রাখী বন্ধন। এক অজানা ইতিহাসের সন্ধানে : সঞ্চারী ভট্টাচাৰ্য্য

রাখী বন্ধন। এক অজানা ইতিহাসের সন্ধানে : সঞ্চারী ভট্টাচাৰ্য্য

রাখী বন্ধন। এক অজানা ইতিহাসের সন্ধানে


সঞ্চারী ভট্টাচাৰ্য্য


“রাখী বন্ধন উৎসবে ভাইবোনের মধ্যকার স্বর্গীয় সম্পর্ক উদযাপন করা হয়। রাখী নামেও পরিচিত এই রক্ষা বন্ধন প্রতি বছর শ্রাবন মাসের পূর্ণিমার দিন পালন করা হয়। বোনেরা তাদের ভাইদের হাতের কব্জিতে সুন্দর সুন্দর পবিত্র সূতা বেঁধে দেয়, যা ‘নিরাপত্তা ও রক্ষা বন্ধন’ চিহ্ন হিসেবে প্রকাশিত। তারা তাদের ভাইদের মঙ্গল কামনা করে এবং ভাইয়েরা বোনদের রক্ষা করা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ঐ দিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়।এই বিশেষ দিনে পরিবেশে “যম” তত্ত্ব বেশি থাকে, এতে ভাইয়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু রাখি বন্ধনের ফলে তা দূর হয়ে যায়।

রাখী পূর্ণিমার পবিত্র উৎসব হল ভারতীয় উপমহাদেশের ভাই বোনের প্রেম প্রীতির অন্যতম বন্ধন উৎসব। এই উৎসব যত না উৎসবের আনন্দ তার চেয়েও অনেক বেশি দায়িত্বের। একজন দাদা দায়িত্ব নেয় তার ছোট বোনের জীবনে দেবে সকল প্রকার নিরাপত্তা। আবার দিদি ভাইয়ের মধ্যে এই উৎসব দেয় উপহারের ফল। মিষ্টি থেকে শুরু করে রকমারি চকলেটে এই রাখী বন্ধন উৎসব আনন্দের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ পালন করে। এই উৎসব এক প্রকার সম্প্রীতির উৎসব। বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যেখানে নারীদের প্রতি অচেনা পুরুষদের এক বিকৃত কামের সুপ্ত বাসনা দেখা দিচ্ছে, সেইখানে এই রাখী বন্ধন উৎসব নারীদের অনেকাংশেই দেয় সামাজিক নিরাপত্তা। দাদা বা ভাই একদিকে বোন বা দিদিকে যেমন সাহস যোগায়, তেমনি পরিবারের মধ্যে ভাই বোন বা দাদা, বোনের যে সহজাত সম্পর্ক যা ধীরে ধীরে প্রায় লুপ্ত হতে বসেছে তা জেগে ওঠে সময় বিশেষে।
 
তাই এক কথায় রাখী যেন অনেক বেশি হৃদয়ের কাছাকাছি নিয়ে আসে দুই বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিকে তাদের দায়িত্ববোধের মাধ্যমে। এই বন্ধন যেন সবার কাছেই এক আশীর্বাদ।  আর তাই সাম্প্রতিক অতীতের রবি ঠাকুরের রাখী বন্ধন উৎসব যেখানে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়, তেমনি সনাতন হিন্দু সংষ্কৃতি আমাদের কাছে রাখীর যা ইতিহাস তুলে ধরে তা ভাই বোনের মায়া মমতা ভরা সম্পর্ককে রাখীর বন্ধনের মাধ্যমে আরও বেশি সুদৃঢ় করে। এই বন্ধন যেন শুধুমাত্র রক্তের সম্পর্কের বন্ধন নয় এই বন্ধন অনেক বেশি হয়ে ওঠে মানবতাবোধ বাঁচিয়ে রাখার বন্ধন। যার জন্য আজও অনেক জায়গায় অচেনা মেয়ের সম্ভ্রম রক্ষার্থে  অচেনা ভাই বা দাদারা ছুটে আসে।এবং তাদের যে রক্ষা করে তাই শুধু নয় তাদের রক্ষার্থে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকিও নিয়েছে তারা। এমনকি অনেকে শহীদ ও হচ্ছেন এই কাজে। তাই আজকের ভারতের ক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক এই রাখী বন্ধনের উৎসব।

‘রাখীবন্ধন’ এই সময়ে আর কোনো ধর্মীয় বন্ধনে আবদ্ধ নেই। যা ভাই-বোনের সুমধুর সম্পর্ককে ছাড়িয়ে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। যার ব্যপ্তি আজ চারিদিকে। যে উৎসব আজ পালিত, মানুষে-মানুষে সুসম্পর্কের প্রতীক হিসেবে। যা ‘রাজনৈতিক দলে’র সাথে জড়িয়ে গেছে অঙ্গাঙ্গিভাবে, কারণ ‘সম্প্রতির বার্তা’ দিতে তা আজ অবতীর্ণ সড়কেও। যা এখন পরিবারের গন্ডী ছাড়িয়ে সাধারণের আঙিনায়। তাই এই উৎসব আজ বৈচিত্র্যময়,অন্যতম ভূমিকা পালন করছে বর্তমানে।

কখন ও কবে থেকে পালন করা হয় রাখী বন্ধনের উৎসব ?


যদিও রাখী পূর্ণিমার সৃষ্টি কখন হয়েছিল এই নিয়ে নানা মতভেদ আছে।তবে ধরা হয় আনুমানিক ৬,০০০ বছর পূর্ব থেকেই পুরাণের যুগের সময় থেকেই রাখী বন্ধন উৎসব পালন করা হয়। যদিও বর্তমান সময়ে আমরা জানি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে হিন্দু মুসলমানের মধ্যে ধর্মীয় এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য এই উৎসব বাংলা জুড়ে প্রচলন করেছিলেন বড়ো আকারে।

রাখী বন্ধন। নেপথ্যের ইতিহাস কেমন ছিল?

সুভদ্রা কৃষ্ণের ছোট বোন, কৃষ্ণ সুভদ্রাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তবে আপন বোন না হয়েও দ্রৌপদী ছিলেন কৃষ্ণের অতীব স্নেহভাজন। একদিন সুভদ্রা কিছুটা অভিমান ভরে কৃষ্ণকে প্রশ্ন করলেন এর কারন। উত্তরে কৃষ্ণ বললেন যথা সময়ে এর কারন তুমি বুঝতে পারবে। এর কিছুদিন পর শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে রক্ত পড়ছিল, তা দেখে সুভদ্রা রক্ত বন্ধের জন্য কাপড় খুঁজছিলেন, কিন্তু মন মত পাতলা সাধারন কাপড় পাচ্ছিলেন না, এর মাঝে দ্রৌপদী সেখানে আসলেন, দেখে বিন্দুমাত্র দেরি না করে সাথে সাথে নিজের মুল্যবান রেশম শাড়ি ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাত বেধে দিলেন, কিছুক্ষন পর রক্তপাত বন্ধ হল।

তখন শ্রীকৃষ্ণ বোন সুভদ্রা কে ডেকে বললেন- এখন বুঝতে পেরেছ কেন আমি দ্রৌপদীকে এত স্নেহ করি? সুভদ্রা বুঝতে পারল ভক্তি ও পবিত্র ভালবাসা, শ্রদ্ধা কি জিনিস! দাদা কৃষ্ণের চেয়ে মুল্যবান বস্ত্র নিজের কাছে বেশি প্রিয় এটা ভেবে সুভদ্রা দারুন লজ্জিত হলেন। কোন বোন তার ভাইয়ের কোনোরূপ কষ্ট, অমঙ্গল সহ্য করতে পারে না। ভাইয়ের কষ্ট দুরের জন্য সে সর্বত্তম চেষ্টা করে। অন্যদিকে ভাই ও তার বোন কে পৃথিবীতে সর্বাধিক স্নেহ করে, সারাজীবন তাকে রক্ষা করে থাকে, যেরকম শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় চরম কলঙ্ক থেকে রক্ষা করেছিলেন।


অনেকে বলেন যমুনাও তার ভাই যমের হাতে রাখী পরিয়েছিলেন। এছাড়াও কথিত আছে একবার এক হত দরিদ্র নারীর রূপ ধরে বানর রাজ বালির কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেন ধন ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষী। তখন বানর রাজা বালি তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার রাজপ্রাসাদে তাকে ঠাঁই দেন। খুশি হয়ে মাতা লক্ষী বানর রাজা বালির হাতে একটি কাপড়ের টুকরো বেঁধে দেন।যে দিন এই ঘটনাটি ঘটে সেই দিনটি ছিল শ্রাবণ মাসের এক পূর্ণিমা। আর তাই এই দিনটিকেও অনেকেই রাখী বন্ধন উৎসবের সূচনা বলে মনে করেন।

আবার এও কথিত আছে ভগবান শ্রী গনেশের দুই পুত্র শুভ এবং লাভ একবার খুব জেদ ধরে তারা তাদের বোনের কাছেই রাখী পরবেন। উপায় না দেখে ভগবান গনেশ তার দুই স্ত্রী ঋদ্ধি এবং সিদ্ধির গর্ভ থেকে এক কন্যার সৃষ্টি করেন যিনি আমাদের কাছে সন্তোষী মাতা রূপে পরিচিত।তিনি তারপর দুই দাদা শুভ এবং লাভের হাতে রাখী বেঁধে দেন। সেই থেকেও রাখী বন্ধন উৎসব ভাইদের কল্যাণ কামনায় করা হয় বলে জানা গেছে ।

এছাড়া দানব রাজা বলি যখন তার শত যজ্ঞ পূর্ন করেছিলেন তখন তিনি মনে মনে স্বর্গের অধিপতি হওয়ার বাসনা নেন, দেবরাজ ইন্দ্র এই মনোবাসনা বুঝতে পেরে ভগবান বিষ্ণুর শরণাপন্ন হয়েছিলেন এবং তাকে এই ঘোরতর সমস্যা থেকে মুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন।তখন ভগবান বিষ্ণু বামন অবতার ধারণ করে রাজা বলির কাছে ব্রাহ্মণ অবতারে আসেন এবং তার কাছে ভিক্ষা প্রার্থনা করেন।রাজা বলি তখন তাকে বলেন তুমি কি চাও বলো ,আমি তোমাকে তাই দেবো। সেই সময় ব্রাহ্মণ বেশী ভগবান বিষ্ণু তার কাছে তিন পদ জমি চেয়ে বসেন।আর রাজা বলিও তা পূর্ন করার  প্রতিজ্ঞা করেন। তখন বামন রূপে ভগবান বিষ্ণু এক পায়ের দ্বারা স্বর্গরাজ্য এবং অন্য পায়ের দ্বারা সমস্ত পৃথিবী নিজের অধিকারে নিয়ে নেন এখন তার কাছে এক পদ জমি বাকি ছিল ।তখন নিরুপায় হয়ে রাজা বলি বামন রূপী ব্রাহ্মণ কে তার অন্তিম পদ তার মাথায় রাখতে বলেন এবং এইভাবে এক পা রাখলে রাজা বলি তিনি পাতালবাসী হন।

এইভাবে তার কথা রাখতে পারার জন্য ভগবান বিষ্ণু তার নিজরূপ ধারণ করে রাজা বলির উদ্দ্যেশ্যে বলেন, যে তিনি তার এইরূপ প্রতিজ্ঞা রাখায় সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তার যদি কিছু চাওয়ার থাকে তাহলে ভগবান বিষ্ণুর কাছে কোন রূপ সংকোচ ছাড়াই চাইতে পারে।তখন রাজা বলি ভগবান বিষ্ণুকে সবসময় তার কাছে যেন তিনি থাকেন এইরূপ একটি বর ভিক্ষা করেন। এইভাবে বর দেওয়ার ফলে ভগবান বিষ্ণুকে রাজা বলির কক্ষের দ্বাররক্ষী হতে হয়। ভগবান বিষ্ণুর পত্নী মা লক্ষী যখন এই বিষয় জানতে পারে তখন তিনি নারদের কাছে এই অবস্থা থেকে ভগবান বিষ্ণুর বাঁচার উপায় জানতে চান। নারদ তখন মা লক্ষীকে উপদেশ দেন ,তিনি যেন রাজা বলিকে রাখী বেঁধে তাকে নিজের ভাইয়ের মর্যাদা দেয় এবং বিনিময়ে যখন রাজা বলি তাকে কিছু দিতে চাইবে তখন মাতা লক্ষী যেন ভগবান বিষ্ণুকে চেয়ে নেন।এইভাবে রাখী বেঁধে নারদের উপদেশ মতো মা লক্ষী রাজা বলিকে রাখী পরিয়ে ভাই বানিয়ে তার পতি ভগবান বিষ্ণুকে উদ্ধার করেন। যেদিন তিনি রাজা বলিকে রাখী বেঁধেছিলেন সেই দিনটিও নাকি শ্রাবন মাসের এক পূর্ণিমা তিথি ছিল, আর এই থেকে তাই শ্রাবন মাসের পূর্ণিমা তিথীতে রাখী বন্ধন উৎসব চালু হয়।

আরও একটি পৌরাণিক ঘটনা হলো লক্ষ্মী ও বানররাজ বালি একবার এক হতদরিদ্র নারীর রূপ ধরে বালির কাছে আশ্রয় চান ধনদাত্রী দেবী লক্ষ্মী। বালি নিজের প্রাসাদের দরজা খুলে দেন তাঁর জন্য। খুশি হয়ে লক্ষ্মী, কাপড়ের টুকরো বেঁধে দেন বালির হাতে। দিনটি ছিল শ্রাবণ মাসের এক পূর্ণিমা।

ঐতিহাসিক গল্পে রাখী বন্ধন ও তাঁর বর্ণনা


হুমায়ুন ও রানী কর্ণবতী— শত্রুর হাত থেকে নিজের রাজ্যকে বাঁচাতে, মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের কাছে সাহায্য চান মেওয়ারের রানি কর্ণবতী। সেই সময়ে তিনি একটি রাখিও পাঠান হুমায়ুনকে।

পুরু ও রোক্সানা— আলেকজান্ডার ও পুরুর যুদ্ধে হেরে গিয়েছিলেন পুরু। কিন্তু ইতিহাস বলছে, আলেকজান্ডারের স্ত্রী রোক্সানা রাখী পাঠিয়েছিলেন পুরুকে। এবং তাঁর স্বামীকে হত্যা না করার আর্জিও জানিয়েছিলেন।

কটি জনপ্রিয় গল্প অনুযায়ী, চিতোরের রানি কর্ণবতী ১৫৩৫ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট হুমায়ুনকে একটি রাখী পাঠান। গুজরাতের সুলতান বাহাদুর শাহ চিতোর আক্রমণ করলে বিধবা রানি কর্ণবতী অসহায় বোধ করেন এবং তিনি হুমায়ুনকে একটি রাখী পাঠিয়ে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করেন। কর্ণবতীর রাখি প্রেরণে অভিভূত হয়ে হুমায়ুন চিতোর রক্ষা করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করেন।

আবার ইতিহাসের সবচেয়ে নবীনতম মতবাদ অনুযায়ী, বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাঙালির এই প্রথম জাতীয়তাবাদী জাগরণের পেছনে রবীন্দ্রনাথ যে প্রেরণা দিয়েছেন তাঁর প্রাথমিক বীজবপন করেছিলেন রাখিবন্ধনের মধ্য দিয়ে । ‘রাখিবন্ধন’ উত্সব প্রবর্তন করে হিন্দু-মুসলিমে সম্প্রীতি ও সান্নিধ্যের সুযোগ তৈরি করতে চাইলেন। নিজে পথে নামলেন, সাধারণ মুসলিম প্রবীণের হাতে রাখি পরালেন, মিছিলের পুরোভাগে থেকে গাইলেন—‘বিধির বাঁধন কাটবে তুমি এমন শক্তিমান’। তাই তো তিনি লিখতে পেরেছিলেন - ' বাঙালির প্রাণ বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন এক হউক, এক হউক, এক হউক, হে ভগবান।'

কোন ধরনের রাখী বন্ধন নিয়ম মতে শুভ?

'অনুকার' বা 'স্বস্তিকা' আকারের রাখী শুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও জুট, সিল্ক, বা সুতির দড়ি যেসমস্ত রাখিতে ব্যবহৃত হয়, তা শুভ বলে ধারণা অনেকের। রাখিতে যেন কোনও ধাতু থাকে, সেদিকটিও নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বাস্তু শাস্ত্রবিদরা। এতে ভাইয়ের জীবনের উন্নতি বাঁধা থাকে। 
 
একটি ভিন্নধর্মী লেখা পড়তে ক্লিক করুন - মাতলো রে ভুবন-পিনাকী চৌধুরী

তথ্যসূত্র :-

Christine Moorcroft, Folens religious education, Folens Limited, 1995, আইএসবিএন 9781852763978, ... sisters tie to their brothers' or male cousins' wrists ...

Alison Shaw, Negotiating risk: British Pakistani experiences of genetics, Berghahn Books, 2009, আইএসবিএন 9781845455484, ... in Urdu and Panjabi the full kinship terms for cousin mean, literally, the brother or sister born to a maternal or paternal aunt or uncle ... he's my 'cousin-brother' or she's my 'cousin-sister' ...

Edward Balfour, The cyclopaedia of India and of eastern and southern Asia, Volume 2, B. Quaritch, 1885, ... Muh-Bola-Bhai. Hind. An adopted brother ... Brother-making; Rakhi ...

Gambit, Volume 3, ... the great blue god Krishna who first put meaning into the rakhi. Listen. He had cut his wrist in the field and it was bleeding. Everybody went running here and there for something to bind his hand with. But Queen Draupadi, wife of the Pandava, without any hesitation tore a strip from her beautiful saree and tied up the ...

"Scientific Details about Raksha Bandhan"। ১৬ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০১১।

↑ Robert L. Brown, Ganesh: studies of an Asian god, SUNY Press, 1991, আইএসবিএন 9780791406564, The boys are jealous, as they, unlike their father, have no sister with whom to tie the rakhi. They and the other women plead with their father, but to no avail; but then Narada appears and convinces Ganesa that the creation of an illustrious daughter ... a flame that engenders Santoshi Ma ...
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.