নুড়িপাথরের আনন্দ : রানা হেনা


নুড়িপাথরের আনন্দ : রানা হেনা 

নুড়িপাথরের আনন্দ : রানা হেনা 


কখনো কখনো কিছু  লিখতে গিয়ে চোখ ভিজে যায়।  পাঠকেরা কখনোই তা জানে না। আসলে জানানো হয় না।  কেন হয় না?  জানালে তো সবাই বলবে যে, এখনো বাচ্চা ছেলের মত কাঁদে!
আর যখন কারো লেখা পড়তে গিয়ে পাঠক কাঁদেন, তখন লেখকের সার্থকতা বোধ হয় পাঠকের চোখ থেকেই ঝরে। আমি বড়ই পাষাণ হৃদয়ের মানুষ। কান্না আমার আসে না ( আসলেও কেউ দেখতে পায় না)। কিন্তু মাঝেমধ্যে অনিমেষ কাকু লেখা পড়তে গিয়ে হৃদয়ে মোচড় দেয়। তাঁর প্রায় সব লেখার শেষে এসে থমকে যাই। মাঝে মাঝে কান্না পায়। তবুও বড় ভালো লাগে। সাহিত্যের রস পড়তে গিয়ে দেখলাম করুণ রস থেকেও মানুষ আনন্দ পায়। আর আনন্দ পায় বলেই বারবার করুন রস আস্বাদন করে। কাকুর লেখাতেও তাই। পড়তে গিয়ে হৃদয়ে মোচড় দিলেও না পড়ে থাকা যায় না। বড় ভালো লাগে।
সেদিন কাকুর সাথে কথা হচ্ছিল যখন, কাকু বললো তাঁর আর একটি বই বেরিয়েছে এবং তার মধ্যে আমাকে নিয়ে লেখাটাও আছে। বইটা আমাকে পাঠাবে। কবে পাবো ভাবছি। বইটা পাবো বলে নয়, ওর মধ্য আমার নাম আছে বলে। ( এরজন্য স্বর্থপর বলবেন না আমাকে)  কউকে নিয়ে লিখতে যতখানি আনন্দ পাওয়া যায়, তার থেকে বহুগুনে আনন্দ পাওয়া যায় কারো লেখার বিষয়বস্তু হলে।  দেশে বিদেশে যিনি প্রচুর সমাদর পান, তাঁর কলমের আঁচড় পেয়েছি আমি।  বড় ভালো লাগে। যে কলমে বৃহৎ পর্বত আঁকা হয়, সেই কলমেই যখন ছোট্ট নুড়িপাথর আঁকা হয় তা বড়ই আনন্দের। নুড়িপাথরের আনন্দ৷
 নুড়িপাথর কেউ হতে চাইবে না, কিন্তু এই কারনেই আমি বারবার নুড়িপাথর হতে চাই। বড় ভালো লাগে।
 সীমার মাঝে অসীম, নাকি অসীমের মাঝে সীমা?
 জানি না বাপু।  সব গুলিয়ে যাচ্ছে৷ নুড়িপাথরই ভালো৷

ভালো তাঁর ছোট্ট মিষ্টি বকা গুলো। ওগুলোই বেশি ভালো। বড় আদরের। নুড়িপাথরের আদর। সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। অবশ হয়ে যাচ্ছি যেন । নুড়িপাথর, পর্বত, লেখা, বই, কলম চোখর সামনে দিয়ে উল্টেপাল্টে যাচ্ছে, এদিকে ওদিকে সরে যাচ্ছে। তবু তার মধ্য থেকেই একটা মিষ্টি সুর ভেসে আসছে 'এই রানা একটু কম ঘুমাবি'।
Share on Google Plus

About Shraboni Parbat

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.