চিত্তরঞ্জন থানার সামনে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ


চিত্তরঞ্জন থানার সামনে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মীদের তুমুল সংঘর্ষ
 
কাজল মিত্র # বারাবনি বিধান সভার অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন থানার ফতেপুর এর বাসিন্দা  বৃহস্পতিবার রাতে ফতেপুর এর ৪৬ ও ৪৭ নম্বর রাস্তার মাটির বাড়িতে কবিতা মণ্ডল ও মুন্না দেবীর সাথে কোনও  কারনে পারিবারিক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। যা রাজনৈতিক রূপ ধারণ করে। এবিষয়ে তৃণমূলের তরফে চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। 

এদিন চিত্তরঞ্জন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাপস ব্যানার্জী জাননান, এটি একটি পারিবারিক ঝামেলা ছিল, কিন্তু এই ঘটনাকে বিজেপির কর্মীরা  রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে। যার কারনে আজ আমাদের তৃণমূলের পক্ষ থেকেও ওই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। 

তিনি আরও বলেন, ফতেপুর এর বাসিন্দা কবিতা মন্ডল একটি ভাড়ার বাড়িতে থাকতেন কিন্তু বাড়ির মালিকের সাথে কবিতার মধ্যে এই ঘর খালি করা নিয়ে বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরে সেই বিবাদ ৬২ বছর বয়সি মুন্না দেবীর উপর গিয়ে পড়ে। তিনি জানান, কেশব ক্যাংড়া ওই ভাড়ার বাড়িটিতে বিভিন্ন রকম অনৈতিক কাজকর্ম করত, যার ফলে বাড়ির মালিক তাকে বাড়ি ছাড়তে বলেন। কিন্তু কেশব ক্যাংড়া, তৃণমূলের সমর্থক ৬২ বছরের মুন্না দেবীকে গিয়ে গালি দেন ও ধাক্কা  মারেন, ফলে মুন্না দেবী পরে গিয়ে চোট পায় ওই গুরুতর আহত হয়।  যার ফলে ওই মহিলাকে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর তাই গতকাল রাতে চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়, এবং  দোষিকে ধরার দাবিতে চিত্তরঞ্জন থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।



এই ঘটনা সম্পর্কে বিজেপি নেতা মনীশ ঝাঁ বলেন, বিজেপির এক কর্মী যে ফতেপুরের সাত নম্বর বুথের ইনচার্জ ছিলেন যাকে বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের পোষা দুস্কৃতি অনিল বাল্মীকি, সত্য বাল্মীকি, সুরজ বাল্মীকি নামে তিন ব্যাক্তি মিলে কবিতা মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে ভাঙ্গচুর করেন ও তাঁর মাথা ফাটান। আহত কবিতা মণ্ডলকে আমরা আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। তিনি বলেন, জেনে বুজে একটা ছোট ঝামেলাকে বড়ো আকার দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।  আর তাই চিত্তরঞ্জন বিজেপির পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জন থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।  যদিও চিত্তরঞ্জন থানার পক্ষ থেকে প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। কিন্তু পরে অভিযোগ নেওয়া হয়। আমাদের  দাবি যে অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে তা যদি না হয়, তবে আগামী দিনে আমার বৃহত্তম আন্দোলন গড়ে তুলবো। আমাদের দাবি পুলিশ যেনো এই ঘটনার সঠিক বিচার করে।

কিন্তু একই সময় বিজেপি ও তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে চিত্তরঞ্জন থানার সামনে  বিক্ষোভ দেখানো কে ঘিরে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের রূপ নেয় । কিন্তু চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ দু দলের ঝামালার সামাল দেয় ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনা জেরে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী কেশব ক্যাংড়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন, এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.