ভারতে  প্রায় তিরিশ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে !  

এই সময় 1908 সালে শহীদ হন প্রফুল্ল চাকী ও ক্ষুদিরাম বসু ! এই কলকাতার পাশে  হাওড়া স্টেশন  থেকেই দুই বন্ধু যাত্রা করেন মোজাফ্ফরপুর ! 24 এপ্রিল 1908 মোজাফ্ফরপুর পৌঁছান ! তাহলে 23 তারিখে হয়তো ট্রেনে উঠেছিলেন ! পৌঁছানোর কয়েকদিন পর উদ্দেশ্যের দিকে ধাবিত হন দুজন ! তারপর ঘটনা সবাই জানি ! উল্লেখের দরকার নেই এখানে !

একটা কথা,  ক্ষুদিরাম বসুকে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম শহীদ বলা হয় ! কারণ প্রফুল্ল চাকীর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে  জানা ছিলো আমাদের !  কিন্তু, অনেক বছর  পরে প্রফুল্ল চাকীর প্রপৌত্র সুব্রত চাকী অনেক বছরের পরিশ্রমে অনেক অর্থ খসিয়ে প্রমাণ করেন যে,  সব বিপ্লবীরা-ই মর্যাদাতে সমান,  কিন্তু,  ইতিহাসের সঠিক সত্যে প্রফুল্ল চাকী ব্রিটিশ পুলিশের দ্বারা গুলি বিদ্ধ হয়ে মারা যান,  এবং ক্ষুদিরাম প্রথম ফাঁসিতে মৃত্যু বরণ করেন ! তাই বর্তমান প্রাপ্ত প্রমাণ অনুযায়ী ভারতের প্রথম শহীদ প্রফুল্ল চাকী,  ও ফাঁসিতে প্রথম শহীদ ক্ষুদিরাম বসু ! প্রফুল্ল চাকী ধরা না দিয়ে ব্রিটিশের সাথে যুদ্ধ করেন,  আর ক্ষুদিরাম বিশেষ পরিস্থিতির ফলে ধরা পড়ে যান ! পরে বিচার ও ফাঁসি হয় ! " বন্দে মাতরম " স্লোগান ওঁরা ব্যবহার করতেন ! 

অনেক পরে,  রবি ঠাকুর তখন প্রায় ছিয়াত্তর বছরে পৌঁছেছেন,  1937 সাল,  সংগীতটি নিয়ে অহিন্দুদের থেকে নানা প্রশ্ন উঠলো ! নেহেরু,  সুভাষ,  গান্ধীজি, সকলেই রবীন্দ্রনাথের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে ! রবীন্দ্রনাথ দেখলেন,  শুধু প্রথম দুটি স্তবক রাখলে চিন্তা নেই ! সেটাই হলো ! অর্থাৎ নেওয়া হলো শুধু প্রথম অংশটি !

সঙ্গীতটিকে ঋষি অরবিন্দ  পরাধীন ভারতে " Anthem of Bengal " হিসেবে মর্যাদা দিয়েছিলেন ! এই সংগীতটি নিয়ে সারা পৃথিবীতে প্রায় একশত রকম সুর হয়েছে,  যদিও রবি ঠাকুরের সুর টা আমাদের কাছে রাষ্ট্রীয় ভাবে গৃহীত বলে যতদূর জানি ! আবার অন্য সুরগুলিও কোনোটা-কোনোটা আমাদের অন্য রকম ভাবে উপলব্ধিকে জাগিয়ে তোলে !  আসলে সময়ের সাপেক্ষে সংগীতটির ওপর থেকে  কপিরাইট উঠে যাওয়ায়,  হয়তো অনেকে এর ওপর অনেক রকম আদলে সুর দিয়েছেন,  সংগীতটির প্রতি ভালোলাগার নানা রকম অনুভূতি থেকে ! 

কী ভাবে একটা অগোছালো ভাবে পড়ে থাকা সৃষ্টি,  বা কারো অনুরোধে কোনো কিছু উন্নত কাজ করার ফলাফল ---- কোন জায়গায় যেতে পারে,  ভাবা যায় না ! এই ইতিহাস গুলি আমাদের প্রমাণ দেয় -- কোনো ভালো কাজে আশা হারাতে নেই,  সময়ের ধারায় কোনটা কী ভাবে উঠে দাঁড়ায় কেউ জানে না !  কাজ করতে হয় ও কাজকে সংরক্ষিত করতে হয়! 


 

Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.