সিধু-কানু স্মরণে পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামে হুল দিবস পালিত


সিধু-কানু স্মরণে পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামে হুল দিবস পালিত

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী # পূর্ব বর্ধমান # ১ জুলাই, বুধবার @ ইংরেজ ও মহাজনদের অত্যাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সিধু-কানুর নেতৃত্বে হাজার হাজার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ ১৮৫৫ সালের ৩০ শে জুন ভাগনাডিহির মাঠে জড়ো হয়। শেষ পর্যন্ত সিধু, কানু সহ অনেকেই শহীদ হন। তারপর থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ সিধু, কানু সহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণে ৩০ জুন দিনটি হুল দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।
      রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে ৩০ শে জুন ঐতিহাসিক হুল দিবস পালিত হলো পূর্ব বর্ধমানের আদিবাসী অধ্যুষিত আউশগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে।
        তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ কমিটির আয়োজনে লকডাউন বিধি মেনে  একটি অনুষ্ঠান হয়  আউশগ্রামের শোকাডাঙায়। উক্ত অনুষ্ঠানে আউশগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার সহ অনেকেই  সিধু-কানুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। শহীদদদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। বিধায়ক উপস্থিত জনগণের সামনে এই দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আউশগ্রাম ১নং ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত গোস্বামী, অরূপ সরকার সহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি। অনুষ্ঠানের শেষে এলাকার প্রায় ১৫০ টি আদিবাসী পরিবারের মধ্যে চাল বিলি করা হয়।


          বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা সদ্য নিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সেখ আব্দুল লালনের উদ্যোগে অপর একটি অনুষ্ঠান হয় দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিলং আদিবাসী পাড়ায়। এখানে এলাকার একটি মহিলা আদিবাসী ফুটবল টিম সহ মোট ১৩ টি আদিবাসী ফুটবল টিমের হাতে ফুটবল তুলে দেওয়া হয়।
      লালন বাবু বলেন, আমরা প্রথমে ১২ টি টিমকে বল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু ফুটবল খেলার প্রতি মহিলাদের আগ্রহ দেখে শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেও বল তুলে দিই। আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর এটাই হয়তো শ্রেষ্ঠ উপায়।
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.