কিশলয় গুপ্ত'এর একগুচ্ছ কবিতা : বাউলানা_২২

কিশলয় গুপ্ত'এর একগুচ্ছ কবিতা : বাউলানা_২২
কিশলয় গুপ্ত'এর একগুচ্ছ কবিতা : বাউলানা_২২

লিখতে গেলে শব্দরা দেয় বাধা
আমার বুকে তো নেই ঠমক মারা রাধা
                   লেখার বিষয় কোথায়!

এমনি আমার হাজার রকম দোষ
পাড়া থেকে গ্রাম- গোটা দেশই জানে
কোথায় আছে কত নন্দ ঘোষ
সবাই দলে টানে।
                         লেখার বিষয় কোথায়?

কাল দিয়েছে জালে জাদুটোনা
শুনছি এখন দুধ থেকে হয় সোনা
গোনা ব্যথায় হাত রাখে সমঝোতা
                         লেখার বিষয় কোথায়!

'পরিবর্তন' শুনতে তো বেশ ভালো
আরশোলা দল উপস্থিত ক্ষমতায়
শুনছি রাধা- ব্যাপার কী ধারালো
                        লেখার বিষয় কোথায়!

                    ২৩

কিছু প্রেম সার্টিফিকেটের সাথে ঢুকে গেছে
প্রাগৈতিহাসিক ফাইলে।
মাটিতে মিশে গেছে কিছু প্রেম বাবার লাশ সহ
কিছু প্রেম কোরানী নিয়মে নিথর।
অল্প প্রেম গীতার বাণী শুনেছে ধৈর্য ধরে
দরকারে প্রেম ঘুরে গেছে সাতপাক।

লাজুক বাতাসে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে প্রেম
শীতের খেজুর রসের মত মাটির দিকে
নেমে আসে- নেমে আসে সুর তাগিদে,
প্যাথোজের রীতি মেনে চলে।
বেহালা বড় ক্লান্ত- ক্লান্ত বিটোফেন।
একতারায় জায়গা পেতে এই যুদ্ধ।

কিছু প্রেম আজ প্রাতঃভ্রমন উদ্যোগী গান
অনেকটা প্রেম জমে আছে নিরপেক্ষ শব্দে...

                    ২৪

কখনো যদি ভুল করেও ছন্দ ভুলি
ধরেই নেবো ধর্ষকের গন্ধ ভুলি
মাইরী, আমি শ্বাস নেয়া বন্ধ দেবো
যখন তখন আলতু ফালতু অন্ধ বুলি

কখনো যদি বুক না পাতি অক্ষরে
কানাগলি আপন ভাবি শখ করে
মধুমেহ শব্দটিকে প্রেম ভেবে
গরীব এ বুক ভরিয়ে দেবো শক্করে

কখনো যদি ওড়না দিয়ে মুখ ঢাকি
এবং ভুলে বিপরীতমুখী রঙ মাখি
মন দোতারার তার ছিঁড়বো নিজ হাতে
ধরে নেবো মানুষ হতে খুব বাকি

কখনো যদি তোমার কথায় দিই সাড়া
লিখবো না আর শব্দপ্রদ আশকারা।

                  ২৫

দরজায় ধাক্কা দিবি না বলে দিলাম
ভুল করেও কড়া নাড়বি না।
এই ঘরে অপ্সরা গন্ধী কোন ষড়যন্ত্র নেই,
বিউটি পার্লারের এক ঝলক হাওয়া।
আলমারি জুড়ে গচ্ছিত মরমিয়া যৌনতা।

দেশজ বিশ্বাসে তীর্থে চলে গেলে না হয়
হাঁড়ি কাঠ ভেঙে দিয়ে বলবো-
'এখানে আর পশু বলি বৈধ নয়'
নামাবলীর আড়ালে তসবি লুকানো আছে।
সুতরাং কাহিনীর সমাপ্তি সম্ভব নয়।
দাঁড়িয়ে থাকতে কে বলেছে নির্লজ্জ?

তবুও আমি চাকায় ধরে রেখেছি শব্দ
নইলে লিখতে পারতাম অনেক কিছু...

২৬
বুড়ো আঙুলের ডগায় চরিত্র ধরে রাখ
উঠতে চাইলে হাঁটু,উরু হয়ে পুড়ে যাবে
আমাজন, জ্বলে যাবে সুন্দরবন।

আহা রে- নাভিকুন্ডলে ওম শব্দ ওঠে
যৌন বিজ্ঞানে তাকে কী বলে ডাকে
আমি জানি না। জানতেও চাই না।

কেন না চেয়ার জুড়ে হিজড়ে সম্প্রদায়
সিংহাসনে নপুংসকের দল হাসে
চল ফোট- প্রেম মারানির জারজ বাচ্চা।

বুকে বুকে সব কথা বলা হয়ে গেলে।
আমার জানালার কাছে আসিস
সময় নিয়ে শেখাবো প্রেম কাকে বলে।

২৭
সিঁড়ি ভাঙছি
         সিঁড়ি ভাঙছি
                  সিঁড়ি ভাঙছি
                            খোলা ছাদে।

চোখে আকাশ
বুকে আকাশ
হাতে আকাশ
ফুসসসস

নীচে নামছি
         নীচে ঘামছি
                  নীচে থামছি
                           রসাতল।

পায়ে মাটি খুব
পিঠে মাটি খুব
নিতম্ব মাটিময়
খাল্লাশ.....

সিঁড়ি ভাঙছি
          সিঁড়ি ভাঙছি
                    সিঁড়ি ভাঙছি...
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.