![]() |
গেছো ভুত ও মেছো ভুত : ওয়াহিদা খাতুন |
ডাকল গেছো ওঁ মেঁছো দিঁ
বাঁড়ি আঁচো নাঁকি?
মাঁরতে আঁমায় মাঁছের গঁন্ধে
রাঁখলে নাঁ আঁর বাঁকি!
ঝাড়ু হাতে বললো মেছো
বঁলি হঁয়েছেটা কীঁ?
সাঁত-সঁকালে চেঁচাঁমেঁচিঁ
ভাঁলোঁ লাঁগে কীঁ?
তাড়লো গেছো হাঁরাঁমজাঁদি,
ধরলো চুলের মুঠি,
পড়লো মেছো উপুড় হয়ে
মাথা গেল খুটি!
কাঁদতে কাঁদতে বললো মেছো,
ছাঁড় বঁলচিঁ ছাঁড়,
উঁটলেঁ পঁরেঁ রাঁখবোঁনাঁ আঁর
বেঁড়েঁচেঁ তোঁর বাঁড়!
গেছো বলে চাঁড়বোঁ তঁবে
আঁন গঁঙ্গা জঁল,
মাঁচেঁর গঁন্দে বাঁড়িটাঁ আঁর
ভঁরাঁবিঁ কিঁ বঁল?
এবার কেঁদে বলে মেছো
খাঁবোঁ তাঁলেঁ কীঁ?
গেছো বলে আঁ মঁলো যাঁ
খাঁবিঁ নাঁকেঁর ঘিঁ!
ছিঁ ছিঁ ছিঁ!ওঁয়াঁক,এঁটাঁ আঁবাঁর
খাঁবাঁর হঁলোঁ নাঁকিঁ?
মাঁচ আঁনলেঁই তুঁই মঁরেঁচিঁ
গেছো,চুল টেনে কয় ঝাঁকি!
নাঁ নাঁ নাঁ আঁর খাঁবোঁনাঁ মাঁছ,
ছেঁড়েঁ যাঁচ্চিঁ গাঁছ,
চঁলেঁ যাঁবোঁ অঁনেঁক দূঁরেঁ,
গেছো;গাঁছ নিঁয়েঁ তুঁই বাঁচ!
চললো মেছো অনেক দূরে
ছেড়ে দিল বাড়ি,
যাবার বেলায় নিয়ে গেল
গেছোর সাথে আড়ি!
নদীর ধারে বাঁধলো বাসা
নানান জাতির মাছ,
সকাল দুপুর সাঁঝে সেথায়
জুড়ত ভুতের নাচ!
গুনগুনিয়ে গাইত মেছো
দেঁখেঁ যাঁ লোঁ গেছো,
কঁতোঁ সুঁখেঁ মঁজাঁ কঁরেঁ
নাঁচছেঁ আঁজকেঁ মেছো!
সকাল বেলা গাছের ডালে
দুলিয়ে দিয়ে পা_,
গাইছে গেছো ওঁ লোঁ মেছো
এঁকবাঁর দেঁখেঁ যাঁ—
মেছো গেঁচেঁ গঁন্ধঁ গেঁচেঁ,
ফুঁলেঁর সুঁবাঁস নাঁকেঁ,
রোঁদেঁ মেঁখেঁ প্রঁজাঁপঁতিঁ
বঁসচেঁ ঝাঁকেঁ ঝাঁকেঁ!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন