কবিতা নয়-১
ফকির শাহ
ক্ষয়ে যাওয়া, রক্ত চুঁইয়ে পরছে যে পা গুলো দিয়ে ;
আগামী বসন্ত উৎসবে ওখানে লাল রঙের পলাশ ফুটবে।
রেলে কাটা হাত দিয়ে পোস্টার বানানো হবে,
মৃত হাতে থাকবে না খেতে পাওয়া রুটির কাফন...
আমিও আল্লাহ কে সব বলে দেব
কিভাবে আমার আঁকার খাতা আর তুলি তোমাদের বোমে উড়ে গিয়েছিল !!
দেওয়ালে সমস্ত রঙ ছিটকে লেগে একটা বিমূর্ত স্টেনসিল
শার্জিল ইমামের মত দেখতে একটা মুখ!!
না আমি আর সেসব কবিতা লিখিনা, যেখানে চরের বালুকণা জুড়ে
ভাট ফুলের গন্ধ মেখে
উড়জাহাজ ল্যান্ড করত বাতিল ডাকটিকিটের মত এয়ারপোর্টে...
আমার কবিতারা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
দিল্লি থেকে আরা আসার চোয়াল শক্ত করা ঘাম ;
ছোলার ছাতু আর নোনতা পানি ...
আমার কবিতারা সেই নিষ্পাপ সাইকেল চোরের কথা বলে :
যে তার পঙ্গু বৌয়ের জন্য তিন লাইনের চিঠি লিখে ক্ষমা প্রার্থনা করে,
চুরি করা সাইকেল নিয়ে জয়পুর থেকে বেরেলি গিয়েছিল...
আমার কবিতারাও প্রেম করে বুঝলেন ?
যখন হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত বাংলার রফিকুল
সাত মহলা আশমানে হঠাৎ করে তিন মাস আগে বিয়ে হওয়া বৌয়ের মুখ দেখে...
তারপর ভিডিও কলে বলে :
আর তিন দিন কাঁদিস না। ইনশাআল্লাহ ঠিক পৌঁছে যাব !!
আমার কবিতারা আত্মনির্ভর
আমার কবিতাতে বিড়ি বেঁধে টাকা জমিয়েছে রফিকুলের বৌ ...সাতশো টাকা !!
এক সপ্তাহের বেঁচে থাকার খোরাক।
আমার কবিতারা সেই অশিক্ষিত গেঁয়ো মানিক মিয়াকে চেনে।
যে তার সমস্ত হারাম জাকাত আজ বাউরি পাড়ার মনসা তলায় বিলিয়ে দিচ্ছে...
আমার কবিতা ধীরে ধীরে সেফ জোন থেকে বেরিয়ে স্বাবলম্বী হতে চাইছে ,
আমার কবিতারা খুব শিগগির চালের গুদাম লুট করতে শিখবে...
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন