![]() |
মৃত্যু : অরুণিমা মন্ডল |
জন্মে কি পেলাম? কি খেলাম কি পরলাম সেটা বড় কথা নয় জন্মাতে হল কেন? মৃত্যু হবে কেন? এইগুলো কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি! কেন এলাম কেনই বা মরব কেন ই বা ছেলে র হাতে আগুন পাব? কেন চিরকাল যুবক /যুবতী থাকব না? রূপ ভোগ বিলাশ সত্যি কি আরামদায়ক? সত্যি কি সারাজীবনে কেউ একটু কষ্ট পাননি? রাজা দের ও কষ্ট পেয়ে মরতে হয় !হায়রে জীবন! হায়রে সুখ কদিনের অতিথি? বুড়ো বয়সে না খেয়ে ধুকতে ধুকতে মরতে হয় ! বিছানায় থাকলে খুব কম ভাগ্যবানের আরামমূলক”মৃত্যু জোটে!
কেউ ই পায়খানা পরিষ্কার করতে চায় না/ খুব কম লোকের কপালে এমন ছেলে জোটে যে ভালোভাবে সেবা করছে?
হায় রে মৃত্যু! যে শরীর সাদা ফর্সা ! বছর বছর টাকার আদর একটা মশা কামড়াতে পারে না ! সৌন্দর্যে বিলাশে যে দেহ স্নান করে বছর বছর সে দেহ বিছানায় পড়লে নোংরা অপরিষ্কার গন্ধযুক্ত সবার ধিক্কার গালি করুনা ! হায়রে যৌবন কদিনের সুখে কেন ই মজ মন আর সংসার?
সেই দেহ নিজের বৌ বর ও ছোঁবে না পিঁপড়ে মশায় শেষ বয়সে খেয়ে মারবে পুড়বে শ্মশানে হাড্ডিখানি?
এ কেমন জীবন যে নাতি ছেলে খুব ভালোবাসা তারাই বোঝ” ভেবে পুড়িয়ে খাওয়ানোর শ্রদ্ধা! আমাদের সমাজ এটা ই কি? এই দেখানো সমাজ সংসার নিয়ম ঘৃণা?
বৌদ্ধধর্মের অহিংসা নীতি সর্বোৎকৃষ্ট সারা জীবন নারী অর্থ পুরুষ সম্ভোগে মিছিমিছি ব্যয় করে শেষ বয়সে সেই আপনরাই সব কেড়ে অসহায়ভাবে মেরে ফেলে মরতে হয় সারাজীবনের অক্লান্ত ভালোবাসার কোন মূল্য নেই? আছে শুধু ঝুটা সম্মান টাকা আর ক্ষমতার হে ঈশ্বর এই নরক পাপিষ্ঠ নরক সম্ভোগ থেকে উদ্ধার করুন!
নৈতিক মার্গে গৌতম বুদ্ধের বানী কথা শান্তি আনে। আমি মনে করি সংকীর্ণ হিন্দু ধর্মের ছোঁয়া ছোঁয়ির মিথ্যা অভিমানের থেকে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন অনেক মঙ্গল।
নীচুজাত র ছেলে আম্বেদকর শেষ বয়সে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মহান বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহন করেছিলেন।
আমার মনে হয় সত্যি মন থেকে সবাই ভেবে দেখুন কিছু নেই এই সংসারে শুধুই দুঃখ যন্ত্রণা কষ্ট ছাড়া!
সোনা কতদিন শরীরে যাচে যে শরীর পীঁপড়েতে খেয়ে ফেলে!
ভালো সংসার কি ? সারা জীবন কষ্টে অথবা অপরকে কষ্ট দিয়ে বাঁচা!
কেন বাঁচব! সত্যি শেষ বয়সে যদি জল খাবার না খেয়ে মরতে হয় তাহলে এখনকার গান্ডে পিন্ডের কি কাজে লাগে? এত টাকা র কি বা দরকার ! এত সুখ ভালোবাসা র বা কি প্রয়োজন সব দেখানো সব মায়া সব মিথ্যা ছেড়ে বেরিয়ে আসুন পরমপিতার আশ্রয় নিন আমি ও নেব।
মানুষ মিথ্যেবাদী মানুষ কে ভালোবাসে দু চারটে দলিল আ্যকাউন্ট আর সোনা পাওয়া যায় ডিভাইন লাভের আনন্দ পাওয়া যায় না।
ঈশ্বর কে ভালোবেসে অনেক কিছুই পাওয়া যায় অলৌকিক শক্তি জ্ঞান পূণ্য রস শিরায় শিরায় সঞ্চারিত হয় আর ভোগার জন্য জন্মাতে হয় না /পরম আত্মা তুমি কোথায়? পরমাত্মা র অনুভব ও দর্শন মেলে যা সর্বসুখের উপরে সমস্ত পজেটিভ শক্তির কেন্দ্রবিন্দু!
পরমাত্মা র দর্শন পেলে মানুষ ভগবানে রূপান্তরিত হয় মানুষ ঈশ্বরের এক অংশে পরিনত হন !
নেগেটিভ কিছু তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না তাঁর প্রটেকশান স্বয়ং ঈশ্বর করে থাকেন।
মানুষ কি ছার ! যে ভগবানের ক্ষতি করে!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন