![]() |
তন্ময় চক্রবর্তী |
সকালে ঘুম ভাঙল কাজের মাসির সঙ্গে স্ত্রীয়ের ঝগড়ায়। কারণ বাসন ঠিকঠাক পরিষ্কার করেনি। ঘরও ঝাড়েনি ঠিকভাবে। তার উপর কয়েকদিন ধরে আসছে না রান্নার মহিলাও। অফিস যেতে যেতেই ঠিক করলাম এর একটা বিহিত করতেই হবে। পরদিন অফিস থেকে আসার পথে নিয়ে এলাম দু’টি রোবট। একটি রান্না করবে। আর একটি বাসন মাজা থেকে শুরু করে ঘরের সব কাজ করবে। পরদিন কাজের মাসি আসতেই জানিয়ে দিলাম, আর আসতে হবে না। কিছু একটা বলতে গেল। কিছু টাকা হাতে গুজে দিয়ে মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলাম। তার কিছুক্ষণ পর এল রান্নার মহিলা। তাকেও একই কথা জানিয়ে দিলাম। বলল, ছেলের শরীর ভালো ছিল না বাবু। তাই আসতে পারিনি। কঠিন রোগ হয়েছে। এখন কাজ গেলে ওষুধ কিনব কী করে। জানিয়ে দিলাম, ওগুলো আমাকে শুনিয়ে লাভ নেই। দরজা বন্ধ করে দিলাম। খাওয়াদাওয়া করে অফিস গেলাম। সেখানে পৌঁছে দেখলাম সবাই অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে। সামনে ঝুলছে নোটিশ। বলা হয়েছে, পরদিন থেকে কাউকে আসতে হবে না। কেন এই নোটিশ ? খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারলাম, অফিস একাধিক রোবট রিক্রুট করেছে। আজও মালতীর মা আসেনি। আজ একটু আগে অফিস যেতে হবে। কী করে কী হবে জানি না। স্ত্রীয়ের কথার উত্তরে বিছানা থেকে নামতে নামতে বললাম- কিছু সমস্যা হয়েছে নিশ্চয়। তুমি ভাত বসাও। আমি সবজিগুলো কেটে দিচ্ছি।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন