![]() |
আত্মোপলব্ধি : ঈদারুল ইসলাম |
বেশ কিছুদিন ধরেই বিবেকের দংশনে দংশিত হচ্ছিলাম; ঠিক এমন সময় এক আত্মার আত্মীয় একটা ভিডিও রেকর্ডিং পাঠায় ! বারংবার এই লাইনটি শোনার পর আমার আধ্যাত্মিক চক্ষু যেন খুলে যায় ! হৃদয় স্পর্শ করে গেল; কি গভীর অর্থবহ বার্তা !
"তেরা কিয়া হুয়া বুরা তেরে সাথহী রহ যায়েগা,
ঔর তেরা আচ্ছা তেরে পাস লৌটকর জরুর আয়ে গা !"
এমনই বহু কথা হৃদয়ের ক্যানভাসে সহসা ভেসে ওঠে !
সৃষ্টির রহস্য ব্যতীত একশত শতাংশ নিখুঁত বলে কিছুই হয় না ! পাপ-পুণ্য, ভালো-মন্দ, আলো-আঁধার কালো; এসব নিয়েই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। পৃথিবীর যে অংশে সূর্যের আলোকরশ্মি পৌঁছয় সেই অংশ বাদে অবশিষ্ট অংশে তখন আঁধার কালো নেমে আসে,আবার চক্রাকারে বিপরীত অংশে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
যেমন পূর্ণাঙ্গ খাঁটি বলে কিছু হয় না, ঠিক তেমনই পাপ শূন্য বলে কিছুই হয় না ! নিত্যদিন আমরা জেনে না জেনে, ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে নানান ধরণের অপরাধ করে থাকি ! পঞ্চ-ইন্দ্রিয় দিয়ে রোজই কিছু না কিছু পাপ হয়েই যায়। আমি বা আমরা যে যতই বলি না কেন যে, "আমি পাপ মুক্ত"! বস্তুতপক্ষে তা কখনই সম্ভব নয় ! কখনো দু'চোখ মেলে পাপ করি তো কখনো চোখ বুজে, কখনো মুখের ভাষায় তো কখনো দু'হাত-পা দিয়ে ! এর সঠিক হিসেব করা সাধ্যাতীত, কারণ প্রত্যেকটি পাপ তার মাত্রার উত্তর নির্ভরশীল ! কতটা অপরাধ পাপ হিসেবে গণ্য হবে আর কতটা পাপ শূন্য তা নির্ভর করছে ঘটনার মাত্রা অনুযায়ী !
শত-সহস্র পাপের মাঝেও যদি একটা ভালো কিছু থাকে সেটা তার 'সঠিক কর্ম'; 'আচ্ছাই'। অর্থাৎ অনেক খারাপের মাঝেও একটাও যদি ভালো কিছু থাকে সেটাই পরম প্রাপ্তি ! পাপ কখনো সাথ দেয় না, কেবলমাত্র ছায়ার মতো ধাওয়া করে বেড়ায়; আর পুণ্য ভালো কাজের ফলস্বরূপ জীবনে ঠিক ফিরে আসেই ! হয়তো বা কেয়ামতের দিন এই ছোট্ট ছোট্ট ভালো গুলোই সাথ দেবে। একটা মানুষের শত খারাপের মাঝেও একটাও যদি ভালো খুঁজে পাওয়া যায় সেটাই তাকে দেখিয়ে দাও, দেখবে ভালোর সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাবে।
ক্ষমা করতে শেখাও একটা পুণ্য ! "ক্ষমা পরম ধর্ম"; আমি এই মতে বিশ্বাসী। আমার প্রাণপ্রিয় দাদু'র ভাষায়-
"তুমি তোমার সবচাইতে বড় শত্রুকে ক্ষমা করে দাও, ওটাই তার সবথেকে বড় শাস্তি"!
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন