অপাংক্তেয়
তন্ময় চক্রবর্তী
গত দু'তিন ঘণ্টায় মেলার প্রায় প্রতিটি দোকানেই ঢুঁ মারা হয়ে গেছে মালতীর। আর নীলের হাতে ব্যাগের সংখ্যাও বেড়েছে। সে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করলেও পারছে না। হাঁটতে হাঁটতে সে ক্লান্ত । মেলার "বাহির পথ" দিয়ে বেরোনোর সময়ও থমকে দাঁড়ায় মালতী। বাঁ পাশের দোকানটার দিকে এগিয়ে যায়। একের পর এক নিতে থাকে প্লাস্টিকের গাঁদা, জবা। "বাড়ির গাছগুলোতে তো অনেক ফুল ফুটেছে..." টাকা দিতে দিতে নীলের কথার উত্তরে মালতী বলে,"এগুলো তো আর শুকিয়ে যায় না।" "কিন্তু গন্ধ !.." নীলের কথা মালতীর কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। সে ততক্ষণে একটা খালি অটো দেখতে পেয়ে এগিয়ে গেছে।
সকাল সকাল চিৎকারে ঘুম ভাঙে নীলের। বারান্দায় এসে দেখে মালতী পাশের বাড়ির বৌদিকে বলছে- "দেখেছ। সব ফুল ছিঁড়ে নিয়ে গেছে। দুটো গাঁদার গাছও উপরে ফেলেছে শয়তানগুলো। আজ একটা হেস্তনেস্ত করেই ফেলব।" "এগুলো তো কোনও কাজে লাগে না। নিয়ে গেছে..." নীলের কথা শুনে কটমট করে তাকায় মালতী।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন