![]() |
বায়ু দূষণ রোধ আমাদের সবার প্রচেষ্টায় করতে হবে : রতন বসাক |
আমাদের এই পৃথিবীর চারিপাশে একটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত বায়ুতে ভরা আছে । যে বায়ু আমাদের প্রাণ ধারণের জন্য অপরিহার্য । মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না । ঠিক তেমন আমরাও এই বায়ু ছাড়া এক সেকেন্ডও বাঁচতে পারব না । এই বায়ু যদি শুদ্ধ ও পরিষ্কার হয়, তাহলে আমাদের শ্বাস -প্রশ্বাস খুব ভালোভাবে চলে । আর বায়ুতে যদি দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়, তাহলে আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে ভীষণ কষ্ট হয় ।
তাই এই বায়ুস্তরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার প্রত্যেকের কর্তব্য, আমাদের নিজেদের জন্যই । প্রথমে দেখব বায়ু দূষণ কেন ও কিভাবে হয় ? সভ্যতার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষ গাছগাছালি কেটে শহরের পর শহর বানিয়ে চলেছে । আর বৃক্ষ কম থাকায় পরিবেশে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে ।
শিল্পের উন্নয়নের সাথে সাথে কল-কারখানা বেড়ে চলেছে ও তার থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশে মিশে বায়ুকে দূষণ করছে । মোটর যানও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ও তার থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাস পরিবেশে মিশে পরিবেশকে খারাপ করছে । অত্যাধিক গরম পড়ার জন্য এখন মানুষ ঘরে এ. সি. ব্যবহার করছে এবং তার থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসও পরিবেশে মিশছে ।
আমাদের চারপাশের পরিবেশের বায়ু এতটাই দূষিত হয়ে গেছে যে, এখন রাস্তায় বেরোতে হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হচ্ছে মুখে । এছারা অনেকেই এখন শ্বাসকষ্টে ভুগছে । তাই আর দেরী না করে সময় এসে গেছে, বায়ুকে আর দূষিত না করে আমাদের পরিবেশের বায়ুকে শুদ্ধ করার ।
প্রথমেই আমাদের করতে হবে বৃক্ষরোপণ উৎসব । ফাঁকা জায়গা যেখানেই আছে সেখানেই একটি করে গাছ লাগাতে হবে ও তার পরিচর্চা করতে হবে ।
বিভিন্ন কল-কারখানা থেকে নির্গত বিষাক্ত গ্যাসগুলো বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্গত করার ব্যবস্থা করতে হবে । যতটা সম্ভব মোটরযানের ব্যবহার কম করতে হবে ও তার পরিবর্তে বাই-সাইকেলের ব্যবহার করতে হবে অল্প বিস্তর দূরত্বে যাওয়ার জন্য । অজ্ঞ মানুষদের বোঝাতে হবে বায়ু দূষণের কারণ ও তার ফলে কি কি ক্ষতি হতে পারে এবং কিভাবে দূষণ মুক্ত করা যায় আমাদের বায়ুমন্ডল ।
আমাদের পরিবেশের বায়ু দূষণকে মুক্ত আমাদেরকেই করতে হবে, অন্য কেউ এসে করবে না । এবং কেউ যদি বায়ু দূষণ করতে থাকে, তবে তাকে বুঝিয়ে তার প্রতিহত করা কর্তব্য । বায়ু দূষণের জন্যই গ্লোবাল ওয়ার্মিং হচ্ছে আর তাতে জমা বরফগুলো ধীরে ধীরে গলার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে । এর ফলে এমন সময় আসবে যখন সারা পৃথিবী জলে জলাকার হয়ে যাবে আর মানুষের বাস যোগ্য এই পৃথিবী থাকবে না ।
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন