শান্তিনিকেতনের আদলে তৈরি শান্তিনগর বিদ্যামন্দির পাঠশালা


শান্তিনিকেতনের পাঠশালা আদলে তৈরি শান্তিনগর বিদ্যামন্দির পাঠশালা

সত্যান্বেষী সংবাদ # কাজল মিত্র # করোনা ভাইরাসের ফলে টানা তিনমাসের বেশি লকডাউন আর এই লকডাউনের জন্য বন্ধ রয়েছে স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ।যদিও বহু জায়গায়  অনলাইনের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকরা পড়ুয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্লাস করালেও প্রত্যন্ত গ্রামের ছাত্র ছাত্রীরা এসব অনলাইন থেকে এখনও বঞ্চিত কারন তাদের নাআছে কোন মোবাইল এর না আছে কম্পিউটার।যার ফলে তারা অনলাইনে ক্লাস করতে পারছেন আর সেই কথা মাথায় রেখেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার উদ্দেশ্য নিয়ে শান্তিনগর বিদ্যামন্দির এর শিক্ষক ও শিক্ষিকা দের অভিনব উদ্যোগে ও নববিকাশ ক্লাবের সহায়তায় গাছের তলায় শুরু হল বিদ্যা প্রতিষ্ঠান। বার্নপুর শিল্পাঞ্চলের প্রান্তিক গ্রাম্য এলাকা বড়থল ও তার আশেপাশের গ্রামের ২৯৫ জন ছাত্র- ছাত্রীদের নিয়ে এদিন সকালে গাছের নীচে পড়ুয়াদের জন্য শুরু হয় সেই অভিনব স্কুল।এই অভিনব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডল।

 এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মূলত ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করবে।গাছের তলায় সকলের জন্য সেকসেন ভাগ করে বাংলা, বিজ্ঞান, অঙ্ক, শরীরচর্চার ক্লাস নেওয়া হয় এদিন। এমনকি পর্দায় অ্যানিমেশনের মাধ্যমেও ক্লাস করানো হয়। হাতের সামনে অভিনব এমন স্কুল বা পড়া পেয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে অভিভাবকরাও খুশি হন। 

এদিন অতিরিক্তি জেলাশাসক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, অভিনব এই উদ্যোগ দেখে আমার শান্তিনিকেতনের কথা মনে পড়ে গেল। আমরা চাইবো শান্তিনগর বিদ্যামন্দিরএর  মতো আসানসোলের অন্য স্কুলগুলিও এইরকমভাবে পিছিয়ে পড়া এলাকার পড়ুয়াদের পাঠদান করতে এগিয়ে আসুক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে পাঠদান পর্ব শুরু হল। যেখানে স্মার্টফোন নেই, প্রযুক্তির ব্যবহার নেই সেখানে গিয়ে এই ধরণের পাঠদান চলবে। 


এই পাঠ্যবইয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি, আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলার পাঠ দিলেন সেইসব পড়ুয়াদের। বিশিষ্ট ক্রীড়াবীদরা পাঠ দিলেন শরীরচর্চারও। সব থেকে শেষে ছিল স্কুলের মিড ডে মিলের মতো মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন। যার দায়িত্ব নিয়েছিলো বার্নপুর নববিকাশ ক্লাব।
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.