![]() |
24 ঘন্টা একটি গোল রুটি : প্রতিমা রায়বিশ্বাস |
তোমার ছবিতে যখন রাখি চোখ
সরে যায়....
সব সরে যায় নিযুত রাতের মাকাল যত রূপ।
বাসি হওয়া দিন ভেঙে টুকরো টুকরো রুটি,
নিমেষে ওরা ছড়িয়ে পড়ে বুভুক্ষু কুকুর মুখে।
কুকুর কেমন খপাৎ খপাৎ খেয়ে নেয় সব দিন।
আমি যখন তাকিয়ে থাকি তোমার ছবির দিকে।
দেখি বিষাদ খাওয়া স্থিতি তোমার ছবি।
লালাময়-শব্দ চেটেপুটে খেয়ে নিয়ে ওদের জিহ্বা
চোখের ভিতর ঢুকিয়ে রাখে.... অপেক্ষা।
ওদের অপেক্ষারা মরুভূমি...যখনই দেখি তোমার চোখ।
নিমেষে জ্বলন্ত লাভায় ঝলসে ওঠা আমার আঁখিপল্লব
জল থইথই মানষ সরোবর...আমার জন্ম-নাভি।
ঘাট বেয়ে নেমে যায় স্বচ্ছ জলে সূর্যের জ্বালামুখ।
আলোতে স্নান করে জল।আলোতে দেয় ডুব।
ওখানে স্নিগ্ধ সিক্ত তুষারময়ী ভোর হয় এক নারী।
হয়ত বা সে আমি।
ভোর হয়েছে দৃষ্টি যখন দুপুর লগ্নে প্রশস্ত রাখি ঊষা ,
সন্ধ্যা তারায় ধিকিধিকি জ্বলে মাটির স্নিগ্ধা প্রত্যুষা।
এভাবে সমস্ত রাত্রি গেঁথেছি যে সূতোয় তার নাম যদি তুমি হও হর্ষবর্ধণ।
ছাওয়া ছাওয়া শান্তি বিছানো তবে তোমার বুক
এক বনষ্পতি বিটপ।
আমার সমস্ত ফুল ইচ্ছে হয়ে ফোটে তোমার ছবিময় ঠোঁটে।
আমি দেখতে পাই তোমার ছবির চোখ এক পথ ,চলেছে ইতিহাসে...
বুক থেকে তখনই উদ্বায়ী হয় বিষাদ-প্রশ্বাসে ভরা কালো ফুসফুস।
ওই হোক তবে ফানুস আমাদের হাত মিলেমিশে ওতে জ্বালি এসো উৎসব।
আলোকিত হোক প্রার্থনা মুদ্রায় ইতিহাস।
রাত আনতে পারো সূর্য তুমি ব্রহ্মাণ্ডে...
কিন্তু ছবিময় ভোর যদি হতে হয় সূর্য
তোমাকে আমার মতই তবে মাটি ছুঁতে হবে।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন