রুদ্রসাগর কুন্ডু |
জানি, কেউ কেউ অপেক্ষা করে আছো আমার মৃত্যু শেষে শব ব্যবচ্ছেদের
যদিও এটা তোমাদের অধিকার
আর এই অধিকার তোমাদের থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না
অদূরে অপেক্ষমান আহত বৃক্ষের মত আমিও প্রতীক্ষা করে থাকি
কখন বৃষ্টি নামবে, কখন ধুয়ে যাবে মৃত্যুঞ্জয় সবুজ পাতার মলিন ধুলোবালি
বেঁচে থাকা আর বেড়ে ওঠার এটাই রীতি ...
প্রথমে সতর্কতার সঙ্গে দূরে দাঁড়িয়ে থাকো, তারপর পর্যবেক্ষণ করে করে
একবার দুইবার তিনবার খুব সতর্কতার সঙ্গে বুঝে নিতে হবে
লাভ লোকসান, পাওয়া না পাওয়ার হিসেব গুলো
পূর্বপুরুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখো, তোমাদের মতই একদা যারা
অতি সতর্কতার সঙ্গে নিরাপদ দূরত্বে থেকে পর্যবেক্ষণের অংক কষে
পরীক্ষার খাতার পাতায় হাজার হাজার লাখো লাখো কোটি কোটি
অক্ষরমালা সাজিয়ে সাজিয়ে লিখেছিল মহাকাব্য
তাঁরাও আজ লুপ্ত ইতিহাসের পাতার ফাঁকে ফাঁকে চাপা পড়ে আছে
অহংকার পতনের মূল। ছোটবেলা থেকে কথাগুলো পড়ে পড়ে বড় হয়েছি আমরা
অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করো, আলস্য দোষের আকর, এমন বিবিধ কত নীতিবাক্য
আমাদের জীবন গড়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে
শৈশবের এইসব মসৃণ শিক্ষানীতি
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চতুর বৃক্ষে পরিণত হয়েছে
ধূর্ত শিয়াল আর চতুর বেড়াল সমাজের কোণে কোণে প্রতিদিন মিউমিউ
হুক্কা হুয়া চিৎকার ও বিনয়ের কৌশলে মানুষের পাশে
মানুষের সমাজে মিলেমিশে থাকে অবিকল
যেভাবে মাছ জলের সঙ্গে তালে তালে ভাসে
তাই বলে শিয়াল আর বেড়াল কোনদিন স্বীকৃতি পাবে মানুষের?
নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গকারি এ শিল্পকলা শুধু তোমাদের মানায়
আর এই লজ্জিত উপাধির উপহাসে তোমাদের লজ্জিত না করলেও
আমি লজ্জিত হই এক বিমর্ষ আত্মগ্লানি আমাকে কুরে কুরে খায়
আর আমার ভাবতেও লজ্জা করে
একদিন আমি বন্ধু ভেবে বুকের ভিতর জড়িয়ে ধরেছিলাম তোমাদের। ..
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন